tag:blogger.com,1999:blog-35180410870836897042024-03-05T22:32:49.614-08:00Awami Brutality - Failure & Law and orderAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.comBlogger250125tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-62379451847471560062012-09-03T09:46:00.000-07:002012-09-03T09:46:38.117-07:00দুর্নীতির পঞ্চপাণ্ডব<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjCniz54X6bo4x4LEAjWlyecBgPzPfoMsvQyhEGPLz1ZKoimtAAyG_3tf0e5zgC0PoqAzKVQTSOi5DqEYeZgK5N95v0DK9OTUSduRaliwjb0bHGujff8vWkniL9VaFZ8V5fHn0HC2E9deI/s1600/P1_durnitir-ponchopandob.jpg" imageanchor="1" style="clear:left; float:left;margin-right:1em; margin-bottom:1em"><img border="0" height="144" width="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjCniz54X6bo4x4LEAjWlyecBgPzPfoMsvQyhEGPLz1ZKoimtAAyG_3tf0e5zgC0PoqAzKVQTSOi5DqEYeZgK5N95v0DK9OTUSduRaliwjb0bHGujff8vWkniL9VaFZ8V5fHn0HC2E9deI/s400/P1_durnitir-ponchopandob.jpg" /></a></div>
কাদের গনি চৌধুরী
সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে মহাজোট জমানার দুর্নীতি। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, ব্যাংক-বীমা থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন সর্বত্রই দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এটি এখন আলোচিত বিষয়। সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী পরিবারের ঘনিষ্ঠদের নাম জড়িয়ে পড়েছে ভয়ানক এসব দুর্নীতিতে। তবে দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে সরকারের পাঁচ প্রভাবশালী মন্ত্রী-উপদেষ্টার নাম। দুর্নীতির এ পঞ্চপাণ্ডব হলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক রেলযোগাযোগমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও ড. মসিউর রহমান।
পদ্মা ডুবাল আবুল মসিউর : পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; চাঞ্চল্যকর রেলওয়ের ঘুষবাণিজ্যের সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়ংকর দুর্নীতি সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং বিমানবন্দরের ৪৩৪ বিঘা জমি ছাড়াও বিদ্যুত্ খাতের কেলেঙ্কারির জন্য ফারুক খানের নাম এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। দুর্নীতির টপ অব দ্য টপ হিসেবে তাদের নাম সবার মুখে মুখে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণসহায়তা চুক্তি বাতিল করেছে। একই অভিযোগে ওই প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাইকা। এই দুই দাতা সংস্থা দ্বিতীয় দফায় এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দাবি মেনে না নিলে তারাও ঋণচুক্তি বাতিল করবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘুষ দাবির কেলেঙ্কারির ঘটনায় এখন দেশে-বিদেশে মশহুর তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সাবেক সেতু সচিব মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া। এ তিনজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সংক্রান্ত কানাডা পুলিশের দেয়া তথ্য-প্রমাণ দুদককে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা কোনো কিছু না করায় তথ্য দেয়া হয় অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকেও। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। উপরন্তু বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে নানা কুত্সা রটাতে থাকে সরকারের লোকজন। একপর্যায়ে দুর্নীতির দায়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার
ঋণচুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করে দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মাথায় একই অভিযোগে এডিবিও এ প্রকল্পে তাদের ঋণচুক্তি স্থগিত করে।
প্রথম দিকে সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঘুষ কেলেঙ্কারির কথা অস্বীকার করলেও দুনিয়াজুড়ে হৈচৈ পড়ে গেলে একপর্যায়ে দুর্নীতির বরপুত্র সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। সাবেক সেতু বিভাগের সচিব মোশারেফকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ঘুষ কেলেঙ্কারির আরেক নায়ক মসিউর রহমানকে স্বপদে বহাল রাখা হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক সরকারের এ ড্রামা দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। দাতা সংস্থাটি সাফ জানিয়ে দেয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে তারা এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে না। একপর্যায়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের পরামর্শে সৈয়দ আবুল হোসেন আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকেও পদত্যাগ করেছেন। পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে উপদেষ্টা হিসেবে কোনোভাবে টিকে থাকার আশায় বিকল্প হিসেবে একটি ছুটির আবেদনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়ে রেখেছেন তিনি। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেতে মরিয়া সরকার অবশেষে বিশ্বব্যাংকের শেষ শর্তটিও মেনে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সরিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা দিতে প্রতিশ্রুত হয় বিশ্বব্যাংক। কাজ শুরুর আগেই কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সরকারের প্রভাবশালীরা ঘুষ কেলেঙ্কারিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে জুনে এসে বিশ্বব্যাংকের এ ঋণসহায়তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ২৯ জুন চুক্তি বাতিলসংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার পরও দুর্নীতি তদন্তে তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় এ অর্থচুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
আমেরিকাভিত্তিক এই উন্নয়ন সংস্থাটি তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, দুই দফা তদন্তের মাধ্যমে ব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে দেয়ার পর কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। যার কারণে প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করতে হয়েছে এবং এ সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক তার অর্থায়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ থাকার পর বিশ্বব্যাংক চোখ বুজে থাকতে পারে না, থাকা উচিত নয় এবং থাকবেও না। আমাদের শেয়ারহোল্ডার ও আইডিএ দাতা দেশগুলোর প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা এবং সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত দায়িত্ব রয়েছে। বিবৃতিতে দিন-তারিখ উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ও ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে এসব তথ্য-প্রমাণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুর্নীতির এ অভিযোগ পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা এটা প্রত্যাশা করেছিলাম বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতির এ বিষয়টিতে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেবে। এতে আরও বলা হয়, কানাডায় এসএনসি লাভালিনের সদর দফতর অবস্থিত। বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে কানাডার ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসেস নামের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসএনসি লাভালিনের দুই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত ও বিচারকাজ এগিয়ে চলেছে।
চাঞ্চল্যকর ঘুষ কেলেঙ্কারির পর মন্ত্রণালয় হারালেও মন্ত্রিত্ব হারাননি সুরঞ্জিত : পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির আগে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে রেলওয়ের ঘুষ কেলেঙ্কারি। এ ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নাম। এ অভিযোগের কারণে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের পর আবার তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গত ২৮ নভেম্বর রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
গত ৯ এপ্রিল রাতে সুরঞ্জিতের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ রেলের দুই কর্মকর্তা ধরা পড়েন। প্রথমে বলা হয় বস্তায় ছিল ২০ লাখ টাকা। এরপর বলা হয় ৭০ লাখ। কোনো কোনো সূত্র জানায়, ওই বস্তায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিল।
জানা যায়, ঘুষের এ টাকা নিয়ে তারা মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, সুরঞ্জিত ওই রাতে তদবির করে তাদের ছাড়িয়ে আনেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা যাতে নেয়া না হয়, সেজন্য তিনি তদবিরও করেন। রেলওয়ের চাঞ্চল্যকর ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে হৈচৈ পড়ে গেলে ৬ দিনের মাথায় রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন সাড়ে চার মাস আগে মন্ত্রিত্ব পাওয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। অবশ্য একদিন পর নাটকীয়ভাবে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার, রেলওয়ের জিএম (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলী মৃধা ও নিরাপত্তাকর্মী এনামুল হক ৯ এপ্রিল গভীর রাতে ৭০ লাখ টাকাসহ ঢাকায় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে ধরা পড়েন। প্রায় ১২ ঘণ্টা বিজিবির হাতে আটক থাকার পর রেলমন্ত্রীর চাপে ১০ এপ্রিল দুপুরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা জানান, ওই টাকাসহ রেলমন্ত্রীর জিগাতলার বাসায় যাচ্ছিলেন এবং তাদের অপহরণ করার লক্ষ্যেই চালক আলী আজম গাড়িটি বিজিবির গেটে ঢুকিয়ে দেন। এরপর বিজিবি সদস্যরা তাদের টাকাসহ আটক করেন। পরে এপিএস ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা ছাড়া পেলেও চালক আলী আজম এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায়, রেলওয়েতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পদে নিয়োগবাণিজ্যের মন্ত্রীর ভাগের একটি অংশ প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টাকা (প্রকাশ যার একটি অংশ নগদ ৭০ লাখ টাকা) তার জিগাতলার বাসায় পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় তারা আটক হন। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সরকারি দলের একাধিক এমপি, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন মহল থেকে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়। সংসদীয় কমিটির বিরোধীদলীয় সদস্যরা সুরঞ্জিত সেনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। একইদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে তাকে জরুরি তলব করেন। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী তাকে দুটি অপশন দেন। এক. নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা; দুই. পদত্যাগ করা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ না করেই পদত্যাগ করেন।
শুধু তাই নয়, একসময়ের এ বাম রাজনৈতিক নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে এখন সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের মালিক। সুরঞ্জিতের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তের মালিকানাধীন ‘সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডকে’ সম্প্রতি ‘ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ’ বা আইসিএক্স লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। নতুন এ লাইসেন্স নেয়ার জন্য তাকে বিটিআরসিতে ফি বাবদ জমা দিতে হয়েছে ৫ কোটি টাকা। রেলওয়ের ঘুষ কেলেঙ্কারির দু’দিন পর সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশনের নামে অত্যন্ত লোভনীয় এ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এর ফি বাবদ পরিশোধিত টাকার উত্স নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সাধারণ চাকরিজীবী সৌমেন এত টাকা কোথায় পেলেন? কীভাবে পরিশোধ করলেন আইসিএক্স লাইসেন্স ফি’র ৫ কোটি টাকা? তাছাড়া আইসিএক্স অবকাঠামো তৈরিতে আরও অন্তত ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মন্ত্রীর নামে ‘সেন মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট রয়েছে। এটি মন্ত্রিত্বকালে তিনি উদ্বোধনও করেন।
সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা : ব্যাংকিং খাতের ইতিহাসে উদঘাটিত এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী জড়িয়ে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে হলমার্ককে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ও অন্যান্য নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে আরও তিনটি শাখা থেকে ৮০০ কোটি টাকা বেআইনি ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। হলমার্ককে ঋণ দিতে তিনি অন্তত ২৭ বার এমডিকে ফোন করেন বলে ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়। এমনকি গত ১৭ মার্চ সাভারে হলমার্ক গ্রুপের কারখানা পরিদর্শনও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ প্রভাবশালী মহলের চাপে ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত আইন ও নিয়ম ভেঙে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন হোটেল শাখা হলমার্ককে ব্যাংকটির আমানতের পাঁচগুণ বেশি ঋণ দিয়ে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। চলতি বছরের মার্চে এ ঘটনা ঘটলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তের আগ পর্যন্ত বিষয়টি আড়ালেই থেকে যায়। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবং অনুমোদনে এ ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। কারণ, গত মার্চে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন হোটেল শাখায় আমানতের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে ছিল ৬৫৬ কোটি টাকা। কিন্তু হলমার্ককেই দেয়া হয় এর প্রায় পাঁচগুণ বেশি টাকা। অর্থাত্ প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনে অন্য শাখা থেকে এনে এ টাকার জোগান দিতে হয়েছে। ঋণসংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাংকার জানান, এরকম ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব অডিট রিপোর্টে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে হলমার্কের নামে এই নজিরবিহীন ঋণ দেয়া হয়। এ সময় ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেন, তারা এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত থেকেছেন। অডিট রিপোর্টে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হলমার্ক থেকে সুবিধা নেয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতে বেছে নেয়া হয় অভিনব কৌশল। আর তাতে সরাসরি সহায়তা করে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের ক’জন কর্মকর্তা। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে—এটি ব্যাংকিং ইতিহাসের একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ব্যাংক থেকে হলমার্কের নামে নেয়া প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও চলতি মূলধনজাতীয় ঋণও আছে। তবে এ অর্থের ৯০ ভাগই অপর কয়েকটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলে বের করে নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ মার্চ হলমার্ক গ্রুপ রূপসী বাংলা শাখায় সুতা কিনতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলসসহ তিনটি স্পিনিং মিলের অনুকূলে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার এলসি খোলে। দুদক কর্মকর্তারা জানান, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, ইফেক্টেড বিল পার্সেস (এবিপি), পিসিসহ ছয়টি খাতের নামে হলমার্কসহ অপরাপর গ্রুপ ওই টাকা হাতিয়ে নেয়। চক্রটি কথিত রফতানিকারক। সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা হোটেল শাখার সঙ্গে আগে থেকেই তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। নিয়ম অনুযায়ী কোনো কোম্পানি বিদেশ থেকে অর্ডার পেলে এর বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা হয়। হলমার্কও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেজে এলসি খুলেছিল। দুদক কর্মকর্তারা জানান, তারা বিদেশে গার্মেন্টসামগ্রী রফতানির নামে যে অর্ডারটি জামানত হিসেবে রেখেছিল, সেটি ছিল জাল ও ভুয়া। হলমার্কসহ কয়েকটি জালিয়াত গ্রুপ নিজেরাই বিদেশের পার্টি এবং ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করে ব্যাংক থেকে পেমেন্ট নিয়ে যায়। অথচ এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি। তারা বলেন, বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান তিনটিও ছিল ব্যাংকের ওই শাখার গ্রাহক।
দুদকের কাছে রক্ষিত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, হলমার্ক যে টাকা হাতিয়ে নেয় ওই টাকা তাদের কোম্পানির একটি ব্যাংক হিসাবে রাখা হয়। পরে ওই হিসাব থেকে সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা একটি চলতি হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে টাকাগুলো বের করে নেয় হলমার্ক গোষ্ঠী। দুদক জানায়, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও স্টার স্পিনিং মিলসসহ তিনটি স্পিনিং মিলস ও সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের নামে খোলা চলতি হিসাবগুলোও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে করা। এগুলো হলমার্কের বেনামি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে এতবড় দুর্নীতি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসারদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রাঘব-বোয়ালদের বাদ দিয়ে সাজা দেয়া হচ্ছে জুনিয়রদের। অথচ ঋণ দেয়ার কোনো ক্ষমতাই তাদের নেই। এ বিষয়ে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি একজন জুনিয়র অফিসার, কেরানি হিসেবে এখানে কাজ করি। কোনো বিল-ভাউচার বা কাগজে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি কীভাবে জড়িত থাকব। হলমার্ক ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে ওপরের দিকের লোকেরা জড়িত। সাইদুরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় কাজ করা অবস্থায় হলমার্কের ব্যাপারে কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যেতেন কি না। অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে কোনো প্রভাবশালী জড়িত কি না, জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী মাঝে মাঝে শাখায় আসতেন। ডিজিএমের কক্ষে যেতেন। ওই শাখার এক নারী কর্মী তার আত্মীয়। উপদেষ্টা তার কাছে আসতেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর এলাকার মানুষ হিসেবে পরিচিত সোনালী ব্যাংকের ওই নারী কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। এ ছাড়া দুদক মোদাচ্ছের আলীর সঙ্গেও কথা বলবে বলে জানা গেছে।
সিভিল এভিয়েশনের ৪৩৪ বিঘা জমি দখলের উদ্যোগ ফারুক খানের পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের : বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ ও তাদের পুরনো ব্যবসায়িক অংশীদার ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানাধীন ইপকো বিমানবন্দর এলাকায় ৪৩৪ বিঘা জমি দখল করতে যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে এ জমির মূল্য ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এ জমি সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেলে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। সূত্র জানায়, প্রথমদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি জাতীয় স্বার্থপরিপন্থী এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও বর্তমানে তারা আর সে অবস্থানে নেই।
এদিকে বিদ্যুত্ সেক্টরে একচেটিয়া ব্যবসা হাতিয়ে নিচ্ছে এ মন্ত্রীর পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামিট। বর্তমান সরকার আমলের তিনটি বৃহত্ বিদ্যুত্ কেন্দ্রসহ মোট ৮টি বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পেয়েছে সামিট। বিবিয়ানা-১, বিবিয়ানা-২ এবং মেঘনাঘাট-২। ৩টি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের প্রতিটির উত্পাদন ক্ষমতা ৩৩০ থেকে ৪৫০ মেগাওয়াট। তিনটির কাজই পেয়েছে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন লিমিটেড। সঙ্গে নামকাওয়াস্তে রাখা হয়েছে মার্কিন কোম্পানি জিই এনার্জিকে। আইপিপি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার) নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপিতব্য এই তিনটি কেন্দ্রের ক্ষেত্রেই সামিটের অংশীদারিত্ব ৮০ শতাংশ। আর আমেরিকান কোম্পানি জিই এনার্জি এলএলসির ২০ শতাংশ। সরকার ২২ বছর ধরে এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুত্ কিনবে। এই তিনটি বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য কাজ নিলেও বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটির গড়িমসি গোটা খাতকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে।
মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পর বিনা দরপত্রে কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের হিড়িক পড়লে সামিট গ্রুপ নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে বিদু্যুেকন্দ্র স্থাপনের কাজে অযোগ্য ঘোষিত হয়। তারপরও পিডিবিকে দিয়ে তাদের প্রস্তাবের বৈধতা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হয়। পরে সামিট মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াট ‘কুইক রেন্টাল’-এর কাজ পেয়েছে। খুলনা পাওয়ার কোম্পানির ১১৫ মেগাওয়াট ও নোয়াপাড়ায় খানজাহান আলী পাওয়ারের ৪০ মেগাওয়াট ‘কুইক রেন্টাল’ও সামিটের। এছাড়াও সামিট ফার্নেস অয়েলে চালিত সৈয়দপুর ১০৪ ও শান্তাহার ৫২ মেগাওয়াট আইপিপির কাজ পেয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বৃহত্ বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিবিয়ানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে সামিট-জিই এনার্জি ক্ষমতার জোরে প্রাকযোগ্যতা অর্জন করে। পরে দাতা সংস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। নতুন করে বিবিয়ানা ৩৩০-৪৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদু্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রাকযোগ্যতার প্রস্তাব আহ্বান করা হলে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল ৭টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের যোগ্যতার দলিলপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাকযোগ্য বিবেচনা করা হলেও ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিল (আরএফপি-রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল) কেনে। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। মূল্যায়নে পরিকল্পিতভাবে মালয়েশিয়ার ওয়াইটিএল পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল বারহাডকে নন-রেসপনসিভ ঘোষণা করা হয়। সামিট-জিই জেভিকে বিবিয়ানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের একমাত্র বৈধ প্রস্তাবদাতা করার পরিকল্পনা থেকেই এটা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ, প্রধান উদ্যোক্তা (লিড স্পন্সর) হিসেবে সামিটের এ ধরনের বৃহত্ কেন্দ্র স্থাপনের পূর্ব অভিজ্ঞতাই নেই।
বিবিয়ানা ৩৩০-৪৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের (দ্বিতীয় পর্যায়) জন্য গত বছরের ২ মে ১২টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান প্রাকযোগ্যতার দলিলপত্র দাখিল করে। ৮টি প্রতিষ্ঠান প্রাকযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ৫টি দরপত্র দলিল (আরএফপি) কিনলেও ১৪ অক্টোবর মাত্র ৩টি দরপত্র জমা হয়। নানা কারসাজি ও ছলচাতুরির মাধ্যমে এ কেন্দ্রের কাজও সামিটকে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিমান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ফারুক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর বিমানের একচেটিয়া ব্যবসা ও নিয়োগ কার্যক্রম চলে গেছে মন্ত্রীর পকেটে। শুধু তাই নয়, একই সরকারের আমলে পর পর দু’জন মন্ত্রীর অধীনে দুই রকম নীতিতে চলছে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম। আগের মন্ত্রীর আমলে বাতিল হওয়া সিদ্ধান্তগুলো বর্তমান মন্ত্রী পাস করেই চলেছেন। এতে দেশের স্বার্থও বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। সূত্র জানায়, বিমানে নতুন করে লোক নিয়োগের বিষয়ে বরাবরই আপত্তি ছিল জিএম কাদেরের। বিমানের অর্গানোগ্রাম হওয়ার আগে কোনো পদে লোক নিয়োগ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া যেসব পদ থেকে স্বেচ্ছা অবসরে পাঠানো হয়েছে, সেসব পদে নতুন করে লোক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়েরও। এর পরও সেসব পদে এখন লোক নিয়োগ হচ্ছে। এবং এসব নিয়োগ হচ্ছে পছন্দের লোকদের। জিএম কাদেরের বক্তব্য ছিল, যেখানে অর্গানোগ্রামই নেই, সেখানে লোক নিয়োগ হতে পারে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে আইনবহির্ভূতভাবে কেপিসিএল এবং ওসিএলের সরাসরি তালিকাভুক্তি : ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বেসরকারি খাতের কোম্পানির জন্য পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তি (ডিরেক্ট লিস্টিং) সুযোগ বাতিল করে। কিন্তু বাতিল করা সত্ত্বেও শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে তত্কালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের পারিবারিক কোম্পানি হিসেবে খ্যাত সামিট গ্রুপের খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) এবং ওশান কন্টেইনার লিমিটেডকে (ওসিএল) তালিকাভুক্তির বিশেষ সুযোগ দেয়া হয়। ২০১০ সালে কোম্পানি দুটি শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির সুযোগ পেয়ে ‘বুক বিল্ডিং’ পদ্ধতিতে কারসাজির মাধ্যমে কোম্পানি দুটি শেয়ারের দর বাড়িয়ে নেয়। কেপিসিএলের ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের প্রারম্ভিক বিক্রি মূল্য ১৯৪ টাকা ২৫ পয়সায় এবং ওসিএলের ১০ টাকা শেয়ারের বিক্রি মূল্য নির্ধারিত হয় ১৪৫ টাকা। অস্বাভাবিক দরে মূল্য নির্ধারণের পর কোম্পানি দুটি তার পরিশোধিত মূলধনের মাত্র ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলে নেয়। সরাসরি তালিকাভুক্তির কারণে পুরো টাকাই গেছে পরিচালকদের পকেটে।
ডিএসই’র সর্বশেষ (০২-০৯-১২) তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কেপিসিএলের শেয়ারের দর নেমে এসেছে ৬০ টাকা ৫০ পয়সায়। প্রারম্ভিক মূল্য হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে প্রায় ৬৯ শতাংশ। অপর দিকে ওসিএলের শেয়ার ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। সে হিসাবে কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে ৭০ শতাংশ।
Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-37374717712422107882012-09-03T09:40:00.000-07:002012-09-03T09:40:28.282-07:00পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ : দেবিদ্বারে প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করল আ.লীগ ক্যাডাররাদেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgldqNL4XhW5bpcA5pkQhmrf99R_-BdJxzcQwpws5kt8Sp3n5u2o6ywV7S7NcnAUCqwgJ_ewhiwiwFylpv3IH5N_CY8kaFax_BmWPB4zaF4uhL9fDNgMa8RQeM3fsBp2FNUGhRyLTxr6dM/s1600/P1_posonder-prarthike-niog.jpg" imageanchor="1" style="clear:left; float:left;margin-right:1em; margin-bottom:1em"><img border="0" height="326" width="288" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgldqNL4XhW5bpcA5pkQhmrf99R_-BdJxzcQwpws5kt8Sp3n5u2o6ywV7S7NcnAUCqwgJ_ewhiwiwFylpv3IH5N_CY8kaFax_BmWPB4zaF4uhL9fDNgMa8RQeM3fsBp2FNUGhRyLTxr6dM/s400/P1_posonder-prarthike-niog.jpg" /></a></div>
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে প্রকাশ্যে পিটিয়ে প্রধান শিক্ষককে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। গতকাল বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ছোটনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত প্রধান শিক্ষকের নাম মো. আকতার হোসেন। আওয়ামী ক্যাডার খোরশেদ কিবরিয়ার নেতৃত্বে কামরুল, মুজিব, সাত্তার খান ও শামীমসহ ১৫-২০ সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত শিক্ষক আকতার হোসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। হত্যার আগে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। পরে পিটিয়ে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে জানা গেছে। এ সময় প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে স্কুল কমিটির সভাপতি মো. আজিজ খান এগিয়ে এলে তিনিসহ ৪-৫ জন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে নিহত শিক্ষকের ভাই মো. আবেদ হোসেন কুমিল্লা কোর্টে ছোটনা গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ কিবরিয়াকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।
নিহত প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন বুড়িচং উপজেলার ময়নামতির জুমুর গ্রামের মৃত খালেকের ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের বাবা। ২০১১ সালের নভেম্বরের ১৯ তারিখে দেবিদ্বার উপজেলার ছোটনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকে ওই এলাকার আওয়ামীপন্থী একটি মহল তাদের পছন্দের প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেনকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। এরই জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল বিকালে ছোটনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা চলাকালে স্কুলের সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজ খান জানান, সভা চলাকালে খোরশেদ কিবরিয়ার নেতৃত্বে কামরুল, মুজিব, সাত্তার খান ও শামীমসহ ১৫-২০ জন হামলা চালায়।
এদিকে প্রধান শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-26319462540818672112012-08-20T02:22:00.002-07:002012-08-20T02:22:48.194-07:00নিজেদের অসহায় বললেন সাঈদীর পরিবার, সাক্ষী ও ভক্তরা : সাঈদীর সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ ও সরকারি দলের যৌথ অভিযানস্টাফ রিপোর্টার
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের বাড়িতে শবেকদরের রাতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। আওয়ামী নেতাকর্মীদের হুমকি ও পুলিশি গ্রেফতার অভিযানের মুখে আল্লামা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী ও তার ভক্তরা এখন এলাকা ছাড়া। তাদের নিজ বাড়িতে না ফিরতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চলছে বলে জানান স্থানীয়রা। সাঈদীর পরিবার এ ঘটনায় নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সরকার গায়ের জোরে কথিত বিচারের মাধ্যমে একজন নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চায় বলে অভিযোগ করেন। বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার পর জীবন নিয়ে কেউ ফিরে আসতে পারবে না বলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মহড়া দিচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি সাক্ষীদের গ্রেফতার করতে নয়, তাদের খোঁজখবর নিতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ একাধারে সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হলে পুলিশের তৈরি করা জবানবন্দিই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আসামি পক্ষে ৪৮ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ ২০ জন সাক্ষ্য দিতে পারবেন জানিয়ে ২৮ আগস্ট থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। সেদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের এ সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যা দিয়ে এটি ন্যায়বিচারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন। এভাবে সাক্ষী লিমিট করে দেয়াটা আসামিকে হাত পা বেঁধে জবাই করে দেয়ার শামিল বলেও মন্তব্য করেন তারা। এসবের পর সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে এমন হয়রানির অভিযোগ উঠল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার নলবুনিয়া, টেংরাখালী, হোগলাবুনিয়া ও গদরহাওলা গ্রামে পবিত্র শবেকদরের রাতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আবদুর রশীদ, খায়রুল আলম, মোশররফ হোসেন, হেমায়েত শরীফ, ছাবেল ফকির, ইসমাইল, আবদুর রবসহ প্রায় একাধিক বাড়িতে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হানা দেয়। রাত ১১টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এ অভিযান চলে। আওয়ামী লীগ নেতারা জীবনের প্রতি মায়া থাকলে সাঈদীর পক্ষ ছাড়তে সাক্ষীদের হুশিয়ার করে দেয়। পুলিশের অভিযান ও আওয়ামী কর্মীদের জীবন নাশের হুমকির মুখে গত তিন দিন ধরে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাতে পুলিশ প্রথমে ২টি গাড়ি নিয়ে অভিযানে নামে। পরে নসিমন টাইপের গাড়ি নিয়ে ছোট রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকে বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা সাঈদীর পক্ষে মুখ খুললে জেলে যাওয়া লাগবে বলেও হুমকি দেয়। তাদের এমন আকস্মিক অভিযানের কারণে গ্রামগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে মুসল্লিরা মসজিদে ইবাদতে থাকায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এসব গ্রামে সরেজমিন সাঈদীর পক্ষের কোনো সাক্ষী বা ভক্তদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মহিলারা জানান, অভিযানের পর পুরুষরা গ্রেফতার ও হামলার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছে।
মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, আমাদের আইনজীবীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সরকারের বানানো সাক্ষীদের জেরার মাধ্যমে এ কথা প্রমাণ করেছেন যে ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোনো ভূমিকা আল্লামা সাঈদীর ছিল না। কথিত যুদ্ধাপরাধরে সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। এ সত্য প্রমাণ হওয়ার পর এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ডিফেন্স সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণের পরপরই আমাদের সাক্ষীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ বেপরোয়া অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা গায়ের জোরে একজন নিরপরাধ মজলুমকে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি করতে চায়। ‘যুদ্ধাপরাধ নয় জনপ্রিয়তায় আমার বাবার বড় অপরাধ।’ যোগ করেন মাসুদ।’
ডিফেন্স টিমের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এ গ্রেফতার অভিযান প্রমাণ করে মাওলানা সাঈদীকে বিচারের নামে জোর করে সাজা দিতে মরিয়া সরকার। তিনি বলেন, আমরা আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগকে শতাব্দীর নিকৃষ্ট মিথ্যাচার হিসেবে প্রমাণ করতে সচেষ্ট। কিন্তু বিচারচলাকালে সরকারের এমন আচরণ একজন নাগরিকের প্রতি জঘন্য অবিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জিয়ানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কাউকে হুমকি দেয়ার কথা না। এ ধরনের কোনো খবর আমি জানি না। পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবদুল মালেক বলেন, এ খবরের সত্যতা আমার কাছে নেই। সাঈদীর মামলার সাক্ষী সব জিয়ানগর থানায়। ওখানে যোগাযোগ করতে পারেন। জিয়ানগর থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল মালেক বলেন, সাক্ষীরা কোথায় থাকে কি করে জানতে গিয়েছি। তাদের গ্রেফতার করতে যাইনি। তিন দিন ধরে তারা গ্রামছাড়া কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তা জানি না। এমন কথা আমরা শুনিনি। উল্লেখ্য, গত ১৪ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা সাঈদীর পক্ষে জমা দেয়া ৪৮ জন সাক্ষীর তালিকা থেকে মাত্র ২০ জনকে স্বাক্ষ্য দিতে দেয়া হবে বলে নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। আদেশে বলা হয়, ২৩ তারিখের মধ্যে নতুন করে ২০ জনের তালিকা এবং ২৮ তারিখ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হবে।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/08/18/159877Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-32904498422224390752012-08-20T02:21:00.002-07:002012-08-20T02:21:42.415-07:00ওসমানীনগরে আ.লীগ নেতার বাড়িতে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ : কামরাঙ্গীরচরে ইজ্জত হারাল আরেক শিশুডেস্ক রিপোর্ট
সিলেটে ওসমানীনগরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সারজান খাঁর বাড়িতে এক মাদরাসা ছাত্রীকে রাতভর আটক রেখে গণধর্ষণ করেছে একদল বখাটে। কামরাঙ্গীরচরে ৭ বছরের শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ধর্ষণকালে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এক বখাটেকে। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে এক গৃহবধূকে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :
কামরাঙ্গীরচরে শিশুকে গণধর্ষণ : ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ৭ বছরের এক শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক এলাকার প্রভাবশালী ও একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতার ছেলে হওয়ায় বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। ধর্ষকের বাবা কামরাঙ্গীরচর থানার একজন এসআইকে বিপুল উেকাচ দিয়ে নিজ সন্তানকে ধর্ষণ মামলার এজাহার থেকে নাম বাদে সক্ষমও হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার কোম্পানীরঘাট বাছেত মোল্লার বাড়ির নিচতলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, গত ১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার ইফতারের পর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কোম্পানীঘাট এলাকার ভাড়াটিয়া মো. কামাল হোসেনের মেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার কোম্পানীঘাট সংলগ্ন বাছেত মোল্লার মার্কেটে বাসার জন্য তেল আনতে যায়। এ সময় বাছেত মোল্লার বখাটে ছেলে মো. রনি ও প্রতিবেশী আবদুর রাজ্জাকের বখাটে ছেলে আবু বকর তাকে বাসেত মোল্লার বাড়ির নিচতলায় খালি জায়গায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির চিত্কার শুনে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সিসি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়েটি এখন হাসপালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা বাছেত মোল্লা ধর্ষিতার বাবা কামাল হোসেন ও মা শিরিন আকতারকে চাপ প্রয়োগ করে। তারা মীমাংসা করতে রাজি না হলে তাদের এলাকা ছাড়তে হবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়। কিন্তু এলাকাবাসীর চাপের মুখে বাছেত মোল্লা বিষয়টি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে তিনি কামরাঙ্গীরচর থানার একজন এসআই মফিজুল ইসলামকে বিপুল পরিমাণ উেকাচ দিয়ে নিজের সন্তান রনিকে ধর্ষণ মামলার এজাহার থেকে নাম বাদ দিতে সক্ষম হয়েছেন।
এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মফিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়েটিকে জুস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাছেত মোল্লার বাড়ির নিচে নিয়ে আবু বকর একাই ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে—যার নন্বর ১৬। তিনি উেকাচ নিয়ে রনির নাম বাদ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
ওসমানীনগরে আ.লীগ নেতার বাড়িতে মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ : সিলেটের ওসমানীনগরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে মহিলা মাদরাসার এক ছাত্রীকে দুই দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ আগস্ট ওসমানীনগরের ঘোঁষগাও গ্রামে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও স্থানীয় কিছুসংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিতার পরিবার থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জনা যায়, গত ১৪ আগস্ট রাতে থানার ঘোষগাঁও গ্রামের এক দিনমজুরের মাদরাসাপড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বাথরুমে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা একই গ্রামের নেপুর মিয়া, শানুর মিয়া, আইয়ব আলীসহ চার-পাঁচজনের একটি দল তাকে জোর করে অপহরণ করে আওয়ামী লীগ নেতা সারজান খাঁর বাড়িতে তুলে নেয়। সেখানে প্রায় ২ দিন আটকে রেখে তারা গণধর্ষণ করে। ধর্ষিতার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ওসমানীনগর থানা পুলিশ আওয়ামলী লীগ নেতা সারজান খাঁর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বীরগঞ্জে ধর্ষক আটক : দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার আশ্রয়ণের বাসিন্দা চন্দন রায়ের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। ধর্ষক একই এলাকার খড়িকাদাম গ্রামের দর্শন রায়ের ছেলে ও বীরগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক নগেন্দ্র নাথ রায়।
নবীগঞ্জে গৃহবধূর চুল কর্তন : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শেখ সুহেনা বেগম নামের এক গৃহবধূকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে প্রতিবেশী দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার স্বামী আহমদ আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই এলাকার আলী আহমদের বসতঘরে প্রতিবেশী নুরুজ্জামানের একটি মোরগ প্রবেশ করে জিনিসপত্র নষ্ট করে। এ নিয়ে দু’পরিবারে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুজ্জামানের ভাই রহমত আলী ও ভাগ্নে জাকির হোসেন মিলে সুহেনাকে মারধর করে এবং জোরপূর্বক তার মাথার চুল কেটে ফেলে। পরে আহত অবস্থায় সুহেনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/08/18/159903Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-18485995168683608032012-08-18T18:55:00.002-07:002012-08-18T18:55:15.097-07:00হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রের ১০টুকরা লাশ উদ্ধারSat 18 Aug 2012 9:17 PM BdST
হবিগঞ্জ, ১৮ আগস্ট (রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)-- হবিগঞ্জের মাধবপুর এক স্কুল শিক্ষার্থীর ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাধবপুরের রাজাপুর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওই স্কুল শিক্ষার্থী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (১৫)। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার মনতলা রেলস্টেশনের কাছে রাজাপুর নামকস্থানে স্থানীয় লোকজন শাহজাহানের টুকরো টুকরো লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
শাহজাহানের পরিবার ও এলাকার লোকজন জানান, নিহতের গায়ে কাদা ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের ধারণা, শাহজাহানকে হত্যা করে ট্রেনের নিচে ফেলা রাখা হয়েছে।
রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/প্রতিনিধি/একেএ/মাম_২১১৬ ঘ.
http://www.real-timenews.com/details.php?id=50854&p=1&s=4Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-5237064976281174532012-08-18T18:37:00.000-07:002012-08-18T18:37:01.119-07:00নতুন জামা না দিতে পেরে দুই সন্তানকে পদ্মায় ফেলে দিলেন বাবাSat 18 Aug 2012 5:51 PM BdST
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgo2SHO1IHknOLXyItQ3c8V8_p-CXfX66zsQdmLFX4U6rmsaRRTHlOQK1nnjzYOpMPEkZk2WGVchkSCtc2R7wHfByGXXBpvIjezv4qt8lNS_DAoTJOf2SPN3hSkeyly8SrMAB8fTuJWtpQ/s1600/dd.jpg" imageanchor="1" style="clear:left; float:left;margin-right:1em; margin-bottom:1em"><img border="0" height="233" width="340" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgo2SHO1IHknOLXyItQ3c8V8_p-CXfX66zsQdmLFX4U6rmsaRRTHlOQK1nnjzYOpMPEkZk2WGVchkSCtc2R7wHfByGXXBpvIjezv4qt8lNS_DAoTJOf2SPN3hSkeyly8SrMAB8fTuJWtpQ/s400/dd.jpg" /></a></div>
কুষ্টিয়া, ১৮ আগস্ট (রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)-- ঈদের নতুন পোষাক কিনে দিতে না পেরে কুষ্টিয়ার লালন শাহ সেতুর উপর থেকে দুই সন্তানকে পদ্মায় ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড বাবা।
শনিবার দুপুরে নির্মম এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বারদাগ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, আব্দুল মালেকের দুই সন্তান মুন্নি (১০) ও মানসুর (৫) ঈদের জন্য বাবার কাছে নতুন জামা কাপড় চায়। নতুন জামার জন্য সন্তানেরা জেদ করলে বাবা তার দুই সন্তানকে ঈদের জামা কাপড় কিনে দেওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বের হয়।
কিন্তু আব্দুল মালেক দুই সন্তানকে বাজারের দিকে না দিয়ে লালন শাহ ব্রিজের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বাজারে না গিয়ে ব্রিজের ওপর কেন যাচ্ছো সন্তানদের এমন প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে মালেক প্রথমে মুন্নীকে সেতুর ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনা দেখে শিশুপুত্র মানসুর জীবন বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার করতে করতে দৌঁড়াতে থাকে। কিন্তু বাঁচতে পারেনি পাষণ্ড পিতার হাত থেকে। কিছুদূর যাওয়ার পরই মানসুরকে ধরে ফেলে মালেক। পরে তাকেও হাত পা ধরে বোনের মতই পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে নিজেও লাফ দেয়।
এলাকাবাসী মালেককে উদ্ধার করতে পারলেও তার দুই সন্তানকে নদী থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। মালেককে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালেক জানান ‘অভাবের সংসার, পেটে ভাত নাই, সন্তান বাঁচি রাখি কী করব? তাই ব্রিজের ওপর নিয়ে ওদেরকে ফেলি দিছি।’
নিহত সন্তানদের মা মমতাজ খাতুন বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে দুই ছেলেমেয়েকে জামা কাপড় কেনা ও চুল কাটানোর কথা বলে নিয়ে যায় মালেক। এরপর তাদের কেউ আর ফিরে আসেনি। পরে তিনি শুনতে পান, ছেলে-মেয়েকে তার স্বামী নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
ভেড়ামারা থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মতিন বলেন, মালেককে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই সন্তানকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা সুস্থ অবস্থায় তিনি স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দুই সন্তানকে উদ্ধারে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে নেমেছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/প্রতিনিধি/একেএ/মাম_১৭৪৯ ঘ.
http://www.real-timenews.com/details.php?id=50850&p=1&s=4Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-23156734913515150832012-08-09T10:47:00.003-07:002012-08-09T10:48:01.446-07:00নিজগ্রামে সোহেলের দাফনসম্পন্ন : বিক্ষোভে উত্তাল রাবি ক্যাম্পাস : ভিসির অপসারণ দাবি, ছাত্রলীগের ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১রাবি ও কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেলের দাফনসম্পন্ন হয়েছে। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নিজগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে সোহেল হত্যার ঘটনায় গতকাল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল, মানববন্ধন, মুখে কালো কাপড় ও কালোব্যাজ ধারণ, সংবাদ সম্মেলন, নিন্দা ও বিবৃতিসহ এসব কর্মসূচি থেকে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিসহ সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ সময় বর্তমান ভিসির আমলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৪ ছাত্রের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তার অপসারণ দাবি করেন তারা। এদিকে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোহেলের দাফনসম্পন্ন : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নিজ গ্রামে সাবদী মাদরাসা মাঠে গতকাল সোহেলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার বাবা মৌলভী আবদুস সালাম জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। আশা ছিল সোহেল মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাড়ি ফিরবে, কিন্তু আজ আমার ছেলে লাশ হয়ে ফিরল। তিনি সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, আমিই যেন এই দেশের শেষ বাবা হই যার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে ঢাকা থেকে সোহেলের লাশ রাত সাড়ে ১১টায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। তখন আশপাশের গ্রামের নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোরের ঢল নামে তাদের প্রিয় সোহেলকে এক নজর দেখতে।
১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১ : এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি গ্রুপের সমর্থক তৌহিদ আল তুহিনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় একটি হত্যামামলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নোমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার অন্যতম আসামি ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে একই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন চলার সময় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান আমার দেশ-কে বলেন, সোহেল হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের তুহিনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষকদের মৌন মিছিল : সোহেল হত্যার বিচার, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ ভিসির অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসে মৌনমিছিল করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। বেলা ১১টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে শেষ হয়।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. শামসুল আলম সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান ভিসি প্রতিনিয়ত ৭৩’র আইনের পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সিন্ডিকেটে বেশ কয়েকজন ভিন্নমতালম্বী সদস্য থাকার পরও সোহেল হত্যা তদন্তের জন্য সিন্ডিকেটে দলীয় লোকদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এর আগেও এরকম অনেক তদন্ত কমিটি হয়েছে কিন্তু কোনো প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। এ কমিটি থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না উল্লেখ করে প্রফেসর শামসুল বলেন, এ তদন্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে সব মতের শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি চাই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জন ছাত্র নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। কিন্তু কোনোটির বিচার হয়নি। ভিসির মদতেই সোহেলকে হত্যা করা হয়েছে, কারণ তিনিই পদ্মা সেতুর চাঁদা তোলার দায়িত্ব ছাত্রলীগকে দিয়েছেন এবং কার্যক্রমের উদ্বোধনও করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রফেসর শামসুল বর্তমান ভিসির পদত্যাগ দাবি করে বলেন, আমরা এ ভিসিকে আর চাই না। অবিলম্বে তার অপসারণ চাই।
সমাবেশে শিক্ষকরা নিহত সোহেলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একই দাবিতে আজ শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করবেন। দাবি পূরণ না হলে পরে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান শিক্ষকরা। এসময় ইবির সাবেক ভিসি প্রফেসর মু. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক মু. আজাহার আলী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
৩০১ শিক্ষকের বিবৃতি : একইদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০১ জন শিক্ষক এক বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, বর্তমান প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির অর্বাচীন ও দলবাজির নির্মম পরিণতি এ হত্যাকাণ্ড। পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য উঠানো চাঁদার ভাগিভাগি নিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব ভিসির ওপর বর্তায়। কারণ, তিনি নিজ উদ্যোগে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে বিতর্কিত চাঁদা তোলা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নিহত ছাত্রের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় অবিলম্বে এই দলবাজ ভিসির অপসারণ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন : প্রফেসর মু. আজহার আলী, এম রফিকুল ইসলাম, এম আমিনুল ইসলাম, ড. মামনুনুল কেরামত, ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী, সিএম মোস্তফা, ড. বেলাল হোসেন, এম আবুল হাশেম, এম নজরুল ইসলাম, এবিএম শাহজাহান, ড. শামসুল আলম সরকার, ড. আমজাদ হোসেন, ড. এম ফজলুল হক, এফ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন : সোহেলের সহপাঠী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা গতকাল মুখে কালো কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিভাগের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে ৫ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন, অভিজিত রায়, ৪র্থ বর্ষের ইতি, ৩য় বর্ষের শীলা, বিপ্লব, আরিফ প্রমুখ। বক্তব্যের সময় অনেকেই সহপাঠীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ : একই ঘটনার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল আলম শিপলুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি শিপন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন নিরাপত্তার নামে ক্যাম্পাসকে ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে। এখানে একের পর এক ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটছে। যেখানে সোহেল নিহত হয়েছে, সেখানে পুলিশের দুটি ক্যাম্প থাকার পরও পুলিশ কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তিনি অবিলম্বে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, লোক দেখানো তদন্ত কমিটি বাতিল ও অবহেলার কারণে প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে পদ্মা সেতুর টাকা ভাগের বিষয় অস্বীকার : এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে আদায় করা চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল নিহতের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারের পর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তা অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি আহম্মেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই রোববার রাতের ঘটনায় সোহেল নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই পদ্মা সেতুর চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারার কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী পদ্মা সেতুর টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়েই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন। এদের মধ্যে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বারী অন্যতম। তবে তিনি গতকাল তার দেয়া আগের বক্তব্য অস্বীকার করেন।
ছাত্রলীগের দুজনকে বহিষ্কার : এ ঘটনায় রাবি শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের দুই নেতাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
তদন্ত কমিটির কাজ শুরু : এদিকে সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. গোলাম কবির। তিনি আমার দেশকে বলেন, আজ (গতকাল) কমিটির সব সদস্যের কাছে চিঠি পৌঁছানোর পর আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি একপক্ষীয় এবং আগের কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসন গঠন করে দিয়েছে; এতে আমাদের করার কিছু নেই। এর আগে প্রতিবেদন জমা ও শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরই মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একপক্ষীয় ও দলীয় উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সোহেলকে হত্যা করা হয়।
এদিকে সোহেল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান সোহেলকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মতিহার থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। আশরাফুজ্জামান সোহেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-31862760063319442612012-06-01T17:36:00.000-07:002012-06-01T17:36:11.849-07:00Friday, 25 May, 2012 2:38:52 PM
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাক্ষী
নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিতর্ক
ফজলুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
বার্তা২৪ ডটনেট
http://www.barta24.net/?view=details&data=Cook&web=0&menu_id=64&news_id=47280#.T8DF6m1R5Ls.facebook<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9saIzQ85ShnImR6lw-CFgK6W-R41mqpI8UZ6r4drhdWv_XC934pMsOjjtTkWTxxeRJ_vLVoCD_SOd89Oljyn1NrcA5DIMFPcHxY2ho211rRbbS2ojAAxQQMCMZvR9gNV0hmB7bn8Ie3g/s1600/ict.jpg" imageanchor="1" style="clear:left; float:left;margin-right:1em; margin-bottom:1em"><img border="0" height="72" width="204" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9saIzQ85ShnImR6lw-CFgK6W-R41mqpI8UZ6r4drhdWv_XC934pMsOjjtTkWTxxeRJ_vLVoCD_SOd89Oljyn1NrcA5DIMFPcHxY2ho211rRbbS2ojAAxQQMCMZvR9gNV0hmB7bn8Ie3g/s400/ict.jpg" /></a></div>
ঢাকা, ২৫মে: মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য যে সব সাক্ষী আনার কথা ছিল, তাদেরকে আনতে না পারায় প্রসিকিউটদের নিয়ে নানা যুক্তি-তর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিশেজ্ঞদের মাঝে।
বিশেষ করে জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচারের সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেছেন, সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন। তবে নিজেদের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতা ঢাকতে তারা বিভিন্ন সময়ে নিচ্ছেন নানা কৌশল।
আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম রব, মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, ওয়ার ক্রাইমস্ ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা. এম এ হাসান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রধান শাহরিয়ার কবির প্রসিকিউশনের দক্ষতা ও সামর্থ্য নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেগুলো বাস্তব হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
সাঈদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৬৮জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ১৮ জনের পর আর বাকি সাক্ষীদের হাজির করতে না পেরে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে আদালতে আবেদন এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা মনে করছেন।
প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন, এই বিচারকে বিতর্কিত করতেই এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মতে, প্রসিকিউশন ও ট্রাইব্যুনালের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে জনগণের বহুল প্রত্যাশিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেমন বিতর্কিত হবে, তেমনি আন্তর্জাতিক মহলেও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আইনজীবীরাও বলেছেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী না আনতে পারলে প্রসিকিউশনের উচিত ছিল আদালতকে তা সাফ জানিয়ে দেয়া। কিন্তু সাক্ষী না এনে তদমত্ম কর্মকর্তার কাছে দেয়া বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে দেখানোর কারণে আসামীদের পক্ষেথেকে ও বিচার হোক যারা না চায় তাদের মতো বিরোধী শক্তি বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
‘সাঈদীর সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আমরা ন্যায়বিচার করবো না’ বলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্য নিয়েও ট্রাইব্যুনালে বাইরে এসে ডিফেন্সের পক্ষে থেকে ধূম্রজাল তৈরি করা হয়েছে। এই সব নিয়েও বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে নানা মন্তব্য ও সমালোচনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
এছাড়া, প্রসিকিউশন প্রখ্যাত কলাম লেখক ও বিশিষ্ট জাদুশিল্পীর সাক্ষ্যর বিষয়ে বেঠিক পন্থার আশ্রয় নিয়েছেন বলে তারা বলেন। বিশিষ্ট কলাম লেখক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির সাঈদীর মামলার সাক্ষী না হলেও প্রসিকিউশন তাকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করলে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না বলেও তাদের আবেদনে ট্রাইব্যুনালকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, “আমি কখনোই সাঈদীর মামলার সাক্ষী ছিলাম না, কিন্তু এ বিষয়ে প্রসিকিউটররা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একই ঘটনা ঘটেছে প্রখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ ও অধ্যাপক জাফর ইকবালের ক্ষেত্রেও।
কোনো ধরনের আলাপ আলোচনা ছাড়াই প্রসিকিউশন তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীর তালিকায় উপস্থাপন করে অনুপস্থিত দেখিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রসিকিউশন সাঈদীর মামলায় অধ্যাপক জাফর ইকবালকে সাক্ষী করার জন্য বেশ কয়েক ধর্না দিলেও তিনি সাফ ‘না’ করে দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে জাফর ইকবাল বলেছেন, “আমি চাই আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার হোক, কিন্তু এ ঘটনায় সাঈদী জড়িত কিনা, তা না জেনে আমি কিভাবে সাক্ষ্য দেবো।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সহায়ক মঞ্চের অন্যতম উপদেষ্টা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, “সাক্ষী আনতে অবশ্যই তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের আন্তরিক থাকা উচিত, পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যকে সাক্ষ হিসেবে গ্রহণ করা আইনীভাবে যথার্থ নয়।”
‘আমরা বিচার করবো না’ - ট্রাইব্যুনালের এমন মন্তব্যকেও সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেছেন, “পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে নেয়া পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন, মধ্যযুগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।”
আর, ‘আমরা সুবিচার করবো না’ বলে মন্তব্য করে ট্রাইব্যুনাল নিরপেক্ষতা হারিয়েছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের এই সিনিয়র আইনজীবী।
জয়নাল আবেদীন বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে সাক্ষীর নামে সরকারের মনগড়া কথাই লিখে দিয়েছেন। এখন সাক্ষী না পেয়ে এগুলোকেই সাক্ষ্য হিসেবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে একটি প্রহসনের বিচারের আয়োজন চলছে।” এ ধরনের তৎপরতা আইনের শাসনের জন্য শুভ নয় বলে মন্তব্য জয়ানাল আবেদীনের।
কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমরা বিচার করবো না- এ ধরনের বক্তব্য কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকার রাজনীতি করছে বলে এই বিচারের কর্তাব্যক্তিরাই এ ধরনের মন্তব্য করছেন।”
তিনি আরো বলেন, “ভোটের রাজনীতিতে সুফল পেতেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হচ্ছে।” এ বিচারে সরকারের আন্তরিকতা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন কাদের সিদ্দিকী। তার মতে, “সাক্ষীকে আদালতে না এনে পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্য জবানবন্দি হিসেবে নেয়ার ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম ঘটলো। এর ফলে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে বিতর্কের অস্ত্র তুলে দেয়া হলো।”
ইতোমধ্যে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকেও কঠোর ভাষায় ১৫ জনের বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এমকে আনোয়ার সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের এসব আচরণকে জংলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশ কার কাছ থেকে কি বক্তব্য নিলো, সেটি যাচাই বাছাই বা জেরার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করার নজির পৃথিবীর ইতিহাসের কোথাও নেই।” এ ধরনের বিচার মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা বিচার করবো না, ট্রাইব্যুনালের এ ধরনের উক্তি হলো বর্বর উক্তি।” তিনি বলেন, “এর ফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে, তারা ন্যায়বিচার করবেন না।”
জানা গেছে, মাওলানা সাঈদীর সাক্ষ্য আনা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রসিকিউটররা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সাক্ষী না আনতে পারার পেছনে পাঁচটি কারণ তারা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি কারণ হলো, তদন্ত কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা। কারণ ৪১ বছর আগের ঘটনাগুলোর সাথে তারা গ্রেফতারকৃত রাজনৈতিক নেতাদের কোনো সম্পৃক্ততা যথার্থভাবে দেখাতে পারছেন না। এজন্য, সংশ্লিষ্ট সাক্ষীও তারা আনতে পারছেন না।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, সাঈদীর সাক্ষী আনতে না পারার অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বেশ কিছু কৌশল তারা হাতে নিয়েছেন। তবে ডিফেন্স টিমের দাবি হচ্ছে, সাঈদীর মামলার মতো অন্য অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যকেই তারা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার চেষ্টা করছেন। আর সাঈদীর মাধ্যমেই তা জায়েজ করে পরবর্তীদের জন্যও একই আবেদন করার মাধ্যমে প্রসিকিউটররা আরো বেশি সমালোচনায় পড়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি ও জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম, বর্তমান আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রস্তুতি চলছে বলে আসামিপক্ষের দাবি।
এক্ষেত্রে বিশেষ করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মতিউর রহমান নিজামীর নিজামীর নির্বাচনী এলাকায় সাক্ষীদেরকে হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা।
তবে যাদেরকে প্রাথমিকভাবে সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার চিন্তা করেছিল প্রসিকিউশন, তারাও কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের দাবি।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম নেতা শাহরিয়ার কবির বার্তা২৪ ডটনেটের সঙ্গে আলাপ কালে প্রসিকিউশনের এসব তৎপরতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, “আমি পরিষ্কার করে প্রসিকিউশন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছি যে একজনের বিষয়ে সাক্ষী দেব ট্রাইব্যুনালে এবং সেটি আপনাকেও বলেছি।”
এ সময় তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক প্রত্যেকের এলাকাতেই অনেক সাক্ষী পাওয়া যাবে। তারা তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে সাক্ষী হিসেবে অনেককেই আনবেন বলে আমার ধারণা। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রকৃত ভিকটিম রয়েছেন।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে আটক জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৫ সাক্ষীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার আদেশর পর ডিফেন্সের রিভিয়ু আবেদন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামি পক্ষ পাল্টা-পাল্টি যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছেন।
বার্তা২৪ ডটনেট/এফএইচ/জিসাAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-2289056120880087352012-01-01T00:16:00.000-08:002012-01-01T00:17:25.545-08:00ইশতেহারের সিকিভাগও বাস্তবায়ন হয়নি<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgna61Tpn33srG8fqMOa23BrEuzLZ1UGsFjN_Znk7J-hLhd4DXylC8maZ2992hfzstIYFF3fI8bRzRdN9NDRtM71Qb4FnZCBJnRNPcx53X0AjhZXj1e5Ts1MRw3EzAYVRcDyIp67BEV3B8/s1600/P1_Lead_88.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 226px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgna61Tpn33srG8fqMOa23BrEuzLZ1UGsFjN_Znk7J-hLhd4DXylC8maZ2992hfzstIYFF3fI8bRzRdN9NDRtM71Qb4FnZCBJnRNPcx53X0AjhZXj1e5Ts1MRw3EzAYVRcDyIp67BEV3B8/s400/P1_Lead_88.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5692574709743111394" /></a><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br />এমরান হোসাইন<br />ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। পাঁচ বছর মেয়াদি সরকারের ৩ বছরে নির্বাচনী ইশতেহারের সিকিভাগও বাস্তবায়ন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, পদ্মা সেতু নির্মাণ, রাজধানীর যানজট নিরসন, দুর্নীতি রোধ, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ, মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত, প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত, পুঁজিবাজারের বিকাশ, প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ শত প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিলেও তিন বছরের মধ্যে এগুলো পূরণ হয়নি। রংপুরকে বিভাগ করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, জাতীয় শিক্ষানীতি ও নারীনীতি প্রণয়নসহ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কিছু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও এগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের তীব্র আপত্তি রয়েছে। সরকারের বাকি দু’বছরে এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে খোদ সরকারের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। পদ্মা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ কিছু কিছু প্রকল্পের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা শুরু করতে পারলেও সরকারের চলতি মেয়াদে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবেন না। এদিকে নির্বাচনের আগে জনগণকে দেয়া এসব ওয়াদা পূরণে সরকারের নজর না থাকলেও সরকারদলীয়দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও বিরোধী দলের প্রতি নিপীড়নমূলক অনেক কিছুই বাস্তবায়িত হয়েছে অনেকটা তড়িঘড়ি করে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ হলেও এই সরকার তার ইশতেহারের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।<br />গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার শেরাটন হোটেলে (বর্তমানে রূপসী বাংলা) এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘দিনবদলের সনদ’ নামে ২৪ পৃষ্ঠার একটি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ইশতেহারের লিখিত প্রতিশ্রুতির বাইরেও নির্বাচনী বক্তৃতায় জনগণকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানো, কৃষকদের বিনামূল্যে সার প্রদানসহ বেশকিছু বিষয়ে ওয়াদা দেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার আসার পর সরকার এসব মৌখিক ওয়াদা অস্বীকার করার পাশাপাশি ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির বিষয়েও কোনো অগ্রগতি নেই।<br />আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে। ইশতেহারের অগ্রাধিকারের ৫টি বিষয়ের প্রথমটিতে বলা হয়—চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান এই প্রতিশ্রুতি পূরণেও তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম কমানো তো দূরের কথা, এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ব্যর্থ হয়েছে। গত তিন বছরে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে লাগামহীনভাবে। জিনিসপত্রের দামের জন্য জনগণের দুর্ভোগের কথা সম্প্রতি স্বীকার করেছেন সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। দফতর বদলে বেসরকারি বিমান চলাচলমন্ত্রী হওয়ার পর আগের দায়িত্ব পালনে নিজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, তার অনেক ক্ষেত্রে সফলতা থাকলেও দ্রব্যমূল্যের জন্য দেশের মানুষ কষ্ট পেয়েছেন। <br />সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় মোটা চালের কেজিপ্রতি মূল্য ২৫ থেকে ২৭ টাকার মধ্যে থাকলেও বর্তমানে এর দাম ৩৫ থেকে ৩৭ টাকার মধ্যে। ওই সময়ে নাজিরশাইল চালের দাম ৪০ থেকে ৪২ টাকা থাকলেও বর্তমানে এর বাজারদর ৫৪ থেকে ৫৭ টাকা। ২৩ টাকা কেজির আটা এখন ৩০ টাকা। ৩০ টাকা কেজির চিনি হয়েছে ৬৫ টাকা। ৯০ টাকা দরের সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে ১৩৫ টাকা। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও সমহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ইশতেহারে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ‘জড়িত’ সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকার এক্ষেত্রে কোনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বরং তথাকথিত ওই সিন্ডিকেট এখন খোলস পাল্টে সরকারের ছত্রছায়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।<br />ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে সড়ক, রেল, নৌ, বিমান পরিবহন ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী সেতু, টানেল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেস সড়ক নির্মাণে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এখন পর্যন্ত এর কিছুই হয়নি। ক্ষমতা গ্রহণের পর পদ্মা সেতুকে সরকার তার প্রধান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প উল্লেখ করে কার্যক্রম শুরু করে। গত তিন বছরে এর পেছনে সরকারের খরচও হয় প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু সেতুর দরপত্র প্রক্রিয়াকালে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ সেতু নির্মাণে ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ঋণ স্থগিত করে। বিশ্বব্যাংকের দেখাদেখি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জাইকাও ঋণ সহায়তা বন্ধ রেখেছে। দুর্নীতির কারণে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে এ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়েও দেয়া হয়। বর্তমানে এ সরকারের মেয়াদে পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো সম্ভাবনাই নেই।<br />সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নিলেও ৩ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ১৯ মাসে কাজ হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। বাকি ১৭ মাসে এ কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে খোদ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এ প্রকল্পের বিষয়ে নতুন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে তারা মাত্র ৪২ কিলোমিটার অংশ দৃশ্যমান করতে পারবেন। উল্লেখ্য, সড়কপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৮০ কিলোমিটার।<br />আওয়ামী লীগের ইশতেহারে রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে ডজনখানেক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি থাকলেও তার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। ইশতেহারে ঢাকায় পাতাল রেল/মনোরেল, সার্কুলার রেলপথ এবং এলিভেটেড (উড়াল সড়ক) রাস্তা নির্মাণ করে গণপরিবহন সমস্যার সমাধান, ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার (অরবিটাল) জলপথ, বেড়িবাঁধ, সড়ক, রেলপথ নির্মাণ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও এখন পর্যন্ত এ কাজের অগ্রগতি কেবল ওই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনই! এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টেন্ডারের দেন-দরবারের ক্ষেত্রে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। মেট্রোরেল স্থাপন প্রকল্পটি আটকে গেছে এর রুট ঠিক করার মধ্যে। এর রুট নিয়ে বিমানবাহিনী, সংসদ ভবন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের মধ্যে রশি টানাটানি চলছে।<br />মহাজোট সরকার তার বিদ্যুত্ খাতে সবচেয়ে সফল বলে দাবি করলেও তিন বছরে তার প্রতিশ্রুতির অর্ধেক বিদ্যুত্ও উত্পাদন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১১ সাল নাগাদ ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এ সময়ে তারা আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পেরেছে বলে দাবি করছে। তবে এ সময় অনেক পুরনো বিদ্যুেকন্দ্রে উত্পাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।<br />এদিকে সফলতার (সরকারের দাবি মতে) এ বিদ্যুত্ খাত এখন সরকারের গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধছে। বিনা টেন্ডারের সঙ্গে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল উচ্চমূল্যে বিদ্যুত্ ক্রয় করতে গিয়ে সরকারকে বড় অংকের ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে। সরকারি তথ্যমতে, জ্বালানিভিত্তিক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুেকন্দ্র হতে বিদ্যুত্ ক্রয়ের জন্য চলতি অর্থবছরের প্রথম দু’মাসে (জুলাই-আগস্ট) ১ হাজার ২৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু বিদ্যুত্ খাতেই সরকারকে বছরে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তেল ও গ্যাস খাত মিলিয়ে এ ভর্তুকি ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। সরকারের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে মাশুল দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। বিদ্যুত্ খাতের দুর্নীতি থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের রেহাই দিতে সরকার এ সংক্রান্ত একটি ইনডেমনিটি বিলও সংসদে পাস করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক দফায় প্রতিটি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩ দফায়। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় দু’দফায় আর সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও মহাজোট সরকার গত ৬ মাসে তিন দফায় তেলের দাম বাড়িয়েছে। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ জাতীয় কয়লানীতি প্রণয়ন করার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত তা হয়নি।<br />আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই ঘোষিত ১৪ দলের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি এবং ২২ নভেম্বর গৃহীত ২৩ দফা অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির আলোকে এবং বিগত ৭ বছরের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে এই কর্মসূচি (ইশতেহার) প্রণীত হয়েছে। ১৪ দলের ৩১ দফা ও ২৩ দফার প্রধান দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রণীত এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাই পুরোপুরি বাতিল করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। উচ্চ আদালতের একটি রায়ের ওপর ভর করে দেশের জনমত উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে এই সরকার। এমনকি সরকারের শরিকদের অনেকেই এ ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে ছিলেন। হাইকোর্ট আগামী দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল রাখার প্রতি মত দিলেও সরকার তা গ্রহণ করেনি। এ ক্ষেত্রে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময়টাও দেয়নি সরকার।<br />আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে অগ্রাধিকারের ২নং ধারায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে শক্তিশালী করার কথা বললেও এ সরকারের হাতেই এর স্বাধীনতা খর্ব হতে চলেছে। সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধনের লক্ষ্যে সংসদে যে বিল উত্থাপন করেছে তাতে কমিশনের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, দুদক নখরবিহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও বিরোধী মতের হয়রানিতে সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘স্বাধীন’ এ কমিশন। আসল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারলেও বিরোধীদলীয় মতের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির নামগন্ধ পেলেই তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগছে প্রতিষ্ঠানটি।<br />ইশতেহারের অগ্রাধিকারের ৫নং ধারায় বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন, ন্যায়পাল নিয়োগ, মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোরভাবে বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে নামকাওয়াস্তে মানবাধিকার কমিশন গঠন ছাড়া আর কোনো কিছুই করতে পারেনি সরকার। মানবাধিকার কমিশন গঠন হলেও এ প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে এর কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা তো দূরের কথা, বিচার বিভাগ দলীয়করণে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে পদে পদে। বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের পরিবর্তে এটা আরও বেড়ে চলেছে। এর সঙ্গে নতুন সংস্করণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে গুপ্তহত্যা। ন্যায়পাল নিয়োগ তো হয়ইনি, বরং বিগত চারদলীয় জোট সরকার যে কর ন্যায়পাল নিয়োগ দিয়েছিল এ সরকার তা বাতিল করেছে।<br />ইশতেহারে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের কার্যক্রমে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে একটি সংস্কার প্রস্তাব সরকারের কাছে প্রস্তাবাকারে জমা দিলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে।<br />জাতীয় সংসদকে কার্যকর ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বললেও মহাজোট সরকার এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। সংসদ কার্যকর হওয়ার পরিবর্তে এটা পরিণত হয়েছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও সরকারি দলের স্তুতিবন্ধনের কেন্দ্রস্থলে। বিরোধী দলকে সংসদে আনার ব্যাপারে সরকারের কোনো কার্যকর তত্পরতা নেই। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কতিপয় সুনির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া সংসদ সদস্যদের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার দেয়ার কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে বিশেষ কমিটিতে এ ধরনের প্রস্তাব এলেও অজ্ঞাত কারণে তা গৃহীত হয়নি। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৩৩ শতাংশে উন্নীত তথা সংসদে প্রত্যক্ষ ভোটে নারীর জন্য ১০০ আসন সংরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও বিগত জোট সরকার সংরক্ষিত যে ৪৫টি আসন করেছিল তার থেকে মাত্র ৫টি বাড়িয়ে ৫০টি করেছে এই সরকার। আর এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতি থাকলেও এ সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি।<br />আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উত্স প্রতিবছর জনসমক্ষে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত ৩ বছরে একবারও সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নানামুখী চাপে সম্প্রতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।<br />ইশতেহারে ২০১৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্যসীমা ও চরম দারিদ্র্যের হার যথাক্রমে ২৫ ও ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হলেও তিন বছরে এক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো কোনো অর্জন সরকারের নেই। বেকারত্ব বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি লোক বেকার বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।<br />ইশতেহারে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও ঘটেছে উল্টোটা। বিরোধী দল থেকে কোনো কর্মসূচি দেয়া হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে হরহামেশাই। বিরোধী দল দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকার দলীয় ক্যাডারদেরও মাঠে দেখা যাচ্ছে। অপরদিকে সরকারি দলের কর্মসূচি চলছে পুলিশি প্রটেকশনে।<br />ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দলীয়করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং যোগ্যতা, জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে সব নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারে গিয়ে তা বেমালুম ভুলে গেছে। গত তিন বছর প্রশাসনে চলেছে নগ্ন দলীয়করণ। মেধা যোগ্যতার পরিবর্তে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে হয়েছে পদোন্নতি ও বদলি। অপরদিকে সরকার দলের আনুগত্যে বিশ্বাসী নয়, এমন অজুহাতে অনেক মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাকে দিনের পর দিন ওএসডি করে রেখেছে। কাউকে কাউকে দেয়া হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসর। ইশতেহারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন করার কথা বলা হলেও তিন বছরে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।<br />ইশতেহারে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কথা বলা হলেও দেশের খাদ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। গত তিন বছরে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে সরকারকে।<br />নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ ও পানিসম্পদ রক্ষায় কার্যকর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকার নিজের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়েছে। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও করতে পারেনি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি। বাংলাদেশের প্রাপ্যতা, হিস্যা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান পানি সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ একটি সমন্বিত পানিনীতি প্রণয়ন এবং আঞ্চলিক পানি নিরাপত্তা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিলেও, এ বিষয়ে ৩ বছরে সরকারের কোনোই উদ্যোগের খবর পাওয়া যায়নি।<br />প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলেও এটা নিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর তীব্র আপত্তি। ইশতেহারে এক বছরের মধ্যে (২০১০ সালের মধ্যে) প্রাথমিক স্তরে নিট ভর্তি ১শ’ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হলেও ৩ বছরে তা করতে পারেনি এ সরকার। শিক্ষাঙ্গনকে দলীয়করণমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। গত ৩ বছর ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের দখলের মহোত্সব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে হয়েছে চরম দলীয়করণ। শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর বেতন কাঠামো ও স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন এবং স্বতন্ত্র কর্মকমিশন গঠনের কথা বলা হলেও ৩ বছর ধরে সরকার এটা নিয়ে কেবল ঘোষণার মধ্যে রয়েছে। স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করার প্রতিশ্রুতিও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। রাজধানী ঢাকার প্রতি থানায় সরকারি মাধ্যমিক হাইস্কুল ও প্রতি উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুুতিও পূরণ করতে পারেনি সরকার।<br />ইশতেহারে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি নবায়ন, ওষুধনীতি যুগোপযোগী ও প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়নের কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুসারে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক প্রণীত নারীনীতি পুনর্বহাল করা হলেও এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের তীব্র আপত্তি রয়েছে। <br />আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বড় ধরনের ফাঁক রয়েছে। ইশতেহারের পরিশিষ্ট অংশে রূপকল্প (ভিশন) অনুযায়ী বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে যে ২৩টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অনেকটাই প্রতারণার শামিল। আওয়ামী লীগ যে ২৩টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার মধ্যে মাত্র ৭টি সরকারের মেয়াদে অর্থাত্ ২০১৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা হলেও ইশতেহারে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই এই সরকারের মেয়াদের পরে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত, যা বাস্তবায়নে আরও দুটি সরকারের প্রয়োজন হবে। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদান, রংপুরকে বিভাগে উন্নীতকরণ ও বিগত আওয়ামী লীগ আমলের কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-64261737822407895882011-12-31T23:54:00.000-08:002011-12-31T23:55:41.906-08:00বাঁকা চোখে : বোবাদের নিয়ে ড. কামালের মহাচিন্তা<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipdqH9ktE0Pi9YEVurqIXpz5g7-ciguzuSJM82oKGOCULrHI59bJVmTx8MlDNcmaT8Wsl34zu__aq1q-mf6qnYrcqidHUteClhXLxd3UnFYYohuo1_lNyLPXxQoHHH0ChzoQwynVrxRrM/s1600/Rajneeti_Kamaa.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 144px; height: 179px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipdqH9ktE0Pi9YEVurqIXpz5g7-ciguzuSJM82oKGOCULrHI59bJVmTx8MlDNcmaT8Wsl34zu__aq1q-mf6qnYrcqidHUteClhXLxd3UnFYYohuo1_lNyLPXxQoHHH0ChzoQwynVrxRrM/s400/Rajneeti_Kamaa.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5692568992164980226" /></a><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br />স্টাফ রিপোর্টার<br />ড. কামাল হোসেন মনে করেন বর্তমান সংসদ একটি বোবা সংসদ। সংসদের সব এমপিও বোবা। এই বোবা সংসদ ও এমপিদের নিয়েই তার যত দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তা আর আক্ষেপের কথা প্রকাশ করে গণফোরাম সভাপতি এই আইনজীবী বলেছেন, সারাদেশের ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত তিনশ’ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হলেও এখানে মূলত একজনের (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছা-অনিচ্ছা আর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। সংসদ নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারে—এ ভয়ে অন্যান্য সদস্য কথাই বলেন না। তিনি বলেন, সংসদে তিনশ’ লোক বোবার মতো বসে থাকে। কাজেই এটি একটি বোবা সংসদ। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় ৪ মিনিটে ঢাকা ভাগ বিল পাস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয় এই সংসদে। দেশের শেয়ারবাজার থেকে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা দেশের মানুষ, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে নাকাল ব্যবসায়ীরা অথচ বোবা সংসদ সদস্যরা এ নিয়ে সংসদে টুঁ শব্দটিও করেন না। গত ১০ ডিসেম্বর গণফোরামের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এমন উপলব্ধির কথাই বর্ণনা করেন প্রবীণ এই আইনজ্ঞ।<br />দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিবিদদের উপস্থিতিতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এমপিদের উদ্দেশে আরও বলেন, মাত্র ৪ মিনিটে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা শহর দুই ভাগ করার বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়ে গেল। নজিরবিহীন এ ঘটনার সময় আপনারা সবাই চুপ করে বসে থাকলেন। কেউ মুখ খুলে পক্ষে কিংবা বিপক্ষে একটি যুক্তিও দেয়ার সাহস পেলেন না। লাখ লাখ যুবকের সর্বনাশ করে শেয়ারবাজারের মুলধন লুট হয়ে গেল অথচ আপনারা সাহস করে কেউ একটি কথাও বললেন না। আপনারা সবাই বোবা হয়ে বসে থাকলেন অথচ মহান আল্লাহতায়ালা চোখ দিয়েছেন দেখার জন্য, কান দিয়েছেন শোনার জন্য আর মুখ দিয়েছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য। আপনারা সংসদে কিছুই বললেন না। তিনি এমপিদের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বলেন, আল্লাহ কি আপনাদের বোবা করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন? <br />জাতীয় সংসদ নিয়ে খ্যাতিমান আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের এই মন্তব্যের আগেও সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারপতি বোবা সংসদের বিষয়ে বলেছেন, জাতীয় সংসদে এমপিদের দায়িত্ব হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। অথচ জাতীয় সংসদে যারা যাচ্ছেন, তারা আইন সম্পর্কে কিছুই জানে না। তারা শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা ছাড়া আর কিছুই জানেন না। আইন মন্ত্রণালয় থেকে কেরানিরা যে ড্রাফট করে দেন, জাতীয় সংসদে এমপিরা তা টেবিল চাপড়ে হো হো করে পাস করে দেন। উত্থাপিত আইনের খসড়া জাতির কতটুকু উপকারে আসবে এটা দেখা বা ভাবার সময় তারা পান না।<br />http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/17/122523Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-42358256592672318392011-12-09T22:50:00.000-08:002011-12-09T22:53:39.689-08:00র্যাব পুলিশের নামে গুম ব্যক্তিদের খোঁজ মেলেনি<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEifrI2Yv_IDLAXraP0bgshOgn82mSw87iEQC41BFPkX1B_efZhTWjSnK0jnbJyf2SDKpgqtStQ1lq9t5O1__lnkBqnoeml4ZEV4lwNuRbzB8IIEoOh6_PCRIVyGRy1fjwWdSsFlolZpTjo/s1600/P1_rab-policer-namay.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 242px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEifrI2Yv_IDLAXraP0bgshOgn82mSw87iEQC41BFPkX1B_efZhTWjSnK0jnbJyf2SDKpgqtStQ1lq9t5O1__lnkBqnoeml4ZEV4lwNuRbzB8IIEoOh6_PCRIVyGRy1fjwWdSsFlolZpTjo/s400/P1_rab-policer-namay.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5684389186627676962" /></a><br /><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">আলাউদ্দিন আরিফ</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গুম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলছে। চলতি বছরের শেষ দিনগুলোতে কমপক্ষে ১০০ ব্যক্তি গুম হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। অপহরণ ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের কিছু ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধার হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোঁজই মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে গুম ও অপহরণ আতঙ্ক। প্রশ্ন উঠেছে এরপর টার্গেট কে? ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা বলছেন, আজ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এ সময়েও গুম হয়ে যাওয়া এসব মানুষের স্বজনরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রিয়জনদের সন্ধানে। আইনশৃঙ্খলা</div><div style="text-align: justify;">রক্ষাকারী বাহিনীর অফিস, মানবাধিকার সংস্থার অফিস, রাজনৈতিক নেতার দফতর, পত্রিকার অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিয়েও স্বজনের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তারা। জানতে পারছেন না তাদের স্বজন বেঁচে আছে না মরে গেছে। গুম হওয়া ব্যক্তিরা জীবিত না থাকলে তাদের অন্তত লাশ ফেরত চাইছেন তারা সংবাদ সম্মেলন করে। সে অধিকারটুকু থেকেও তারা আজ বঞ্চিত। </div><div style="text-align: justify;">বিশিষ্টজনরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানবাধিকার উঠে গেছে আমাদের দেশ থেকে। মানুষের বেঁচে থাকারও অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার, বন্দুকযুদ্ধসহ নানা নামে চলছে মানুষ হত্যা। র্যাব-পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও গুম হওয়া ব্যক্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় দেশে মানবাধিকারের বাণী এখন নিভৃতে কাঁদছে। </div><div style="text-align: justify;">জানা গেছে, ২৬ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসেরও কম সময় শুধু মতিঝিল থেকেই ৭ জন গুম হওয়ার বিষয়ে মামলা ও জিডি হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগ নেতা সারোয়ার জাহান বাবুল, ভোলার দিদার, বাহার ও জসিম, রামপুরার আরিফ ও মতিঝিলের জুয়েল। র্যাব পরিচয়ধারীদের হাতে গত ২৮ অক্টোবর হাতিরপুল থেকে গুম হয়েছেন ঢাকা বিশ্বদ্যািলয়ের ছাত্র শামীম হাসান সোহেল, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ হাজী ওরফে নুরু হাজী, তার জামাতা আবদুল মান্নান ও জামাতার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ইকবাল। নুরু হাজী গুম হওয়ার দেড় মাসের মাথায় গুম হয়েছেন মান্নান ও ইকবাল। কোরবানীর ঈদের পরদিন সূত্রাপুর থেকে গুম হয়েছেন ব্যবসায়ী মমিন হোসেন। গুম হয়েছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, বরিশালের উজিরপুরের বিএনপি নেতা ও ঢাকার ব্যবসায়ী হুমায়ন খান। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গত কয়েক মাসে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়দানকারীদের হাতে গুম হয়েছেন। র্যাব পুলিশ রহস্যজনক কারণে এসব গুমের মামলা তদন্ত করছে না। তাদের পরিবারের লোকজনও জানতে পারছে না যে তারা বেঁচে আছে না মরে গেছে। </div><div style="text-align: justify;">গত ২৮ নভেম্বর গুম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শামীম হাসান সোহেল। গুম হওয়ার ১২ দিন পরও তার সন্ধান মেলেনি। সোহেলের মা, ভাইসহ আত্মীয়স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, সাদা পোশাকে র্যাব পরিচয় দিয়ে তাকে ধরে নেয়া হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সোহেলের ভাই সাইমুন ইসলাম জানান, গত ২৮ নভেম্বর রাত ১০টায় সোহেলের সঙ্গে সর্বশেষ তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ওই সময় সোহেল জানায় সে শাহবাগে আছে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ২৮ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে হাতিরপুল এলাকা থেকে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও চারজনকে তুলে নিয়ে যায় তারা। সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরে ২০০০-০১ সেশনে অনার্সে ভর্তি হন। ২০০৮ সালে অনার্স পাস করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ওই ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের ছাত্র। ছাত্রদলের সূর্যসেন হল শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোহেল। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার পাঁচজুনিয়া গ্রামে। সোহেলের নিখোঁজের ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে করেছে তার পরিবার। র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সোহেলকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।</div><div style="text-align: justify;">থানায় করা সাধারণ ডায়েরির সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর র্যাব পরিচয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ হাজী ওরফে নূরু হাজী (৭৫)। হাজীর মেয়ে স্বপ্নার করা জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে গত ১৮ অক্টোবর রাত একটার দিকে সাদা পোশাকে ২০-২৫ জন যুবক সাভারের কাতলাপুর পালপাড়ার বাড়িতে ঢোকে। তারা নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে হাজীকে গাড়ি তুলে নেয়। এরপর থেকে হাজী এখনও নিখোঁজ। র্যাব ও পুলিশ তাকে ধরে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছে। </div><div style="text-align: justify;">গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক হাজীর বড় মেয়ের জামাই আবদুল মান্নান ও ইকবাল হোসেন নামের দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তাদের ধরে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেনি র্যাব ও পুলিশ। পরিবারের বাসিন্দারা জানান, র্যাব পরিচয়ে শনিবার রাতে কয়েক যুবক হাজীর মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর আলমকে খোঁজ করে। তারা জাহাঙ্গীরকে না পেয়ে আবদুল মান্নান ও ইকবালকে তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তারা নিখোঁজ রয়েছেন। </div><div style="text-align: justify;">গত ৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা আবদুর রহিম মানিক বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, পুলিশ পরিচয় দিয়ে গত ২৬ অক্টোবর তার ভাই সারোয়ার জাহান বাবুলকে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। ঘটনার ৪৫ দিন পার হয়ে গেলেও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। মানিক আরও জানান, তার ভাই ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের নেতা। ঘটনার দিন সোনাগাজী থানায় জনৈক নুরুন্নবী লিটনের দায়ের করা একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়ার জন্য ঢাকায় আসে। ওইদিন রাত ৮টায় ফকিরাপুলে হোটেল আসরের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে কয়েক যুবক তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে ঢাকার বিভিন্ন থানা, র্যাব অফিস, ডিবি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ২৭ অক্টোবর মানিক একটি জিডি করেন এবং ২৯ অক্টোবর ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি এখন ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। কিন্তু পুলিশ এখনও বাবুলের কোনো হদিস বের করতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে মানিক দাবি করেন, তার ভাই বেঁচে না থাকলে অন্তত তার লাশটি যেন পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। </div><div style="text-align: justify;">ভাইকে বিদেশ যাওয়ার ফ্লাইটে তুলে দেয়ার জন্য ভোলা থেকে দিদার, বাহার ও জসিম নামে ৩ যুবক ঢাকায় আসে। ওইদিন রাতেই র্যাব পরিচয়ে তাদেরকে গুম করা হয়। ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে জসিমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিদার ও বাহারের এখন পর্যন্ত কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এখন মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। </div><div style="text-align: justify;">এছাড়াও নভেম্বর মাসে মতিঝিল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে আরিফ ও জুয়েল নামে দু’ব্যক্তিকে। জানা গেছে, তাদের মধ্যে আরিফ রামপুরার গ্রামীণ সৌন্দর্যের মালিক ও জুয়েল শতাব্দী সেন্টারের নিরাপত্তারক্ষী। আরিফ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ২০ নভেম্বর মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।</div><div style="text-align: justify;">গত ২ অক্টোবর রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম অপহরণের শিকার হন। দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুরাতন ৭৬/এ, পশ্চিম আশকোনা দক্ষিণখান এলাকার মরহুম আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে সাইফুল ঘটনার দিন অফিসের কাজে বাসা থেকে গুলশানে যান। সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে থাকা অবস্থায় তার সঙ্গে কথা বলেন মা এবং বোনের সঙ্গে কথা বলেন সাইফুল। এরপর থেকে তার দুটি মোবাইল ফোন ০১৬৭৫০৪৪৮৯৯ ও ০১৮৯১৯৯৬৮১৯ বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের লোকজন জানতে পারছেন না সাইফুল বেঁচে আছে, না মরে গেছে। </div><div style="text-align: justify;">৮ নভেম্বর রাজধানীর সূত্রাপুর থেকে অপহরণের শিকার হন সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মমিন হোসেন (২৮)। ১০ নভেম্বর মমিনের স্বজনরা সূত্রাপুর থানায় জিডি করেন। মমিনের স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় মমিনের মোবাইল নম্বরে (১৯১৩৭৪৯৫৫৮, ০১৮৩৪০৮৯৭৩৫) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করলে সে দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাকে গুম করা হয়। বাসা থেকে বের হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই মমিনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মমিনের ভগ্নিপতি মো. আলম জানান, কোরবানির ঈদের আগে মমিনের বিয়ের কাবিন হয়েছে। ঈদের তিন দিন পর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। মমিন নিজেই বিয়ের বাজার-সদাই করেছে। কোরবানির ঈদের পরদিন অজ্ঞাত মোবাইল থেকে তার নম্বরে ফোন আসার পর বেরিয়ে যায় সে। এখন পর্যন্ত সে নিখোঁজ। র্যাব ও পুলিশ মমিনের মোবাইল ফোনের কললিস্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি দেখাচ্ছে না। মমিনের অপর এক আত্মীয় জানান, র্যাব-পুলিশই মমিনকে অপহরণ করেছে। তা না হলে কললিস্ট পাওয়ার পরও মমিনের বিষয়ে কোনো তদন্ত করেনি কেন। </div><div style="text-align: justify;">২৪ অক্টোবর রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও গোদাগাড়ীর পালপুর ধরমপুর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আমিনুল ইসলামকে র্যাব পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। আমিনুল ইসলামের আত্মীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাতে ভাটাপাড়ার বাসায় প্রবেশ করে র্যাব পরিচয়ে সাদা পোশাকে অজ্ঞাত কয়েক যুবক তাকে তুলে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। </div><div style="text-align: justify;">২২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়েছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মীরহাজিরবাগ এলাকা থেকে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি কাজী আতাউর রহমান লিটু। এ ব্যাপারে ২৩ সেপ্টেম্বর লিটুর স্ত্রী রাশিদা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ২২ সেপ্টেম্বর বিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আতাউর রহমান দয়াগঞ্জের দিকে যান। সেখানে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওই জিডি পুলিশ তদন্ত করেনি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। </div><div style="text-align: justify;">৩১ জুলাই গেণ্ডারিয়ার দয়াগঞ্জ এলাকা থেকে মিজান, জুয়েল সর্দার, রাজীব নামে তিন যুবককে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করা হয়। বেশ কিছু মানুষের সামনে তাদের আটক করে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট উদ্ধার হয় তিন যুবকের লাশ। গাজীপুরের পুবাইল এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মিজান ও জুয়েল সর্দারের লাশ এবং মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকার ঢাকা-মাওয়া সড়ক থেকে উদ্ধার হয় রাজীবের লাশ।</div><div style="text-align: justify;">৮ এপ্রিল বিকালে সূত্রাপুর থানাধীন ফরাশগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টার এলাকা থেকে সাদা পোশাকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় ব্যবসায়ী তাবির উদ্দিন আহমেদ রানাকে। বড় ভাইয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। স্বজনরা র্যাবের বিভিন্ন ক্যাম্প ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খোঁজ নিয়েছেন। কিন্তু কেউ তার সন্ধান দিতে পারেননি। সূত্রাপুর থানায় এ ব্যাপারে জিডি করা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঢাকার মালিবাগ এলাকা থেকে বরিশালের উজিরপুরের বিএনপি নেতা হুমায়ুন খানকে তুলে নেয়া হয় গত বছরের ২৩ নভেম্বর। ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হুমায়ুনের কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার। র্যাব-পুলিশও তাকে উদ্ধারের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেছে তার পরিবার। গত বছর ২৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় হুমায়ুন খান তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার সূত্রাপুরের ৪৫/ক, ঢালকানগর, ফরিদাবাদের বাসা থেকে ১০৯৩, মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় তার বন্ধু মফিজুলের বাসায় যান। মালিবাগ থেকে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে হুমায়ুনকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তার ছোট ভাই মঞ্জু খান বাদী হয়ে প্রথমে জিডি এবং ১৩ ডিসেম্বর রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত হুমায়ুনের সন্ধান মেলেনি বা মামলারও অগ্রগতি হয়নি। </div><div style="text-align: justify;">মানুষ গুম হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানবাধিকার কমিশনে বহু মানুষ এসে নালিশ করেন। কারও স্বামী, কারও ভাই, কারও বাবা, কারও ছেলেকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা ধরে নিয়ে গুম করেছে। কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মানবাধিকার কমিশন র্যাব-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও শুধু বলা হয়—দেখছি স্যার। এর বেশি কিছু করারও থাকে না। তিনি জানান, পুলিশের ইউনিফর্ম ছাড়া গ্রেফতার বা আটক অভিযান বন্ধের জন্য সরকারের কাছে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান কখনও সাদা পোশাকে হওয়া উচিত নয়। ইউনিফর্ম লাগিয়ে পুলিশের পোশাকে আটক বা গ্রেফতার অভিযান চালাতে হবে। এতে গ্রেফতার ব্যক্তির স্বজনরা জানতে পারেন কোন সংস্থা কী অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। </div><div style="text-align: justify;">পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, পুলিশ-র্যাবের নাম করে অপহরণের ঘটনা ঘটছে। তবে এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত নয়। অপরাধীরাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করছে। এটা অপরাধীদের একটা কৌশল। যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, র্যাব-পুলিশ এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে হাইকোর্টের কিছু নির্দেশনা রয়েছে। তারা স্ব-স্ব ইউনিটগুলোকে ওই নির্দেশনা মেনে ইউনিফর্ম পরে, ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে আসামি গ্রেফতার করার জন্য বলেছেন।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/10/121546">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/10/121546</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-32468830874512375272011-11-23T08:25:00.001-08:002011-11-23T08:25:32.227-08:00বিশিষ্ট আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া : সরকার বিদেশ থেকে সাক্ষী আনলেও আইনজীবী আনতে বাধা দিচ্ছে<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">সরকার পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বিদেশি নাগরিকদের ভাড়া করে আনলেও আসামি পক্ষকে বিদেশ থেকে আইনজীবী আনতে বাধা দিয়ে সরকার বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা। তারা বলেন, রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে বিরোধী দল ও মতের নাগরিকদের হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিদেশি নাগরিকদের এনে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি করছে। অথচ আসামি পক্ষকে তাদের নিজেদের টাকা খরচ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। বিশিষ্ট ফৌজদারী আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আমার দেশকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সরকারের দ্বিমুখী নীতির কারণে দেশের আদালত ও বিচার ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আমেরিকা থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে লোক আনা হচ্ছে। এফবিআই-এর এজেন্ট পরিচয়দানকারী এ ব্যক্তির আসল পরিচয় কি তা দেশের কেউ জানেন না। তদন্ত ও অনুসন্ধানে তার কি ভূমিকা ছিল তাও অজানা। দুদকের দায়ের করা মামলার বাদী তার অভিযোগপত্রে ১৮ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেছেন। তাতেও এ ব্যক্তির নাম নেই। চার্জশিটের কোথাও এ ব্যক্তির নাম তো দূরের কথা তার সম্পর্কে একটি শব্দও নেই। এমন একজন ব্যক্তিকে ভাড়া করে একদিনের নোটিশে আদালতে এনে সরকার জবানবন্দি প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। গোটা জাতি বিস্ময়ে লক্ষ্য করছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিকে আসতে বাধা দিচ্ছে সরকার। আসামি পক্ষ তাদের নিজেদের টাকায় বিদেশ থেকে আইনজীবী এনে তথাকথিত এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করতে চাইছে। সরকার এতেও বাধা দিচ্ছে। সরকারের এ দ্বিমুখী নীতি ও আচরণের কারণে মূলত দেশের বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকার আদালতে একটি আবেদন দিয়ে বলল- বিদেশি একজন নাগরিক বাদী (সরকার) পক্ষে আসামিদের বিপক্ষে জবানবন্দি দেবেন। আদালত তাত্ক্ষণিকভাবে তা মঞ্জুর করে তার জবানবন্দি গ্রহণ করলেন। অথচ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষ আবেদন-নিবেদন করেও একজন বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি লাভ করতে পারেননি। আদালত সেটা দেয়নি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি দিয়েছে সরকারই। অথচ এখানে মামলা পরিচালনার জন্য কোনো বিদেশি অভিজ্ঞ ও দক্ষ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন যে, আদালত নিজে থেকে মামলা পরিচালনা করেন না। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা ন্যায়বিচার করতে আদালতকে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে সহায়তা করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য ও শুনানি শুনে আদালত ন্যায়বিচারের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন। আমাদের দেশে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মামলা পরিচালনার মতো আইনজীবী নেই বললেই চলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে কয়েকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তাতে অন্যান্য দেশ থেকেই আইনজীবীরা গিয়ে উভয় পক্ষে শুনানি করেছেন। ওইসব আদালতে মামলা শুনানি করেছেন এমন অভিজ্ঞ আইনজীবী আমাদের দেশের ট্রাইব্যুনালে এসে শুনানি করলে বিচারের মানদণ্ড নিয়ে হয়তো প্রশ্ন উঠত না। সরকারের দ্বিমুখী নীতি ও আচরণের কারণেই এরই মধ্যে এ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুধু দেশেই আন্তর্জাতিকভাবেও বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেছেন, সরকারের এ আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। বিচার বিভাগকে পদদলিত করার কৌশল। একদিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে লোক এনে কোনো ধরনের যাচাই-বাচাই ছাড়াই নিজেদের পক্ষে ও বিরোধী দলের নেতাদের বিপক্ষে ইচ্ছেমতো সাফাই সাক্ষ্য আদায় করে নিচ্ছে। অপরদিকে আসামিরা বিদেশ থেকে আইনগত সহায়তা নেয়ার জন্য আইনজীবী আনতে চাইলেও দেয়া হচ্ছে না। সরকারের এ নীতি দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক ধরনের হুমকি। সরকারের এ নীতিই আদালতের আদেশের মাধ্যমে প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে। আদালতের সমন বা নোটিশ ছাড়াই আমেরিকা থেকে এসে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার আদালত সে জবানবন্দি রেকর্ডও করছেন। এগুলো কিসের আলামত, আমাদের আইনজীবীদের পক্ষেও তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, অতীতে এদেশে মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের জন্যও বিদেশ থেকে আইনজীবী আনা হয়েছে। এটা আইন ও আদালতের সার্বজনীনতা। অথচ এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো বিদেশি আইনজীবী আসতে দেয়া হচ্ছে না।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/17/117770">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/17/117770</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-63306568075072259432011-11-23T08:23:00.000-08:002011-11-23T08:24:21.622-08:00জনপ্রশাসনে চলছে চরম অরাজকতা : ২৪ বছরের সিনিয়র জুনিয়র একই পদে কাজ করছেন<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">কাদের গনি চৌধুরী</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">জনপ্রশাসনে পদোন্নতিবন্ধ্যত্ব কাটছে না। শুধু সিনিয়র সহকারী সচিব পদে কাজ করছেন ১৬টি ব্যাচের কর্মকর্তারা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ২৪ বছরের সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মকর্তারা একই পদে কাজ করছেন। একই ব্যাচের কোনো কোনো কর্মকর্তা যখন সচিব হিসেবে ক্ষমতা এনজয় করছেন, তখন সিনিয়র সহকারী সচিব পদে কাজ করছেন ওই ব্যাচেরই অনেকে। দলীয় কালার না থাকায় এসব কর্মকর্তা বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও এমন নজির নেই। </div><div style="text-align: justify;">উপ-সচিব পদেও একইভাবে ৯টি ব্যাচের ১ হাজার ৫৪০ কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। চাকরিজীবনের ১২ বছরের জুনিয়র ও সিনিয়র কর্মকর্তাকে একই পদে কাজ করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রশাসনজুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে চেইন অব কমান্ড থাকছে না। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সময়মত পদোন্নতি দিতে না পারা এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত সুস্থ ধারা না থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ২০০৬ সালের ২৫তম বিসিএসের কর্মকর্তারা যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন ২৪ বছর আগের ’৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারা। ’৮২ ব্যাচের ৯ জন, ’৮৪ ব্যাচের ১১, ’৮৫ ব্যাচের ১৭, ’৮৬ ব্যাচের ৪০, ’৯১ (জানুয়ারি) ব্যাচের ৪৮, ’৯১ (ডিসেম্বর) ব্যাচের ৫৩, ১১তম ব্যাচের ৬৮, ১৩তম ব্যাচের ১১০, ১৫তম </div><div style="text-align: justify;">ব্যাচের ১০৮, ১৭তম ব্যাচের ৬৩, ১৮তম ব্যাচের ৯১, ২০তম ব্যাচের ২৭৪, ২১তম ব্যাচের ১৭০, ২২তম ব্যাচের ২৬৮, ২৪তম ব্যাচের ২৯১ এবং সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া ২৫তম ব্যাচের ৭৫ কর্মকর্তা একই পদে কাজ করছেন।</div><div style="text-align: justify;">উপসচিব পদে ’৮২ ব্যাচের পাশাপাশি ১২ বছরের জুনিয়র ৯৪ সালের ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এদের মধ্যে ’৮২ ব্যাচের ৩৩, ’৮৪ ব্যাচের ১৯৬, ’৮৫ ব্যাচের ৫০৯, ’৮৬ সালের ২০৬, ৯১ (জানুয়ারি) ব্যাচের ৮১, ’৯১ (ডিসেম্বর) ব্যাচের ১৪৫, ১১তম ব্যাচের ১৫০ এবং ১৩তম ব্যাচের ১৪ কর্মকর্তা রয়েছেন। যুগ্ম সচিব পদে কাজ করছেন ’৮২ (রেগুলার), ’৮২ (স্পেশাল) ও ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা। </div><div style="text-align: justify;">এদিকে প্রশাসনে ৯টি ব্যাচের ১ হাজার ৫৪০ কর্মকর্তা উপ-সচিব। উপ-সচিবের ৮৩০টি পদের বিপরীতে এখন অতিরিক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা ৭১০ জন। এটিও প্রশাসনের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন রেকর্ড। পদের তুলনায় এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। বড় বড় ব্যাচের চাপ সামাল দেয়াসহ রাজনৈতিক পছন্দ ও অপছন্দকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে গত কয়েক বছরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পদের বাইরে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। অর্থাত্ পদ নেই, তবু পদোন্নতি দিতে হয়েছে। এসব অতিরিক্ত কর্মকর্তার চাপ সামাল দিতে গিয়ে ২০০৬ সাল থেকে প্রশাসনে উপ-সচিবের সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টি করা হয়। মোট ৪৫০ উপ-সচিবের পদকে সুপারনিউমারি দেখিয়ে বছর বছর সংরক্ষণ করে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে। যারা সিনিয়র সহকারী সচিবের চেয়ারে (পূর্বপদ) বসেই কাজ করছেন। </div><div style="text-align: justify;">একই পদে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তার কারণে সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনে এটাই এখন বড় সঙ্কট। বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারাও সিনিয়র সহকারী সচিব এবং তার চেয়ে ১৬ ব্যাচ জুনিয়র ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারাও সিনিয়র সহকারী সচিব। দেখা গেছে, ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে প্রবেশ করেছেন ১৯৮৩ সালে। আর ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে এসেছেন ২০০৬ সালে। অর্থাত্ ’৮২ ব্যাচ যখন সহকারী কমিশনার, তখন ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের কারও কারও জন্মও হয়নি। প্রায় সমসাময়িক চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ১৯৮৪ ও ’৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তারা। ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ১৯৮৬ সালে এবং ’৮৫ ব্যাচ ১৯৮৮ সালে। ৬৫০ কর্মকর্তার বড় ব্যাচ ’৮২ বিশেষ ব্যাচের কর্মকর্তারা উপ-সচিব হয়েছেন ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে। সাড়ে চারশ’ সংখ্যার ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে উপ-সচিব হন। ’৮৫ ব্যাচ ও ’৮৬ ব্যাচ ২০০৬ সালে। বর্তমান সরকারের সময় উপ-সচিব পদে দু’দফায় পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ৩ শতাধিক কর্মকর্তাকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়, যেখানে ১৩তম ব্যাচের কয়েকজন পদোন্নতি পান। ’৮২ বিশেষ ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপ-সচিব হতেই ২০ বছর পার হয়ে গেছে। এ ব্যাচের ৩১ কর্মকর্তা বর্তমানে উপ-সচিব পদে কর্মরত রয়েছেন। তারা তিন দফায় পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। অনেকে প্রাপ্য পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে গেছেন। এ ব্যাচের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখন সচিব। অথচ অন্যরা পদোন্নতি না পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপ-সচিবের চেয়ারে কাজ করছেন। </div><div style="text-align: justify;">জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে উপ-সচিবদের মধ্যে তিনটি সিনিয়র ব্যাচের ২৩১ কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত অবস্থায় পড়ে আছেন। এরা হলেন ’৮২ নিয়মিত ব্যাচের ৩ জন, ’৮২ বিশেষ ব্যাচের ৩১ জন এবং ১৯৮৪ ব্যাচের ১৯৭ জন। ১৯৮৪ ব্যাচের যেসব কর্মকর্তা ২০০৩ সালে উপ-সচিব হয়েছেন, তারা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন ২০০৬ সালে। অথচ পাঁচ বছরেও তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়নি; দু’দফায় বঞ্চিত হয়েছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন ’৮১ ব্যাচ ৯৫%, ’৮২ নিয়মিত ব্যাচ ৯৬%, ’৮২ বিশেষ ব্যাচ ৯০% ও ’৮৪ ব্যাচ ৫২%। এতে দেখা যায়, যুগ্ম সচিব পদে সবচেয়ে কম পদোন্নতি পেয়েছেন ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা। অপরদিকে ১৯৮৫ ব্যাচের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি ও ১৫ অক্টোবর উপ-সচিব হওয়ার তিন বছর পর ২০০৯ সালে এসে যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। কিন্তু গত দু’বছরেও তারা পদোন্নতি পাননি। এরই মধ্যে ’৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তারাও যুগ্ম সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ভুক্তভোগীরা মনে করেন, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত ও নতুন করে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা গেলে ঢাউস উপ-সচিব পদসংখ্যার ভার কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তা না হলে প্রশাসন ভারসাম্যহীন হয়ে আরও অচল ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে।</div><div style="text-align: justify;">প্রশাসনে পদোন্নতির অপেক্ষায় দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা : প্রশাসনে উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেতে দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা অপেক্ষায় রয়েছেন। ওপরের দিকে পদোন্নতি আটকে যাওয়ায় জুনিয়র কর্মকর্তারা পদোন্নতির জ্যামে আটকে পড়েছেন। এর ফলে প্রশাসনে ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি দেয়ায় তাদের বসানোর জায়গা পাচ্ছে না সরকার। </div><div style="text-align: justify;">এদিকে সব ধরনের যোগ্যতা থাকার পরও ’৮৪ ও ’৮৫ ব্যাচেরই প্রায় ৮০০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ’৮৪ ব্যাচের ২২৩ আর ’৮৫ ব্যাচের রয়েছেন ৫৫০ জন। ’৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি। এরই মধ্যে চাকরিজীবনের ২৬ বছর পার করে দিয়েছেন তারা। তাদের চাকরির বয়স আছে গড়ে তিন থেকে পাঁচ বছর। এই সময়ের মধ্যে আর পদোন্নতি পাবেন বলে মনে করছেন না অনেকেই। ’৮৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তারা উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পান ২০০৩ সাল থেকে। ২০০৫ সালের মধ্যে প্রায় সবার পদোন্নতি হয়ে যায়। এরপর এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২২৭ জনকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে পদোন্নতি পাওয়া এসব কর্মকর্তা এরই মধ্যে দুই বছর পার করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কেউই অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যেও চরম হতাশা বিরাজ করছে।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/17/117759">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/17/117759</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-4327773675769562212011-11-23T07:48:00.001-08:002011-11-23T07:48:50.105-08:00গ্যাস পানি বিদ্যুত্ সঙ্কটে ভোগান্তি চরমে<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">বিদ্যুতের লোডশেডিং আবার অসহনীয় হয়ে উঠছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তীব্র হচ্ছে গ্যাস এবং পানি সমস্যা। আর তীব্রতর হচ্ছে যানজট। জনদুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। অতিষ্ঠ এখন নগর জীবন। </div><div style="text-align: justify;">রাজধানীর বারিধারার জে ব্লকের বাসিন্দা শিক্ষিকা সালমা ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। কোনো দিন থাকলেও গ্যাসের চাপ এতই কম থাকে যে এ দিয়ে রান্না সম্ভব নয়। পেশাগত কারণে আমাকে প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছতে হয় সে কারণে রান্নার জন্য প্রতিদিন আমাকে ঘুম থেকে উঠতে হয় ভোর ৫টার আগে। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে এ এলাকায় গ্যাসের এমন সঙ্কট চলছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আমাদের জীবন।</div><div style="text-align: justify;">উত্তরা এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না বাসায়। কেরোসিন স্টোভে রান্না করতে হয়। বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিম জানান, তার এলাকায় প্রায় ৬ ঘণ্টা গ্যাসের প্রেসার থাকে না। মিরপুর পাইকপাড়া, শেওড়াপাড়ায় সকাল ৭টা-৮টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা-৬টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। ভুক্তভোগীরা জানান এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একের পর এক অভিযোগ করেও তারা কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। </div><div style="text-align: justify;">শুধু বারিধারা, উত্তরা, রামপুরা এবং মিরপুর এলাকায় নয়—রাজধানী জুড়েই চরম গ্যাস সঙ্কট। পুরনো ঢাকার শাঁখারিবাজার, লালবাগ, চকবাজার, ইসলামপুর থেকে শুরু করে মুগদাপাড়া, মাণ্ডা, আফতাবনগর, বাসাবো, গোড়ান, খিলগাঁওয়ের একাংশ, শাহজাহানপুর, যাত্রাবাড়ী, দনিয়া, শ্যামপুর, হাজারীবাগ, জিগাতলা, রায়েরবাজার, শুক্রাবাদ, মোহাম্মদপুরের আদাবর, শেখেরটেক, জাপান গার্ডেন সিটি, কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল, তেজকুনিপাড়া, নাখালপাড়া, তেজগাঁও প্রভৃতি স্থানেও দেখা দিয়েছে চরম গ্যাস সঙ্কট। </div><div style="text-align: justify;">রাজধানীর সব জায়গাতেই বিশুদ্ধ পানি বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। পানিতে দুর্গন্ধ। আসছে ময়লা,</div><div style="text-align: justify;">শেওলা। অনেক এলাকায় পানির রং ঘোলা, লালচে কিংবা কালচে। বাধ্য হয়েই এই পানি ব্যবহার করেন রাজধানীর মানুষ। সামর্থ্যবানরা পানি কিনে পান করেন। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা ওই পানি ফুটিয়ে, ফিটকারী ব্যবহার করে ফিল্টারের মাধ্যমে ছেঁকে পান করেন। তাতেও পানি বিশুদ্ধ হওয়ার গ্যারান্টি মিলছে না। </div><div style="text-align: justify;">পুরনো ঢাকার বেগম বাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ শামিমা খাতুন বলেন, ওয়াসার পানিতে গোসল করলে শরীর চুলকায়, চোখ জ্বলে। পানিতে উত্কট গন্ধ, মুখে তোলা যায় না, বমি আসে। ফুটালে পানি বিবর্ণ হয়ে যায়। দুর্গন্ধ দূর হয় না। ফুটানোর পর পানিতে প্রচুর ফেনা হয়। পানিতে আসা গাদ বালতি বা পাতিলের তলায় জমে কালো হয়ে বসে যায়। দেখতে আলকাতরার মতো। সাবান কিংবা ভিম দিয়েও ওই পাত্র পরিষ্কার করা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে জারভর্তি পানি কিনে রান্নার কাজ করতে হয়। খাওয়ার পানি কিনতে হয় বছরজুড়েই। একই তথ্য জানালেন বাড্ডা এলাকার গৃহবধূ ফাতেমা বেগম। </div><div style="text-align: justify;">বাসার লাইনে দূষিত পানি আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে গুলশান-২ এলাকার জাহের ভিলার স্বত্বাধিকারী বলেন, ওয়াসা দূষিত পানি সরবরাহ করায় পান করে আমাদের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করে নানা ধরনের রোগ হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">রাজধানীসহ সারাদেশে বিদ্যুত্ সঙ্কট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগ গ্রাহকদের। রাজধানীর অভিজাত এলাকায়ও দৈনিক ৪-৫ দফা লোডশেডিং হচ্ছে। ঢাকার অন্যসব এলাকাসহ সারাদেশে রাত-দিন প্রায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং তো আছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিতরণ ত্রুটিজনিত বিভ্রাট। শীত আসার প্রাক্কালে বিদ্যুতের এ ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টা, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী দফায় দফায় আশ্বস্ত করেছিলেন এক বছরের মাথায় লোডশেডিং থাকবে না। ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল লোডশেডিংমুক্ত বাংলাদেশের। কুইক রেন্টালের নামে টেন্ডারবিহীন ব্যয়বহুল বিদ্যুেকন্দ্র বসিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার পরও সরকারের অদূরদর্শী ও ভ্রান্ত পরিকল্পনার কারণে বিদ্যুত্ ভোগান্তি থেকে গ্রাহকের মুক্তি মিলছে না। </div><div style="text-align: justify;">রাজধানীর পল্টন, লালবাগ, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, খিলগাঁও, কমলাপুর, সূত্রাপুর, বংশাল, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, পার্শ্ববর্তী টঙ্গী এলাকা থেকে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানিয়েছেন, মাঝে ক’দিনের জন্য লোডশেডিং কিছুটা সহনীয় থাকলেও এখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একবার বিদ্যুত্ চলে গেলে দু’ঘণ্টায়ও আর দেখা মেলে না। সন্ধ্যার পর বিদ্যুত্ থাকে খুবই কম সময়ের জন্য। রাত ১১টার পর যখন শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে যায়। কিন্তু তারপরও গভীররাত থেকে শুরু করে ভোররাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকছে না।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/05/115984">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/05/115984</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-2037930071495960112011-10-31T08:59:00.001-07:002011-10-31T08:59:25.907-07:00নিত্যপণ্যের চড়া দামে মানুষের হাপিত্যেশ<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">স্টাফ রিপোর্টার</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div>ভালো মানের কাটারিভোগ ৬২-৬৫ টাকা ও নাজিরশাল ৫৬-৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ১২০ টাকা। ৫০ টাকার কমে কাঁচাতরকারি কেনা যায় না। একইভাবে তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দাসহ সব পণ্যই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে আটা, ময়দা ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ক্রেতারা জানান, গত কয়েক মাস ধরে কাঁচাতরকারিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অগ্নিমূল্য। তিন বেলা খাবার কিনতেই রোজগারের বেশিরভাগ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে<br />নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবন ওষ্ঠাগত। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় মানুষের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, একই পণ্য বাজারভেদে ১০-২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নেই কোনো তদারকি। সেই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।<br />রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন সাপ্তাহিক বাজার করতে গতকাল কারওয়ান বাজারে আসেন। তিনি জানান, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৪ টাকা, সিম ৭০ টাকা ও ছোট আকারের প্রতি পিস কপি ৩০ টাকা দরে কিনেছেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, বসুন্ধরা কাঁচাবাজার থেকে গতকাল সিম ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৩০-৬০ টাকা দরে কিনেছেন। এ দুই বাজারের কাঁচাতরকারির দাম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, একই শহরের দুই বাজারে প্রতিটি পণ্যের দামের পার্থক্য ১০-২০ টাকা বেশি। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।<br />রাজধানীর খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের নাজিরশাইল প্রতি কেজি ৫৬-৫৮ টাকা, মাধ্যম মানের ৫২-৫৪ টাকা, মিনিকেট ৪৬-৪৮ টাকা, কাটারিভোগ ৬২-৬৫ টাকা, পোলাও চাল ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা চিনি ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ৭০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২১-১২৪ টাকা, পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্রান্ডের সয়াবিন তেল ৬০০-৬১০ টাকা, মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা, মধ্যম মানের মসুর ডাল ৮০ টাকা, মুগ ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, খোলা আটা ২৮-৩০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৩৩ টাকা, খোলা ময়দা ৩৮-৪০ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৪২ টাকা, পেঁয়াজ ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।<br />গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা দরে। আগে তা ১২৫-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া গরুর মাংস ২৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৪২০-৪৪০ টাকা। প্রতি হালি ডিমের দাম ২৮ টাকা।</div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-66217311800333518182011-10-31T07:44:00.000-07:002011-10-31T07:45:18.645-07:00নির্বাচন সামনে রেখে কমিশনে গণবদলি : আ’লীগ ঘেঁষা কর্মকর্তাদের সচিবালয়ে নেয়া হচ্ছে<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">কাজী জেবেল</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>নির্বাচন কমিশনে গণবদলি শুরু হয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে কমিশন সচিবালয় পর্যন্ত সর্বত্র বদলির প্রক্রিয়া চলছে। সচিবালয়ে কর্মরত উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা কর্মকর্তাদের তৃণমূল থেকে ঢাকায় পদায়ন করা হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও। এবারই প্রথম এত বড় রদবদল করল নির্বাচন কমিশন।<br />গণবদলির প্রতিবাদে কর্মকর্তারা যাতে আন্দোলনে না যান তার কৌশল হিসেবে এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল যুগ্ম সচিব, উপ-সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫৬ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন যুগ্ম সচিব ছাড়া বাকিদের মাঠপর্যায়ে বদলি করা হচ্ছে। বাকিদের বিষয়ে শিগগিরই আদেশ জারি করবে কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।<br />গণবদলির কারণ হিসেবে কমিশন বলছে, একই পদে কর্মকর্তারা বছরের পর বছর থাকায় তাদের মধ্যে একগুঁয়েমি, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এসে গেছে। বদলির ফলে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা সচিবালয়ে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। এতে কমিশনের কাজে গতি আসবে। তবে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা জানান, আমরা অসত্ হলে বিগত জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে বলে কমিশন কোন যুক্তিতে দাবি<br />করে? বরং জাতীয় সংসদ ও ৬টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে সুবিধা করে দিতেই কমিশন গণবদলি শুরু করেছে। এতে কমিশন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বে দলীয় তকমা লেগে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাফতরিক অভিজ্ঞতা কম থাকায় কমিশনের কাজে স্থবিরতা দেখা দেবে। এ নিয়ে সচিবালয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।<br />সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিইসি ড. এটিএম শামসুল হুদাসহ তিন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। কমিশন পুনর্গঠন করা হবে। জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য নির্বাচন নতুন কমিশনারদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ওই কমিশন তাদের সুবিধা অনুযায়ী প্রশাসনে রদবদল করবেন। কিন্তু মাত্র চার মাস মেয়াদ থাকতে বর্তমান কমিশন সংশোধিত চাকরিবিধির দোহাই দিয়ে বড় ধরনের রদবদল করছে। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উপ-সচিব পদের কর্মকর্তাদের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী সচিব পদের কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী সচিবদের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি সরকারের আমলে যেসব কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হচ্ছে।<br />সূত্র আরও জানায়, গতকাল ৫৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত উপ-সচিব জেসমিন টুলী এবং ঢাকার বিভাগীয় উপনির্বাচন কমিশনার ও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বিশ্বাস লুত্ফর রহমানকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। কমিশনে কর্মরত আরেক উপ-সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদকে ঢাকা বিভাগীয় উপনির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। তবে আপাতত তাকে পদায়ন করা হচ্ছে না। দু’মাস পর বিশ্বাস লুত্ফর রহমানের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে ওই দায়িত্বে দেয়া হবে। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদার পিএস মোস্তাফা ফারুককে বরিশালে, সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল বাতেনকে সিলেটে, ফরহাদ আহম্মেদ খানকে চট্টগ্রামে, ইসরাইল হোসেনকে রংপুরে, আবুল কাশেমকে কুমিল্লায়, সুভাষ চন্দ্রকে রাজশাহীতে, সৈয়দ খুরশীদ আনোয়ারকে ময়মনসিংহে, সৈয়দ মুসাকে ফরিদপুরে ও মিজানুর রহমানকে খুলনা আঞ্চলিক উপনির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা এতদিন কমিশন সচিবালয়ে ছিলেন। তাদের স্থলে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করা হবে।<br />জানা গেছে, ঈদের আগে ও পরে সিইসি দু’জন উপ-সচিবের সঙ্গে বসে কমিশন কর্মকর্তাদের কাকে কোথায় বদলি করা হবে, তার তালিকা চূড়ান্ত করেন। এ নিয়ে কমিশন বৈঠকে দু’দফা আলোচনাও হয়েছে। কয়েক মাস আগে কমিশনের সব কর্মকর্তার কাছে একটি ফরম দেয়া হয়। এ ফরমে কর্মকর্তার নাম, পদবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মাঠপর্যায়ে তিনটি পছন্দের জায়গা উল্লেখ করতে বলা হয়। কিন্তু বদলির ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পছন্দের জায়গাকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি।<br />পদোন্নতি পাওয়া ৫৬ কর্মকর্তা : গতকাল পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৫৬ কর্মকর্তার মধ্যে ২ জন যুগ্ম সচিব, ৯ জন উপ-সচিব ও ৪৪ জন সিনিয়র সহকারী সচিব / অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা / জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা / উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যুগ্ম সচিব পদে বেগম জেসমিন টুলী ও বিশ্বাস লুত্ফর রহমান, উপ-সচিব / পরিচালক পদে খোন্দকার মিজানুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, এস এম এজহারুল হক, মোস্তফা ফারুক, ফরহাদ হোসেন খান, মো. আবদুল বাতেন, বেগম সুফিয়া জাহান, মো. মহসীন আলী ও মোহাম্মদ ইসরাইল হোসেন পদোন্নতি পেয়েছেন। সিনিয়র সহকারী সচিব / অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা / জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা / উপ-পরিচালক পদে মো. আবদুল হালিম খান, মো. সাবেদ-উর-রহমান, তারাচাঁদ রাজভর, বেগম রাশিদা খানম, মো. আবদুল মোতালেব, মো. নওয়াবুল ইসলাম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মাহবুব আলম শাহ, ফয়সল কাদের, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আবদুল হাফেজ, মো. সরওয়ার জাহান, মো. আতিয়ার রহমান, আবদুল মমিন সরকার, মোহাম্মদ মনির হোসেন, মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ নূরুল আলম, মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক, এম মাজহারুল ইসলাম, মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, খানাবি শাহানুর খান, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মো. হেলাল উদ্দিন খান, মো. রোকুনুজ্জামান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, তারেক আহম্মেদ, ওহিদুজ্জামান মুন্সী, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন মল্লিক, মো. সোহেল সামাদ, মো. মুনীর হোসাইন খান, মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মোতাহসিম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. শাহ আলম, মোহাম্মদ আতাউর রহমান, এএইচএম কামরুল হাসান, সুধাংশু কুমার সাহা, মো. আবদুর রহিম, বেগম জাকিয়া সুলতানা ও মো. তারিকুজ্জামান।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/05/109870">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/05/109870</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-15645790976808236972011-10-01T08:56:00.001-07:002011-10-01T08:57:10.599-07:00অভিজাত উত্তরার বেশকিছু সড়ক পাড়াগাঁয়ের রাস্তার মতোই বেহাল<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi1QVXmfRw8vOC-_fcv2ljMnGmdqeUa_5wN4e8aqsFJRFAFluAQFdyXMo0MzgMPbBg6RkBr3CKvURzZ2SRW__z7x33m3WQRW_AwnvwgMsNk1kKe0HR9d0ozlQDVKzjuN1QctMiCheJF5bk/s1600/Lp_ovijat-uttarar.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 199px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi1QVXmfRw8vOC-_fcv2ljMnGmdqeUa_5wN4e8aqsFJRFAFluAQFdyXMo0MzgMPbBg6RkBr3CKvURzZ2SRW__z7x33m3WQRW_AwnvwgMsNk1kKe0HR9d0ozlQDVKzjuN1QctMiCheJF5bk/s400/Lp_ovijat-uttarar.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5658553354965194066" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">আলাউদ্দিন আরিফ</div><div>অভিজাত আবাসিক এলাকা উত্তরার অধিকাংশ রাস্তা এখন অজপাড়াগাঁয়ের রাস্তার মতোই বেহাল। রাস্তায় জমে আছে কাদা, নোংরা আবর্জনা, নেই কার্পেটিং। এভিনিউ সড়কগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও মহল্লার রাস্তাগুলোর বেহাল দশা দীর্ঘদিন থেকে। উত্তরার পার্শ্ববর্তী নিকুঞ্জ, উত্তরখান, দক্ষিণখান, কাওলার এলাকার রাস্তাগুলোর বেহাল দশা দেখা গেছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ দুর্বিষহ নাগরিক যন্ত্রণার মধ্যে বসবাস করছে। উত্তরাজুড়েই বিভিন্ন বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নির্মাণ সামগ্রী রাখা। ফলে রাস্তা খারাপ হচ্ছে, ড্রেন বন্ধ হচ্ছে, এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।<br />গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরার ১ থেকে ১৪ নম্বর সেক্টরের মধ্যে ১, ৩, ৫ নম্বর সেক্টর ও এভিনিউ সড়কগুলো মোটামুটি ভালো। বেহাল অবস্থা ২, ৪, ৯, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের রাস্তাগুলোর। ৯ নম্বর সেক্টরের একটি সড়কও ভালো নেই। সবক’টিতে নোংরা কাদা আর খানাখন্দে ভরা।<br />আবদুল্লাহপুর বাসটার্মিনালের পশ্চিম পাশে ৯ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর ও ১০/এ নম্বর সড়ক যেন অজপাড়াগাঁয়ের কাদামাটির বেহাল কোনো সড়ক। এ রাস্তার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সেখানে রাজউকের কিছু জমি রয়েছে। ওইগুলো স্থানীয় সরকারি দল আশ্রিত কিছু সন্ত্রাসী মাস্তান দখল করে দোকানঘর ও বস্তি বানিয়েছে। এসব দোকানে চলে গাঁজা ফেনসিডিলের ব্যবসা। এসব নিয়ে ৯ নম্বর সেক্টরের বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা চরম উদ্বেগ ও অসহনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তারা কয়েক দফা র্যাবকে জানানোর পর র্যাব অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও কয়েক জনকে আটক করে। কিন্তু অবৈধ দখল বা মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়নি। ১২ ও ১০/এ নম্বর সড়কে অবৈধ দখলদাররা রাস্তার ওপর নোংরা আবর্জনা ফেলে রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ করে রেখেছে। বস্তি ও দোকানের বর্জ্য পানি রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না সারাবছরই সড়কগুলো কর্দমাক্ত থাকছে।<br />উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড ব্রাক মার্কেটের সামনে থেকে ৪ ও ৬ নম্বর সেক্টরের মাঝখান দিয়ে উত্তরখানের শাহকবির মাজার পর্যন্ত সড়কটিকে এখন আর সড়ক বলা যায় না। পুরোটাই বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। এ সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী হাবিবুর রহমান বলেন, জীবন হাতে নিয়ে রিকশা বা ম্যাক্সিতে উঠতে হয়। খারাপ রাস্তার কারণে ১৫ টাকার রিকশাভাড়া দিতে হয় ৪০ টাকা। তাও রিকশা চালকরা যেতে চায় না। রিকশায় গেলে কোমর ভেঙে যাওয়ার অবস্থা হয়। আর বৃষ্টি হলে এলাকায় যেন আতঙ্ক নামে। স্কুল -কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিদারুণ কষ্ট স্বীকার করে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। বৃষ্টির সময় হেঁটে গেলেও পোশাক বদলাতে হয়।<br />উত্তরখান এলাকার আবদুল্লাহপুর-আঁটিপাড়া সড়কটি বহুদিন থেকেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। মাস্টারবাড়ি, রাজবাড়ি, ময়নারটেক, সরকারপাড়া, মাদারবাড়ি, মধ্যপাড়া, মোল্লারটেক, উত্তরখান ও কাচকুড়া এলাকার সড়কগুলোরও বেহাল দশা। দক্ষিণখান থানা এলাকায় হাজীক্যাম্প থেকে দক্ষিণখান, নগরিয়াবাড়ি, বেতুলি, ভাটুরিয়া, দিলনা, তালনা, কাওলা এলাকার সবক’টি সড়ক ও গলির অবস্থা বেহাল। আশকোনা এলাকার বাসিন্দা শিহাব উদ্দিন জানান, জরুরি সরকারের দুই বছর ও এ সরকারের আড়াই বছরে এসব রাস্তার সংস্কার হয়নি।<br />মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলমাস হোসেন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের নির্বাচনী এলাকা এটি। তিনি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সড়ক মেরামতের কিন্তু গত আড়াই বছরে একটি সড়কও ভালোভাবে মেরামত করা হয়নি। ৬ মাস আগে উত্তরা ময়নারটেক সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই সেটি ফিরে গেছে আগের অবস্থানে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে দলীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করানোর কারণে এ অবস্থা হয়েছে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।<br />সরেজমিন দেখা গেছে, উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৯টি সড়ক, ৯ নম্বর সেক্টরের সবকটি সড়ক, ৭ নম্বর সেক্টরের বেশ কয়েকটি সড়ক, উত্তরা হাইস্কুলের আশপাশের সড়ক, ১৪ নম্বর সেক্টরের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে।<br />২ নম্বর সেক্টরের র্যাব-১ কার্যালয়ের উত্তর পাশের সড়ক, ৪ নম্বর সেক্টরের মূলসড়ক ও আশপাশের সড়ক, ৪ নম্বর সেক্টরের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সামনের সড়ক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের আশপাশের সড়ক, ৬ নম্বর সেক্টরের বেশ কয়েকটি সড়ক, ৮ নম্বর সেক্টরের সড়কগুলো অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। উত্তরা-৮ নম্বর সেক্টরের আলাউল এভিনিউর শেষ প্রান্তের সড়কগুলোর দু’পাশ এখন বস্তিতে পরিণত হয়েছে।<br />১২ নম্বর সেক্টরের ১২, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর সড়কের অবস্থাও বেহাল অনেক দিন থেকে। ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কটি ভেঙে কার্পেটিং ধুয়ে-মুছে ছোট জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। ১২ নম্বর সেক্টরের ১৮ থেকে ২০ নম্বর সড়ক দিয়ে বর্ষা মৌসুমে হাঁটার উপায় থাকে না। রাস্তার মাঝে মাঝে দেড় থেকে দুই ফুট গভীর গর্ত। প্রাইভেট কার এসব গর্তে একবার পড়লে আর তোলার উপায় থাকে না।<br />উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শওকত আলী বলেন, গুলশানের পরই দেশের সবচেয়ে অভিজাত বনেদি আবাসিক এলাকা উত্তরা। ৯ নম্বর সেক্টরসহ বেশ কয়েকটি সেক্টরে সড়কের অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় অজপাড়াগাঁয়ের রাস্তা। কোনো কোনো সড়কে বর্ষার দিনে গাড়ি নিয়ে বেরুলে আটকা পড়তে হয়, হেঁটে চলতে গেলে জামা-কাপড় নষ্ট হয়।<br />এদিকে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাটগুলোও বহু বছর ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় দেখা গেছে সবগুলো সড়কই খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৬-৭ বছরের বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলো হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। একবার বৃষ্টি হলে ৭-৮ ঘণ্টা সময়েও সড়কের জলাবদ্ধতা দূর হয় না। সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার কারণে এ আবাসিক এলাকায় ভাড়াটিয়ার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যাদের বাড়িভাড়া একমাত্র আয় তাদের অবস্থা আরও করুণ হচ্ছে। যেসব বাড়ির মালিক ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়ি করেছেন তাদেরও ত্রাহি অবস্থা। বাসিন্দারা জানান, রাস্তাগুলো এতই খারাপ যে রিকশা পর্যন্ত যেতে চায় না। নিকুঞ্জ-২ এর ৫ নম্বর সড়ক থেকে ১৬ নম্বর সড়ক পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ম্যানহোলের বর্জ্য সড়কের ওপর পড়ছে। নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা জানান, এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশাসহ এলাকার সমস্যা সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি তারা স্থানীয় এমপি সাহারা খাতুনকে দিয়েছেন। কিন্তু বার বার তিনি আশ্বাস দেয়ার পরও বর্তমান সরকারের আমলে ওই এলাকার এক চুল পরিমাণও উন্নয়ন হয়নি। হয়নি বেহাল রাস্তাগুলোর সংস্কার।<br />উত্তরা, নিকুঞ্জ, উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইচ্ছা করলেই এলাকার সড়কগুলোর উন্নয়ন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি সেটা করছেন না। বেহাল রাস্তা সম্পর্কে স্থানীয় এমপি সাহারা খাতুনের বক্তব্য জানার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।</div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/30/108766">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/30/108766</a></div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-44492599639745225262011-09-24T04:31:00.000-07:002011-09-24T04:33:30.130-07:00আলোচনা সভায় বক্তারা : প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা আইন পরিপন্থী<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoiKtzonuD0AbtkGIGfY2vCB3SurbyQisR1uMLVOXo7vRak-xM76ijCmqLWkjKhVmmifCGeo4YAIjWWeRKaWaEyDjVHbilDArrPNwjKdc237VpLmiBCyUT-MNN1EhgXCpejEhyphenhyphenoZv13e8/s1600/P3_prostabito-somprochar-ni.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 182px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoiKtzonuD0AbtkGIGfY2vCB3SurbyQisR1uMLVOXo7vRak-xM76ijCmqLWkjKhVmmifCGeo4YAIjWWeRKaWaEyDjVHbilDArrPNwjKdc237VpLmiBCyUT-MNN1EhgXCpejEhyphenhyphenoZv13e8/s400/P3_prostabito-somprochar-ni.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5655887595520625026" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">স্টাফ রিপোর্টার</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা গণতন্ত্র ও তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী বলে মনে করেন বিএনপি নেতা লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। তার শঙ্কা, এ নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবে।<br />গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুব বলেন, প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এটি সংবিধানে দেয়া মানুষের বাক-স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করবে।<br />তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই নীতিমালা গৃহীত হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিনষ্ট হবে। একটি কালো আইন, ফ্যাসিস্ট আইনে পরিণত হবে।<br />গণমাধ্যমের জন্য একটি সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিতে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা’র প্রাথমিক খসড়া অনলাইনে প্রকাশের সুপারিশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।<br />‘মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।<br />এতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মাহবুব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। গণতন্ত্র আজ বুটের নিচে পিষ্ট হচ্ছে। কথা বলা যাবে না, প্রতিবাদ করা যাবে না—তাহলে এটি কিসের গণতন্ত্র।<br />বর্তমান সরকার সংসদকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদকে ‘অকার্যকর’ করে রাখা হয়েছে। সেখানে জাতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় না। বিদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি সংসদে আলোচনা কিংবা উপস্থাপন কোনোটাই হয় না।<br />তিনি দেশের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে বলেন, পানির অধিকার জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি অধিকার। ভারত আমাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। গোটা বঙ্গোপসাগরে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেবল দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণেই তারা এটি করার সুযোগ পাচ্ছে।<br />ভারতকে ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।<br />সংস্থাটির সভাপতি এইচ এম ইবরাহীম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ, ওশান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আলী আজম, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আবদুল মতিন সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাক হোসেন প্রমুখ<br />।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107318">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107318</a></div></li></ul></div></span></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-34941685120481375052011-09-24T04:27:00.000-07:002011-09-24T04:29:19.630-07:00তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-BoiMbd2iyron0fTHDIVsafQIk1JlwBTDdC7X87vk5ZH-eYQbPPg5M_LRncmP5klIBMTxP8NpIe2CHDSopw7GSFTqoSWXSqzet7FEhZTn3SFGLQSPunMI7SBqVA0QCbw9az-vrUXNhl8/s1600/P1_tel-gaser-mullo.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 179px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-BoiMbd2iyron0fTHDIVsafQIk1JlwBTDdC7X87vk5ZH-eYQbPPg5M_LRncmP5klIBMTxP8NpIe2CHDSopw7GSFTqoSWXSqzet7FEhZTn3SFGLQSPunMI7SBqVA0QCbw9az-vrUXNhl8/s400/P1_tel-gaser-mullo.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5655886707261200770" /></a><br /><b><br /></b><br /><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>স্টাফ রিপোর্টার<div>চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক আগে থেকেই চড়া। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতিটি পণ্যের দামই তুঙ্গে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই আবার পণ্যের চড়া দাম নিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ব্যয়। ফলে ক্রেতা কোনো পণ্যের দাম বেশি দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। ক্রেতারা বাজারে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও বাজারে তুলনামূলকভাবে ক্রেতা কম ছিল। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সরকার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন ব্যয় ব্যাপক হারে বেড়েছে। ট্রাকপ্রতি তিনশ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রাকের ভাড়া ছিল ১৬-১৭ হাজার টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৮-২০ হাজার টাকা হয়েছে। যশোর থেকে ঢাকা ট্রাকের ভাড়া ১০ হাজার থেকে বেড়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা এবং রংপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি পণ্যের আগের দামের সঙ্গে বাড়তি পরিবহন ব্যয় যোগ হয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ সব পণ্যের দাম তুঙ্গে। দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আয় না বাড়ায় বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে। এতে বেকায়দায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারওয়ানবাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, ভালো মানের সরু চাল ৫৬-৫৮ টাকায় বিক্রি করছেন। ৩৬ টাকার কমে মোটা চালও পাওয়া যায় না। গতকাল ভালো মানের কাটারিভোগ ৬২-৬৫ টাকা,নাজিরশাইল ৫৫-৫৭, মধ্যম মানের নাজিরশাইল ৫২-৫৪, ভালো মানের মিনিকেট ৪৬-৫০, মধ্যম মানের মিনিকেট ৪২-৪৫, মোটা চাল পাইজাম ৩৮-৪২, হাসকি ৪০, লতা ৪০ ও স্বর্ণা ৩৬-৩৭ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এসব চাল আরও বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে চিনির পাইকারি ও খুচরা দাম বেড়েছে। কারওয়ানবাজারের মায়ের দোয়া ও আল আরাবিয়া গ্রোসারি স্টোরের বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি চিনির পাইকারি দাম ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহন ও দোকান খরচ যোগ করে বিক্রি করা হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি চিনি ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর প্যাকেটজাত চিনিকে ভালো মানের আখ্যায়িত করে দাম রাখা হচ্ছে ৭৫ টাকা। সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। সরকার পাম তেল ১০৫ টাকা ও সয়াবিন তেল ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও রাজধানীর বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫-১২০ টাকা, পাম তেল ১০৮-১১০ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১২০-১২৪ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তীর ব্র্যান্ডের দুই লিটার বোতল ২৪০ টাকা, রূপচাঁদা ২৪৪ টাকা, ৫ লিটার তীর ৫৯৫ টাকা ও রূপচাঁদা ৬০৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ভালো মানের মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মধ্যম মানের মসুর ডাল ৮০-৯০, ২ কেজি ওজনের বিভিন্ন ব্র্র্যান্ডের প্যাকেট আটা ৬৮-৭০, ময়দা ৮০, দেশি পেঁয়াজ ৪২, আমদানি বড় পেঁয়াজ ৩৮-৪০, দেশি আদা ৮০, আমদানি আদা ৬০-৭০, দেশি রসুন ১০০ ও আমদানি রসুন ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। রাজধানীর সবজির বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, টমেটো ৭০, পটোল ৪০-৫০, করলা ৫০-৬০, লম্বা বেগুন ৪০, গোল বেগুন ৩৮-৪০, চিচিঙ্গা ৪০ ও ঝিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. কুদ্দুস সবজির চড়া দামের কথা জানিয়ে বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। তিনি প্রতি কেজি শসা ৩০, লম্বা বেগুন ৪৫, কাঁচামরিচ ১২০ ও পেঁপে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে জানান।এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৭০, খাসির মাংস ৪০০-৪৫০, ব্রয়লার মুরগি ১২০-১২৫, বড় ইলিশ ৬০০, মধ্যম আকারের ইলিশ ৫০০, রুই ১৮০-২০০ টাকা এবং প্রতি হালি ডিম ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।</div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107393">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/24/107393</a></div><div><br /></div></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-45966781797735488352011-08-09T10:27:00.000-07:002011-08-09T10:28:18.841-07:00নতুন কায়দায় ক্রসফায়ার : আটকের পর লাশ পাওয়া যাচ্ছে নির্জন স্থানে<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">নাছির উদ্দিন শোয়েব</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে এখন নতুন কৌশলে দেশে ক্রসফায়ার করা হচ্ছে। কিছুদিন ধরে ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার বা বন্দুকযুদ্ধের গল্প শোনা যায় না। ক্রসফায়ার সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তিও মিডিয়ায় পাঠানো হচ্ছে না। ক্রসফায়ারের দুর্নাম ঘোচাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভিন্ন কৌশল নিয়েছে।
<br />তবে ক্রসফায়ার ঠিকই চলছে। আটক করে নেয়ার পর পাওয়া যাচ্ছে লাশ। এক এলাকা থেকে আটক করে অন্য কোনো এলাকায় নিয়ে ক্রসফায়ার করা হয়। সম্প্রতি গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জে ছয় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। লাশ শনাক্তের পর স্বজনদের অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই যুবকদের আটক করে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সম্প্রতি উদ্ধার করা কয়েক যুুবকের লাশের পরিচয় পাওয়ার পর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করে নেয়ার পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে দূর-দূরান্তে প্রিয়জনের লাশ পাওয়া গেছে। তারা আরও বলেন, নতুন কৌশলে এদেরকে ক্রসফায়ার করা হয়েছে।
<br />গত শুক্রবার গাজীপুরে পুবাইলের নারায়ণপুর বাইপাস সড়ক এলাকার নাগদা ব্রিজের নিচ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মাথা ও গলায় গুলির একাধিক চিহ্ন রয়েছে। একই দিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলীতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হয় অপর এক যুবকের লাশ। এর আগে গত ১২ জুলাই গাজীপুরে দু’জন এবং ১৩ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয় একজন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার দুই যুবকের লাশ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
<br />স্বজনরা জানান, নিহত যুবকদ্বয় হচ্ছে মিজানুর হোসেন (২৫) ও জুয়েল সরদার (২০)। তারা দু’জন বন্ধু। মিজানের বাসা রাজধানীর ৩৬-বি/৩, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এবং জুয়েলের বাসা ৩১/১, দয়াগঞ্জ সরদারবাড়ি এলাকায়। গত রোববার গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে স্বজনরা লাশ দুটি শনাক্ত করেন। সিরাজদিখান থেকে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধ লাশটি দয়াগঞ্জের রাজীবের (৩৫)। তিনি নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই। স্বজনদের অভিযোগ, এই তিনজনকে একই সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দু’জনের লাশ গাজীপুরে এবং একজনের লাশ সিরাজদিখান এলাকায় পাওয়া যায়।
<br />জানা যায়, গত ৩১ জুলাই সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর দয়াগঞ্জ বাজার মোড় থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মিজান, জুয়েল, রাজীব ও রাজনকে স্থানীয় লোকজনের সামনেই আটক করার পর পিটিয়ে আহত করে। এরপর তাদের হাতকড়া পরিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এসময় রাজন পালিয়ে যায়। মিজানের বড়ভাই মনির বলেন, ছোটভাইকে আটকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা গেন্ডারিয়া থানায় যায়। কিন্তু থানা পুলিশ মিজানের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। পর দিন তিনি গেন্ডারিয়া থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তা নিতে চায়নি। থানা থেকে বলা হয়, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে। এরপর তিনি র্যাব, গোয়েন্দা দফতর ও ডিএমপির কয়েকটি থানা এবং হাসপাতালের মর্গে গিয়ে খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে মিজানের লাশ শনাক্ত করি।
<br />মনির বলেন, তারা দুই ভাই। উত্তর যাত্রাবাড়ীতে পারিবারিক ওয়ার্কশপ আছে তাদের। তারা দুই ভাই মিলে ওই ওয়ার্কশপ চালাতেন। মনির বলেন, কয়েক বছর আগে দয়াগঞ্জে মোহন নামের একজন খুন হয়। সেই হত্যা মামলায় ছোট ভাই মিজানকে উদ্দেশ্যমূলক আসামি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার ভাইকে বেআইনিভাবে মেরে ফেলেছে। আমার ভাইয়ের কোনো অপরাধ ছিল না। নিহত জুয়েলের এক আত্মীয় বলেন, জুয়েল ফ্রিজ মেরামতের কাজ করতো। গত ৩১ জুলাই সকালে চাচাতো ভাই রাজীবের সঙ্গে বাসা থেকে বেরিয়ে কাছেই বাজারে যাওয়া মাত্র অস্ত্রধারী ৭/৮ জন লোক তাদের মারধর করে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে সিরাজদিখান সদর হাসপাতালের মর্গে রাজীব এবং গাজীপুরে জুয়েলের লাশ পাওয়া যায়।
<br />নিহতদের স্বজনের দাবি—কেন এই নিরপরাধ যুুবকদের হত্যা করা হলো? তাদের কী অপরাধ? তাদের নামে কোনো অভিযোগ নেই। নিহতদের আত্মীয়স্বজন আরও বলেন, যারা ওদের আটক করে গুলি করে হত্যা করল তারা আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থার লোক তাও জানা যায়নি। থানা পুলিশ বলছে, গোয়েন্দা পুলিশের কথা। অন্যদিকে গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। র্যাব থেকেও আটকের কথা স্বীকার করা হয়নি। ওরা যদি সত্যিই অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে আটক ও হত্যার ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লুকোচুরি কেন?
<br />দেশে ক্রসফায়ার নিয়ে আলোচিত ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত গড়িয়েছে। চলতি বছর মে-তে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও র্যাব নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। র্যাবকে খুনিবাহিনী আখ্যা দিয়ে এটাকে ভেঙে দেয়ার দাবি জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এ দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমান অবস্থার উন্নতি না হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে র্যাব ভেঙে দিতে হবে। র্যাবের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। র্যাব এখন অপরাধ সংঘটনে ভাড়া খাটছে। তিনি বলেন, র্যাবের পদস্থ কর্মকর্তারা সরকারকে কোনো পাত্তাই দেয় না।
<br />এছাড়াও গত বছরের মাঝামাঝি ক্রসফায়ার নিয়ে উদ্বেগ ছড়ালে মানবাধিকার সংগঠন ছাড়াও বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গত বছরের ১৭ নভেম্বর ক্রসফায়ারের একটি ঘটনা নিয়ে সুয়োমোটো রুল জারি করেন বিচারপতি আবদুর রহমান ও বিচারপতি ইমদাদুল হক সমন্বয় গঠিত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত স্বণোদিত হয়ে মাদারীপুরের লুত্ফর খালাসি ও খায়রুল খালাসি নামে দুই ভাইকে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি কেন বিচারবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সরকার ও র্যাবের কাছে জানতে চেয়ে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেন। দুই সহোদরকে র্যাব আটক করার পর তাদের হেফাজতে হত্যা করা হতে পারে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশের ৩৬ ঘণ্টা পর তাদের মৃত্যুর খবর জানা যায়।
<br />এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মহাসচিব সাইফুল ইসলাম দিলদার বলেন, আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের শতকরা ৬৫ ভাগই ভালো মানুষ। সমাজের একটি কুচক্রি মহল হীনউদ্দেশ্য হাসিল করতে তাদের ক্রসফায়ারের শিকার বানায়। এতে প্রকৃত অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
<br />মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত ৬ মাসে গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৩৭ জনই ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব ২৪ জনকে, পুলিশ ৮ জনকে, র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জন এবং র্যাব ও কোস্টগার্ডের যৌথ অপারেশনে ২ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। নিহত ৪৯ জনের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী, ৩ জন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) সদস্য, ২ জন পূর্ব বাংলার কমিউনিউস্ট পার্টির সদস্য, ৪ জন গণবাহিনীর সদস্য, ২ জন যুবক, একজন ৫২ বছর বয়সী ব্যক্তি, একজন ঢাকার নর্দার্ন কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র, একজন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, একজন ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, একজন ওষুধ ব্যবসায়ী, একজন কাপড়ের দোকান কর্মচারী, একজন পশু ডাক্তার, একজন শ্রমিক, একজন কয়েদি, ২ জন হাজতি এবং ২৬ জন কথিত অপরাধী বলে জানা গেছে।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/09/98250">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/09/98250</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-2943938617116750902011-08-05T17:50:00.000-07:002011-08-05T17:53:13.964-07:00নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgWJq7trRelfPWTd7ROvPY3uVFBXhNhEmzLXUujyX8z8Fr3GUzE00e0mW1pusHAg0_R2ZqW_SMne9QdD_pK8GO8oYf9EzsyoHE1WWbekIJZNxAtEQjVg8a8J3UpQ837V77BOKZ5OLsNqK8/s1600/P1_nittoponner_2.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 165px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgWJq7trRelfPWTd7ROvPY3uVFBXhNhEmzLXUujyX8z8Fr3GUzE00e0mW1pusHAg0_R2ZqW_SMne9QdD_pK8GO8oYf9EzsyoHE1WWbekIJZNxAtEQjVg8a8J3UpQ837V77BOKZ5OLsNqK8/s400/P1_nittoponner_2.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5637539274261147554" /></a><br /><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">কাজী জেবেল</span></div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">পহেলা রমজান রাজধানীতে ভালো মানের ছোলা (অস্ট্রেলিয়ার ছোলা নামে পরিচিত) বিক্রি হয়েছে বাজারভেদে ৮০-১০০ টাকা। একই মানের ছোলা গতকাল কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল ও পলাশী বাজারের বেশিরভাগ দোকান থেকে উদাও হয়ে গেছে। খোঁজাখুিজর পর যেসব দোকানে পাওয়া গেছে সেখানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ৭০ টাকার কমে ছোলা পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানের ছোলা ৭০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এক মণ ওজনের (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ছোলার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭৭ দশমিক ৭০ টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্য শহরগুলোতে ছোলা ৬৫-১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সরকার চিনির দাম প্রতি কেজি ৬৫ টাকা বেঁধে দিয়েছে। অথচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেটসহ সারাদেশের শহরের বাজারগুলোতেই চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামগঞ্জে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা দরে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অধিকাংশ ডিলারই প্রতি মণ পরিশোধিত চিনি ২৬০০ থেকে ২৬৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ হিসাবে পাইকারি বাজারেই চিনির দাম পড়েছে প্রতি কেজি ৬৯-৭১ টাকা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">ঢাকায় খোলা সয়াবিন তেল ১১৫ টাকা, খুলনায় ১২৪ টাকা, বরিশালে ১১৫-১১৮ টাকা, রংপুরে ১২৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১২১-১২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-১০০ টাকা ও ধনিয়া পাতা ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ফল, কাঁচা তরকারি, মাছ-মাংসসহ অন্যান্য সব পণ্যের দাম আঁকাশছোয়া। সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রয়োজনীয় পরিমাণ পণ্য কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় চাহিদা মতো খাদ্য আইটেম দিয়ে ইফতার করতেও পারছেন না। ফলে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রোজা রাখছেন দেশের সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে যখন ক্ষোভ বাড়ছে, ঠিক তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের কম খাওয়ার নছিহত যেন আগুনে ঘি ফেলেছে। মানুষের ক্ষোভের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে শীর্ষে ছিল দ্রব্যমূল নিয়ন্ত্রণ করা। এতে </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ শিরোনামে বলা হয়, ‘দ্রব্যমূল্যের দুঃসহ চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। মজুতদারি ও মুনাফাখোরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে, চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ‘ভোক্তাদের স্বার্থে ভোগ্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গড়ে তোলা হবে। সর্বোপরি সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য কমানো হবে ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ অথচ আওয়ামী লীগের শাসনামলের আড়াই বছরে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এখনও চড়া দামেই সবকিছু বিক্রি হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও চাল, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির ফলে প্রশ্ন উঠেছে—বাজারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? দাম বাড়ার নেপথ্যে কে বা কারা কলকাঠি নাড়ছে? এসব প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রীর হাঁকডাক, ব্যবসায়ীদের ‘নো লস, নো প্রফিট’ প্রতিশ্রুতি, টিসিবির কার্যক্রম, সংসদীয় কমিটির বাজার পরিদর্শন, মোবাইল কোর্টসহ সরকারের নেয়া সব পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছেই। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">খুচরা বাজারে যা হচ্ছে : গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দামের চার্ট ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু চার্টে উল্লিখিত দামে তারা কোনো পণ্যই বিক্রি করছেন না। কারওয়ানবাজারের ফরিদগঞ্জ জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, সরকারি কর্মকর্তারা সাদা কাগজে একটি চার্ট দিয়ে প্রতিদিন কি দামে কোন পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা লিখে রাখতে বলেছেন। আমরা সাদা কাগজটিতে লেমিনেটিং করে তাতে দর লিখে রেখেছি। ওই চার্টে ছোলার দাম ৭০-৭৫ টাকা লেখা রয়েছে। কিন্তু তিনি ছোলা ৭৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এবং ভালো মানের ছোলা তার কাছে নেই বলেও জানান। চার্টের দামের চেয়ে বেশি দাম কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চার্টে দেশি ছোলার দাম লেখা রয়েছে। আমি মিয়ানমারের ছোলা বিক্রি করছি। ওটার দাম বেশি। এদিকে রাজধানীর বাজার থেকে ভালো মানের ছোলা (অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে পরিচিত) উধাও হয়ে গেছে। যে কয়েকটি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে তা ১৫০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ানবাজারের আল আরাবিয়া দোকানের মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, অস্ট্রেলিয়ান ছোলা প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ কম। মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরে একই মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়। এ প্রসঙ্গে দোকানের বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, ‘ঘুইরা দেখেন না এই ছোলা পাবেন কিনা। আজ (গতকাল) যে দামে বেছছি, আগামীকাল দাম আরও বাড়বো।’ বাজারগুলোতে এখনও খোলা সয়াবিন তেল ও চিনি সঙ্কট রয়েছে। বাজারে খোলা চিনি ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে তা ৭০-৮০ টাকা দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল ১১০-১১৫ টাকা, পাম তেল ১০৪ টাকা, সুপার পাম তেল ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক দানার রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৩৮ টাকা, আমদানি করা ৩৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা, আমদানি করা আদা ৭০-৮০ টাকা, ভালো মানের মসুর ডাল ৯০-১০০ টাকা, সাধারণ মানের মসুর ডাল ৭৫-৯০ টাকা, মুগ ডাল ১১৫ টাকা ও আলু ১৫-১৬ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে কাঁচাবাজারের উত্তাপ এখনও রয়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, পলাশী ও নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট ঘুরে চড়া দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। টমেটো ৬০-৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, শসা ৪০-৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৩০-৩৫ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫-৪০, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০ টাকা ও লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি করতে দেখা গেছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, খুচরা বাজারে চিনি, ছোলা, তেলসহ প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। ৩০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। সরকার নির্ধারিত দামে চিনি, ছোলা ও ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি ও খুচরা বাজারে এখনও চলছে চিনি সঙ্কট। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চিনির সঙ্কটের কথা বলে পাইকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেজি প্রতি ৬৯ টাকার নিচে তারা চিনি বিক্রি করছেন না। এই দরে চিনি কিনে এনে তাই খুচরা বিক্রেতাদের ৭০ থেকে ৭৪ টাকায় চিনি বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক খুচরা দোকানদার ঝামেলা এড়াতে দোকানে চিনি রাখাই বন্ধ করে দিয়েছে। খাতুনগঞ্জে অধিকাংশ ডিলারই প্রতি মণ পরিশোধিত চিনি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজির বস্তা) ২৬শ’-২৬৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ হিসেবে পাইকারি বাজারেই চিনির দাম পড়েছে প্রতি কেজি ৬৯ টাকা থেকে ৭১ টাকা। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোলা প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজির বস্তা) বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৯শ’ টাকায়। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">গতকাল শুক্রবার নগরীর মধ্যবিত্তের বাজার হিসেবে খ্যাত চকবাজার, বহদ্দারহাট, বক্সিরহাট ও আশপাশের খুচরা দোকান এবং অভিজাত কাঁচাবাজার হিসেবে পরিচিত কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১১৮ থেকে ১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকার খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা বেঁধে দিয়েছে। চিনির অবস্থাও একই। সরকার চিনির কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা দর নির্ধারণ করে দিলেও সেই চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৪ টাকায়। নগরীতে প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, নগরীর বাইরে ৫৫ টাকা থেকে ৫৮ টাকা ছোলার দাম বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ দামে কোথাও ছোলা পাওয়া যাচ্ছে না। ছোলা প্রতিকেজি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৬ থেকে ১৮ টাকায়। পাকা মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৮-৩০ টাকায়। কাঁকরোল মানভেদে ৩০-৪০ টাকা এবং করলা ৩৬-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা, কাঁচা মিষ্টি কুমড়া, লাউ, যশোরের বেগুন, কচুরছড়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। পটল ৩২-৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। এছাড়া ঝিঙ্গা, দেশি বেগুন, বরবটি প্রতিকেজি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়া আদা প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৩০ টাকা, দেশি হলুদ ১৯০ টাকা, দেশি মসুর ভালো মানের ৯০ টাকা, সাধারণ মানের মসুর ৭০ টাকা, দেশি মুগ ১১০ টাকা, বুটের ডাল ৬৮ টাকা, খেসারি ডাল ৪০ টাকা, সয়াবিন ৫ লিটারের বোতল ৫৮৫ টাকা ও ৫৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খেজুর বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। নিম্নমানের খেজুর প্রতিকেজি ৭০ টাকা, মাঝারিমানের ১২০ টাকা এবং উন্নতমানের খেজুর ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চালের মধ্যে পাকিস্তানি ও ভিয়েতনামি বেতি আতপ চাল প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, থাইল্যান্ডের বেতি ৩৮ টাকা, পাইজাম ৪৪ টাকা, মিনিকেট আতপ ৪০ টাকা, বার্মা আতপ ৩০-৩২ টাকা এবং জিরাশাইল ৪২-৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চালের মধ্যে সিদ্ধ চালের দাম আতপের চেয়ে ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি। বিভিন্ন বাজারে বার্মা রুই প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দেশি রুই ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, কাতল মাছ ১৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় মাপের ইলিশ ৫শ’ থেকে ৬শ’, ছোট মাপের ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">রাজশাহী : রাজশাহী অফিস জানায়, অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচা শাকসবজি ও নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দামের যাঁতাকলে পড়ে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এজন্য খুচরা বিক্রেতারা দুষছেন পাইকারদের, আর পাইকাররা দায়ী করছেন মজুতকারী সিন্ডিকেটকে। গতকাল রাজশাহীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দু’তিনদিনের ব্যবধানে বাজারে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা, লেবুসহ ইফতারি পণ্যের। রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান, কোর্ট বাজারে বেগুন ৩৬-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও লেবু ১৬ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৬ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৮ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, পটল ৩২ টাকা, করলা ৩২ টাকা, ঝিঙ্গা ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">এদিকে মুরগির বাজারেও দাম বেড়েছে বলে জানালেন ক্রেতারা। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২৫-২৩০ টাকা। এছাড়া সোনালি কর্ক ২০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি। ডালের বাজারে ছোলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭৩ টাকা দরে। এছাড়া মসুর ডাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা। ভোজ্যতেলের বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০৯ টাকা থেকে ১১০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১১৯ থেকে ১২২ টাকা। সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ ও চিনি ৭০ টাকায়। এছাড়া আটাশ চাল ৩৬-৩৭ টাকা কেজি, পারিজা ৩৫-৩৭ টাকা, মিনিকেট ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ টাকা এবং পোলাওর চাল ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৫০-২৬০ টাকা, খাসি ৩৫০ টাকা, ইলিশ ৪০০-৬২০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬শ’ টাকা, দেশি কৈ ১৬০-৩০০ টাকা, বড় কাতল ২৫০-৩৫০ টাকা, বড় রুই ৩০০-৩৭০ টাকা, মাঝারি সিলভারকার্প ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসলার বাজারে এলাচ প্রতিকেজির দাম ৩ হাজার ২শ’ টাকা, জিরা ৩৮০ টাকা, দারুচিনি ২২০ টাকা ও ধনিয়া প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">রংপুর : রংপুর অফিস জানায়, খুচরা বাজারে মোটা চাল প্রতিকেজি ৩২-৩৫ টাকা, সরু চাল ৪৪-৪৭ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, খেসারি ডাল ৩৫ টাকা, মুগডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৬৬-৭০ টাকা, আলু ১৬-২০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, পটল ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, শসা ৪০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ৭০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">খুলনা : খুলনা অফিস জানায়, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, বেগুন, কাঁচামরিচসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১২০-১২৫ টাকা, সুপার তেল ১১২-১১৩ টাকা এবং পামওয়েল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা দরে। এছাড়া পেঁয়াজ (দেশি) ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬-৩৭ টাকা, পেঁয়াজ (আমদানিকৃত) ২৮ টাকা, পটল ২৪ টাকা, বেগুন ৩২-৩৪ টাকা, রসুন ৮২ টাকা, শসা ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা এবং কক ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">বরিশাল : বরিশাল অফিস জানায়, রমজান শুরুর পরপরই বরিশালে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীর বাজারদর ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। একদিনের ব্যবধানেই বেড়ে যাচ্ছে এসব পণ্যসামগ্রীর দাম। সঠিক মনিটরিং ও তদারকির অভাবে বিক্রেতারা খেয়ালখুশিমত দাম বাড়াচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল বরিশালের বাংলাবাজার, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ ২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩৩-৩৬ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, শসা ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, ১০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া চিনি ৭৫-৭৬ টাকা, গুড় ৮০ টাকা, রসুন ও আদা ৮০ টাকা, ছোলা ৬৫-৭০ টাকা, চিড়া ৮০ টাকা, মুড়ি ৯০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ টাকা, আটা ২৮-৩০ টাকা, ময়দা ৩৫-৩৬ টাকা ও খেসারি ডাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রমজান শুরু হতেই বিভিন্ন পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অব্যাহত পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাবাজার এলাকার শামসুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, এ সরকার ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দাম সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া হলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ইচ্ছেমত দাম বৃদ্ধি করছে। তিনি সরকারিভাবে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">সিলেট : সিলেট অফিস জানায়, সিলেটের খোলাবাজারে চিনির সঙ্কট রয়েছে। অনেক খুচরা ব্যবসায়ী দাম বেশি হওয়ায় চিনি কেনাবেচা বন্ধ রেখেছেন। কেজিপ্রতি চিনির দামে বেশ পার্থক্যও দেখা গেছে। ক্রেতাদের ৮০-১০০ টাকা দরে চিনি কিনতে দেখা গেছে। এছাড়া ভালোমানের ছোলা ৯০ টাকা ও সাধারণ মানের ৬৫ টাকা, সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের ক্যান ৫৯৫-৬০৫ টাকা, প্রতিলিটার ১২৫ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২৮-৩০ টাকা, রসুন ৬০-৭০ টাকা, আদা ৮০-৯০ টাকা ও ডাল ৮০-১০০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">বাজারে প্রভাব ফেলতে পারেনি টিসিবি : বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অন্যতম হাতিয়ার টিসিবি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বাজারে ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এবছর তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানান, রোজা ও ঈদের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পণ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়া, নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করা, দলীয় বিবেচনায় ডিলার নিয়োগ ও নিয়ম মেনে ডিলাররা পণ্য বিক্রি না করায় টিসিবির কার্যক্রম বাজারে প্রভাব ফেলতে পারেনি। সরকারি এ সংস্থাটি দলীয় কর্মীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ডিলাররা একটি পণ্যের সঙ্গে আরেকটি কেনার শর্ত জুড়ে দেয়ায় অনেক ক্রেতা বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। টিসিবি কর্মকর্তারা জানান, টিসিবি ২ হাজার ৪৬৩ জনের বেশি ডিলার নিয়োগ দিয়েছে সারাদেশে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫৫০ জন ডিলারের প্রত্যেকে ২ টন চিনি, ১ হাজার ২০০ লিটার তেল, ৫০০ কেজি মসুর ডাল, ৫০০ কেজি ছোলা, ৫০০ কেজি খেজুর নিয়েছেন। তারা চিনি ৫৮ টাকা, সয়াবিন ১০২ টাকা, মসুর ডাল ৬৮ টাকা, ছোলা ৫৮ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি করছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশিরভাগ ডিলার টিসিবি থেকে পণ্য নেননি এবং নিয়মানুযায়ী বিক্রি করেননি। ডিলাররা ‘প্যাকেজ সিস্টেমে’ বিক্রি করছেন। প্যাকেজে দুই কেজি চিনি, দুই কেজি সয়াবিনের সঙ্গে সমপরিমাণ মসুর ডাল আর খেজুর কেনা বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে।</span><div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক গতকাল এক বিবৃতিতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।</span></div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97551">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97551</a><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(255, 255, 255); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমনকি সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ কয়েক নেতা বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। ওবায়দুল কাদের বাণিজ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ.স.ম. হান্নান শাহ গতকাল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যর্থতা মেনে নিয়ে সরে না দাঁড়ালে জনগণই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিদ্যুত্, পানি সঙ্কট সমাধান ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজের টেবিলজুড়ে খাবার নিয়ে বসেন। আর দেশের মানুষকে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটা খুবই হাস্যকর। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি আমলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো হলে এখন কারা দাম বাড়াচ্ছে—এ প্র</span></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-44432622430146929382011-07-20T07:29:00.000-07:002011-07-20T07:34:12.128-07:00আ.লীগ নেতা তাহেরের ছেলে বিপ্লবের দণ্ড মওকুফ, আরও দুটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন খুনিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা<span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; "><div class="alternativeCol justify cb oH mb10" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; text-align: justify; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; clear: both; "><div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10" style="margin-top: 0px; margin-right: 20px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 9px; padding-right: 9px; padding-bottom: 9px; padding-left: 9px; width: 340px; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; border-top-width: 1px; border-right-width: 1px; border-bottom-width: 1px; border-left-width: 1px; border-top-style: solid; border-right-style: solid; border-bottom-style: solid; border-left-style: solid; border-top-color: rgb(226, 226, 226); border-right-color: rgb(226, 226, 226); border-bottom-color: rgb(226, 226, 226); border-left-color: rgb(226, 226, 226); float: left; "><div class="mb10" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; "><br /><img width="100%" class="mb10" src="http://paloadmin.prothom-aloblog.com:8088/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-07-19-21-57-16-057776600-2.jpg" alt="" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; border-top-width: 0px; border-right-width: 0px; border-bottom-width: 0px; border-left-width: 0px; border-style: initial; border-color: initial; " /><p style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; "></p><p class="small ash" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; font-size: 13px; line-height: 15px; color: rgb(68, 68, 68); "></p></div></div><div class="alternativeCol justify cb oH mb10" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; text-align: justify; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; clear: both; "><br /></div>লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ডাদেশ মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি।<br />লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে ২০০৩ সালে আদালত বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। আরও দুটি হত্যা মামলায় বিপ্লবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে আটক আছেন। <br />দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় পলাতক থেকে বিপ্লব গত ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাঁর বাবা আবু তাহের ছেলে বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বিপ্লবের সাজা মওকুফ করেন। গত ১৪ জুলাই এই সাজা মওকুফের আদেশ কার্যকর হয়। <br />বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে নুরুল ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। এটি তখন দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনা ছিল। তখন সেখানকার পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরও সন্ত্রাসের ‘গডফাদার’ হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন।<br />২০০৩ সালে এই মামলার রায়ে বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত।<br />বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুফসংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার বিচারিক আদালত চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নুরশেদ আহমেদ ভুইয়া। চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ‘কারা শাখা-২-এর পি-২০/২০১১(অংশ)/২৭০, তারিখ ১১/০৭/২০১১’ এবং কারা অধিদপ্তরের স্মারক নং ‘পিডি/পরি/৭/২০১১/১৬৭৫(৩), তারিখ ১৭/০৭/২০০১’-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘উপরোক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের আলোকে মহোদয়ের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিষয়োক্ত বন্দিকে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, চট্টগ্রাম-৪৮/২০০৩ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দির পিতা কর্তৃক ছেলের প্রাণভিক্ষার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি “মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করা হলো” লিখে স্বাক্ষর করেছেন। তাই সংশ্লিষ্ট বন্দি গত ১৪/০৭/২০১১ তারিখে মৃত্যুদণ্ড হতে খালাস পেয়ে অন্য মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে বর্তমানে অত্র কারাগারে আটক আছে।’<br />গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক নুরশেদ আহমেদ ভুইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি মামলায় বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করেছেন। সেই আদেশ অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’ তিনি বলেন, আরও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় বিপ্লব কারাগারে বন্দী আছেন।<br />কী বিচার পেলাম: বিপ্লবের ফাঁসির দণ্ড মওকুফের খবর জানিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাহলে আমরা কী বিচার পেলাম? আমার বাচ্চারা কী বিচার পেল? একটা স্বাধীন দেশে যদি খুনি ক্ষমা পেয়ে যায়, তাহলে আর কী বলব! শুধু কষ্ট হয়। এই খুনির ক্ষমা হয় কীভাবে?’<br />রাশিদা ইসলাম বলেন, ‘এখন তো আমি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কারণ, সে তো একজন খুনি। সে শুধু একটা খুন করেনি, আরও অনেক খুন করেছে। এখন আমরা কার কাছে নিরাপত্তা চাইব?’<br />হত্যা, মামলা ও বিচার: স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আবু তাহের ও তাঁর ছেলেদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর নানা অপরাধমূলক তৎপরতার কারণে লক্ষ্মীপুর ‘সন্ত্রাসের জনপদ’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। ওই সময় সেখানকার বেশির ভাগ বিএনপির নেতা-কর্মী হামলা ও মামলার মুখে এলাকাছাড়া ছিলেন। নুরুল ইসলাম ছিলেন তখন বিএনপির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আইনজীবী হিসেবে এলাকায় অবস্থান করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা পরিচালনা করতেন। আর তাঁর স্ত্রী-সন্তান ঢাকায় থাকতেন।<br />২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুরের পৌর এলাকার মজুপুরের বাসা থেকে নুরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। এরপর আর তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরদিন থেকে এটা দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনা ছিল। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ‘গডফাদার’ আবু তাহের ‘সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। <br />মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, পরবর্তী পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাহেরের তিন ছেলে বিপ্লব, লাবু ও টিপুর নেতৃত্বে নুরুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। ওই রাতেই তাহেরের বাসায় তাঁর স্ত্রী নাজমা তাহেরের উপস্থিতিতে নুরুল ইসলামকে জবাই করা হয়। এরপর লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।<br />এ ঘটনার পরদিন লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি এইচ এম তারেক উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ ছিল না।<br />এ ঘটনার ১০ দিন পর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির সাংসদদের একটি দল লক্ষ্মীপুরে যায় এবং ৩৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করে পুলিশ সুপারের কাছে মামলার একটি এজাহার জমা দেয়। কিন্তু পুলিশ বিএনপির মামলা নেয়নি। আগের এজাহার বহাল রাখে।<br />২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মামলার তদন্তের নতুন মোড় নেয়। ২০০২ সালের ৩০ জুলাই আবু তাহের, তাঁর স্ত্রী নাজমা, তিন ছেলেসহ ৩১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। <br />মামলাটি তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ২০০৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলার নথি আসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এরপর শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।<br />আদালত তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার ইরফান আলীসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।<br />২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় দেন। তাতে তাহেরের তিন ছেলেসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তাহের ও তাঁর স্ত্রী নাজমাসহ তিনজন খালাস পান। বিপ্লব এই মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন।<br />কারা সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে বিপ্লব লক্ষ্মীপুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর গত ১৯ মে সকালে লক্ষ্মীপুর কারাগার থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে পুলিশ পাহারায় বিপ্লবকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। <br />এ ছাড়া বিএনপির কর্মী কামাল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বিপ্লবের অপর দুই ভাই এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও আবদুর জব্বার লাবলু ওরফে লাবুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। কামাল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আবু তাহের, তাঁর বড় ছেলে বিপ্লব ও দলীয় কর্মী খালেক, বাবর এবং মারজুর। পরে বিপ্লব ও খালেক ছাড়া বাকি চারজন হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। <br />বিএনপির কর্মী কামালকে ২০০০ সালে হত্যা করা হয়।</div><div><a href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-20/news/171595">http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-20/news/171595</a></div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: solaimanLipi, arial; font-size: 15px; line-height: 20px; "><div class="threeCol mb20 white" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; width: 720px; overflow-x: hidden; overflow-y: hidden; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); background-position: initial initial; background-repeat: initial initial; "><div class="pr20 white mb20" style="margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 10px; margin-left: 0px; padding-top: 0px; padding-right: 20px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; background-image: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial; background-color: rgb(255, 255, 255); background-position: initial initial; background-repeat: initial initial; "></div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-7817813309916648442011-07-07T04:38:00.000-07:002011-07-07T04:40:15.062-07:00লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx5xPIT4k1mn0lu18fHsp0eEufegD3exD1qmiBlJ5CN90gY6DYyIH3cXkiaoGHyKHzzOEdpU-Jgw_V6hosLQrbph-P8ifTj_KTNgKxTq8-BBteNycsl_vI-4h4zSBEGWtKzC_9uz_lWAc/s1600/P1_lagamhin-nittoponner.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 104px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx5xPIT4k1mn0lu18fHsp0eEufegD3exD1qmiBlJ5CN90gY6DYyIH3cXkiaoGHyKHzzOEdpU-Jgw_V6hosLQrbph-P8ifTj_KTNgKxTq8-BBteNycsl_vI-4h4zSBEGWtKzC_9uz_lWAc/s400/P1_lagamhin-nittoponner.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5626573695227968562" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বাজারে এক কেজি চিনির খুচরা দর ৬৭ থেকে ৬৯ টাকা ছুঁয়েছে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মূল্য ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। লুজ সয়াবিন বেড়ে হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা লিটার। মোটা চালের দর বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা কেজি। রোজার আগেই ছোলার কেজি ৭০ থেকে ৭৩ টাকা। বাড়ছে পেঁয়াজ, রুসন ও আদার দর। ব্রয়লার মুরগি, ডিম, রুইমাছ ও ইলিশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবু এগুলোর দরও বাড়ছে সমান তালে। নিত্যপণ্যের বাজার যেন বেসামাল। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে পণ্য আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস, টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি, মনিটরিং কমিটি গঠন, পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল গঠনসহ বেশ কিছু উদ্যোগের কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এসব উদ্যোগের কিছুই কাজে আসেনি। সুফল পায়নি ক্রেতা-ভোক্তারা। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের তুলনায় মহাজোট সরকারের আমলে বর্তমানে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের মূল্যই দ্বিগুণ বেড়েছে। বিগত জরুরি সরকারের তুলনায়ও কোনো কোনো পণ্যের দর বর্তমানে বেশি। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, পেঁয়াজ, রসুন, গুঁড়োদুধ, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, লবণসহ সব ধরনের পণ্যের বাজারই এখন নিয়ন্ত্রণহীন। লাগামহীনভাবে এসব পণ্যের মূল্য বাড়লেও, বাজারে যেমন সরকারের কোনো মনিটরিং ব্যবস্থাও নেই, তেমনি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর কোনো ভূমিকাও নেই সরকারের। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ভোজ্যতেল : বাজারে লুজ বা খোলা সয়াবিনের দর বর্তমানে প্রতি লিটার ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। পাম অয়েল মেশানো এসব সয়াবিনের ক্রেতারা সাধারণত নিম্নআয়ের মানুষ। তবে উন্নত মানের লুজ সয়াবিনের দর প্রতি লিটার ১২০ টাকা বলে জানিয়েছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তেল বিক্রেতারা। আবার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে প্রতি লিটার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। টিসিবি’র হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে সয়াবিনের দর বেড়েছে গড়ে ৫০ শতাংশ। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">টিসিবি জানায়, গত ২০০৬ সালের এই সময়ে বাজারে প্রতি লিটার লুজ সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা দরে। জোট সরকারের তুলনায় সয়াবিনের দর বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৭ থেকে ১০২ টাকা দরে। নিম্নমানের এসব পাম অয়েল সাধারণত সাবান তৈরির নামে বাংলাদেশে আমদানি হয়। তবে সুপার পাম অয়েলের দর বর্তমানে প্রতি লিটার ১০৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সুপার পাম অয়েলই মূলত খাবার তালিকায় ভোজ্যতেল হিসেবে আমদানি হয়। তবে আমদানিতে সুপার পাম অয়েলের পরিমাণ খুবই কম। টিসিবি’র বাজার দর তথ্যে দেখা গেছে, গত এক বছরে পাম অয়েলের দর বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। তবে ২০০৬ সালে বাজারে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হতো ৩৯ থেকে ৫২ টাকা লিটার, যা বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">চিনি : খুচরা বাজারে এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে ৬৭ থেকে ৬৯ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে চিনির দর ৭০ টাকা ছুঁয়েছে। তবে টিসিবি’র রোববারের বাজার দর তথ্যে দেখানো হয়েছে কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, হাতিরপুল বাজারসহ বেশ কিছু বাজারে চিনির খুচরা দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। টিসিবি’র হিসাবে গত এক মাসেই চিনির দর বেড়েছে শতকরা হিসাবে সাড়ে ৭ ভাগ। এক বছরের ব্যবধানে চিনির দাম বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">১৯৯৬ সাল থেকে গতকাল পর্যন্ত টিসিবির বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতকালই এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে চিনির দাম। টিসিবি জানায়, ১৯৯৬ সালে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দর ছিল সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪২ টাকা। ’৯৭-এ চিনি বিক্রি হয়েছে ২৯ থেকে ৩৬ টাকা দরে, ’৯৮-এ ৩১ থেকে ৩৪ টাকা, ’৯৯-এ ৩১ থেকে ৩৩ টাকা, ২০০০ সালে ৩০ থেকে ৩৭ টাকা, ২০০১ সালে ৩০ থেকে ৩৩ টাকা, ২০০২ সালে ২৯ থেকে ৩৪ টাকা, ২০০৩ সালে ২৮ থেকে ৩৬ টাকা, ২০০৪ সালে ২৮ থেকে ৩৪ টাকা, ২০০৫ সালে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুর দিকে চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ২৭ থেকে ৩৭ টাকা। ২০০৮ সালে চিনি বিক্রি হয় ২৯ থেকে ৪৩ টাকা। বর্তমান সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দিন (৬ জানুয়ারি ২০০৯) চিনির দর ছিল ৩০ থেকে ৩৩ টাকা কেজি। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ছোলা : রোজার আগেই এ বছর ছোলার দর অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৩ টাকা দরে। রাজধানীর রহমতগঞ্জের পাইকারি ছোলা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা এবং সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দরে বর্তমানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে। রহমতগঞ্জের সুমন ডাল বিতানের মালিক ও বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি নেসার উদ্দিন গতকাল আমার দেশকে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে গতকাল উন্নতমানের প্রতি কেজি ছোলার দর ছিল ৫৯ থেকে ৬০ টাকা। নিম্নমানের ছোলা বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা। তবে টিসিবির বাজার দর তথ্যে বলা হয়েছে, রোববার প্রতি কেজি ছোলার খুচরা মূল্য ছিল ৭০ টাকা। টিসিবি জানিয়েছে, গত এক মাসে ছোলার দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ছোলার দাম বৃদ্ধির হার ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ। ২০০৬ সালের এই সময়ে টিসিবির বাজার দর তথ্যে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৩৫ টাকা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪৫ টাকা : কোনো কারণ ছাড়াই ব্রয়লার মুরগির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। টিসিবি জানিয়েছে, গত ১২ জুন থেকে কয়েক দফা দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। গতকাল রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। শতকরা হিসাবে গত এক মাসে ব্রয়লার মুরগির মূল্য সাড়ে ১২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। বাজারে যেমন ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে, তেমনি দেখা দিয়েছে সঙ্কটও। চাহিদার অর্ধেক ঘাটতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে খুচরা দামে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে গড়ে ৮১ টাকা ৪৫ পয়সা দরে। তবে সে বছর ৭০ টাকা দরেও ব্রয়লার মুরগি কিনে খেয়েছেন ক্রেতা-ভোক্তারা। ২০০৭ সালে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ৮৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ২০০৮ সালে গড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দর ছিল ১০৫ টাকা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অন্যদিকে সরকারি বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দিন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি (ফার্মের মুরগি) বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে (খুচরা দাম)। সে দিন বাজারে দেশি মুরগির দর ছিল প্রতি কেজি ২০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দর চড়া থাকায় দাম বেড়েছে দেশি মুরগির।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ডিম : দেশে ডিম আমদানি হয় না। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিমের দাম বাড়ল কি কমল তার হিসাব করে স্থানীয় বাজারে দাম বাড়া বা কমার কথা নয়। তবে গত এক মাস ধরেই বেজায় চড়া ডিমের দর। টিসিবির হিসাবেই গত এক মাসে ডিমের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ। তবে বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত এক মাসে ডিমের দর বেড়েছে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">গতকাল রাজধানীর বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিমের দর ছিল ২৭ থেকে ২৯ টাকা। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, হাতিরপুল বাজার, মৌলভীবাজার, ঠাঁটারিবাজার, সূত্রাপুর, ফকিরাপুল, মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি হালি দেশি মুরগির ডিমের দাম ছিল ১১ থেকে ১২ টাকা। এখন একই ডিমের দাম ৩২ থেকে ৩৪ টাকা হালি। ফার্মের ডিমের দাম ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১ টাকা।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রোজার আগেই চড়া মাছ-মাংসের বাজার : রোজার মাসে সাধারণত মাছ ও মাংসের বাজার কিছুটা চড়া থাকে। তবে এ বছর রোজার এক/দেড় মাস আগেই মাছ-মাংসের বাজার চড়া। বাজারে বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। দুই বছরে এক কেজি গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৬০ থেকে ৪৮৫ টাকা কেজি দরে। দুই বছরে এক কেজি খাসির মাংসের দর বেড়েছে প্রায় ৯৫ টাকা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বাজারে এক কেজি রুই মাছের দাম এখন ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত। ২০০৯ সালের শুরুর দিকে বাজারে রুই মাছ বিক্রি হয়েছে দেড়শ’ টাকা কেজি দরে। রুই মাছের দর গত দুই বছরে প্রতি কেজিতেই বেড়েছে প্রায় ১১০ টাকা পর্যন্ত। এই হিসাব ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বাড়ছে চালের দর : চালের ভরা মৌসুমে প্রতি কেজি সরু জাতের মিনিকেট, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫০ টাকায়। টিসিবি’র দেয়া তথ্যানুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে এ চালের দাম বেড়েছে ১০ ভাগ। মাঝারি মানের পাইজাম, লতাশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায়। এক বছরে বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৬ ভাগ। মোটা চাল স্বর্ণা ও চায়না ইরি বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়। এক বছরে এ চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ ভাগ। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ভেস্তে গেছে বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ : নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেয়া উদ্যোগ ইতোমধ্যে ভেস্তে গেছে। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে—কিছু পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি, বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে মনিটরিং কমিটি গঠন, স্থায়ীভাবে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল গঠন, আমদানিকারকদের আমদানিতে উত্সাহিতকরণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধ্যাদেশ জারি এবং ঢাকা শহরে চারটি কাঁচাবাজার স্থাপন। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের এসব উদ্যোগের অনেকগুলোই চালু হয়েছে। তবে কার্যত এর কোনো সুফল পায়নি ক্রেতা-ভোক্তারা। শুল্ক হ্রাসের সুযোগ প্রায় পুরোটাই নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify;">এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটরিং করতে ইতোমধ্যে ‘কোর ফুড বাস্কেট’ গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আটা, গুঁড়োদুধ, লবণ, চিনি, আলু ও পেঁয়াজ। এর মধ্যে চারটি পণ্য চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও গম স্পর্শকাতর পণ্য বলে এগুলোর ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে এসবের কিছুই কাজে আসেনি। বাজারে বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য।</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/06/91394">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/06/91394</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-19967436888086005532011-06-29T10:17:00.000-07:002011-06-29T10:18:52.329-07:00দেশের আইনি ব্যবস্থা আজ রাহুগ্রস্ত : বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmufAlId1hQumlOAEaqSQS8v4tVi5yudpR38TScTVZMLqsl21WPs6invNL1qwmNzH6rFFrXOE_jlm2C3VLgS9LfFJlJsU1qcWMZeIosp0ixWgjT3KyiMY_MVegtTo9NsAU3HXnX_8dV7k/s1600/P1_desher-aini-babostha.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 273px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmufAlId1hQumlOAEaqSQS8v4tVi5yudpR38TScTVZMLqsl21WPs6invNL1qwmNzH6rFFrXOE_jlm2C3VLgS9LfFJlJsU1qcWMZeIosp0ixWgjT3KyiMY_MVegtTo9NsAU3HXnX_8dV7k/s400/P1_desher-aini-babostha.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5623692407176904066" /></a><br /><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div></div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশের আইনি ব্যবস্থা এখন রাহুগ্রস্ত। নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এর চর্চা। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের হতাশ হওয়া উচিত নয়।’</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">উপজাতি আইন বিষয়ক ‘কমপেনডিয়াম অন ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ল’স অ্যান্ড ইনডিজিনিয়াস পিপলস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সদ্য প্রকাশিত বই সম্পর্কে বলেন, ‘যেসব সমস্যা নিয়ে এ বই প্রকাশিত হয়েছে সেসব সমস্যা সারাবিশ্বেই রয়েছে। আদিবাসী বা উপজাতিদের ভূমির ১৬ আনা মালিকানা নিয়ে যে কথা হচ্ছে তা দেয়া সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগতভাবে কেউই ভূমির ১৬ আনা মালিকানা দাবি করতে পারে না।’</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">কাপেং ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম জিবি আয়োজিত এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ সরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এস কে সিনহা এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। বইটি সম্পাদনা করেছেন ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, অ্যাডভোকেট প্রতিকার চাকমা ও অ্যাডভোকেট শিরিন লিরা। গতকাল সকালে রাজধানীর পরিকল্পনা একাডেমি মিলনায়তনে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সাবেক প্রধান বিচারপতি উপজাতিদের ভূমির ১৬ আনা দাবি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী বা উপজাতিদের ভূমি অধিকার নিয়ে ২০০ বছর ধরে একাধিক আইন হয়েছে। কিন্তু এখনও নানা সমস্যা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায়ও এ বিষয়ে আইন হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তিনি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিষয়টি নয়ে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমঝোতার চেষ্টা করতে হবে।’</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বিচারপতি এস কে সিনহা প্রকাশিত গ্রন্থ সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আইনের বই নয়, ইতিহাস। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর ‘গ্লিমসেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি’ বইয়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘এ বইটি যেমন মানব সভ্যতার ইতিহাস, আজকে প্রকাশিত বইটিও আদিবাসীদের ইতিহাস। বইটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের কথা যেমন রয়েছে, তেমনি সমতল ভূমির আদিবাসীদের কথাও সংযোজন করতে হবে। তিনি বলেন, অনেক আদিবাসী ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ হয়েছে। তাদের পারিবারিক সম্পত্তির আইন কেমন হবে সে বিষয়টিও ভাবতে হবে। অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারও তা করবে বলে আশা করছি।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত আইন ছাড়াও পারিবারিক আইন রয়েছে। সারাদেশে যে আইন রয়েছে এ অঞ্চলে তা প্রয়োগ করা যায় না। পার্বত্য অঞ্চলে দেওয়ানি কার্যবিধি প্রযোজ্য নয়। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তির ফলে যে আইন প্রণীত হয়েছে তার কিছু কিছু নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। সংবিধান সংস্কার কমিটি যেসব প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে সেখানে মন্দও রয়েছে, ভালোও রয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, সংবিধানে</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">আদিবাসীদের উপজাতি বলা হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আদিবাসী যদি নাই বলা যায় তাহলে সম্মানজনক কিছু বলা হোক। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন কমিটিতে একজন আদিবাসীকেও রাখা হয়নি।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আদিবাসী ও বাঙালি জাতি গোষ্ঠী উভয়ের জন্যই এ বইটি কাজে দেবে। আমরা সংখ্যাধিক্যের সুযোগে যেন অন্য কোনো গোষ্ঠীর ওপর যেন আইন চাপিয়ে না দেই।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div style="text-align: justify;">অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অক্সফাম প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস বক্তৃতা করেন।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/28/89815">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/28/89815</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3518041087083689704.post-73590871678505372192011-06-29T08:41:00.000-07:002011-06-29T08:43:04.776-07:00শেওড়াপাড়া ও সাভারে ৩ গার্মেন্টে শ্রমিক অসন্তোষ : আহত অর্ধশত : সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাংচুর, আটক ১৩<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj7R07uflRqpABaL6PgaTfsFPsYKaSmYsbL3PrbME6cfWfr_-V-kKIIiqTBwAwLs3_f3HXxUU7wB1-HOZbKLXtJpVAzbjypTYMcd5wgAJrK5wLIRa5E3BJ9nC9cTdjvjb7fkCYWcWyegFc/s1600/Lp_sheorapara-o-savare.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 250px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj7R07uflRqpABaL6PgaTfsFPsYKaSmYsbL3PrbME6cfWfr_-V-kKIIiqTBwAwLs3_f3HXxUU7wB1-HOZbKLXtJpVAzbjypTYMcd5wgAJrK5wLIRa5E3BJ9nC9cTdjvjb7fkCYWcWyegFc/s400/Lp_sheorapara-o-savare.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5623667652673887730" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><br /></span></div>স্টাফ রিপোর্টার</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/10/86451"><br /></a></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রাজধানীর মিরপুর থানার শেওড়াপাড়ায় গতকাল সকালে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মিনা ও সুলতানার অবস্থা গুরুতর। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কমপক্ষে ৮টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫ গার্মেন্ট শ্রমিককে আটক করেছে। এদিকে গতকাল সাভারে দুটি গার্মেন্টে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে অর্ধশত। আটক করা হয়েছে ৮ জনকে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">পুলিশ জানায়, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শেওড়াপাড়ার এস কিউ গার্মেন্টের কয়েক হাজার শ্রমিক গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে। তারা রাস্তা অবরোধ করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই রাস্তায় চলাচলকারী কমপক্ষে ৮টি যানবাহন ভাংচুর করেছে। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">মিরপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, গার্মেন্ট শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে সামান্য লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সকাল ১১টার দিকে পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সাভার প্রতিনিধি জানান, সাভারে গতকাল দুটি রফতানিমুখী পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান কবিরপুর এলাকার ত্বো-হা টেক্সটাইল ও কলমা এলাকার হট ড্রেস লিমিটেডে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে ত্বো-হা টেক্সটাইলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে এবং হট ড্রেস লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অর্ধশত আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ শ্রমিককে আটক করেছে। কারখানা দুটি কাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, সাভারের কবিরপুর এলাকার ত্বো-হা টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল দুপুরে কারখানার ভেতর কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন চলতি মাসের ১৫ তারিখে দেয়ার ঘোষণা করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে ভাংচুর চালিয়ে নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়কে অবস্থান নেয়। আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কারখানাটির প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত শিল্পাঞ্চল ও আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের প্রহারে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ শ্রমিককে আটক করেছে। কারখানাটি শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অপর ঘটনায় সাভারের কলমা এলাকার হট ড্রেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পিস রেট বৃদ্ধি, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, বেতনের অর্ধেক ঈদ বোনাস, এপিএম নাহিদের অপসারণ ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ১৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ, ডিভিশনাল কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ারসহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের কর্মকর্তারা এসে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে কারখানার জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কাল পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ এবং রোববার কারখানাটি খোলা ও বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জালিয়াত গ্রেফতার : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়ার ঘটনায় মহিউদ্দিন আজাদ রাব্বী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাত পৌনে ১২টায় ডিবি পুলিশ বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ডিবির ডিসি (দক্ষিণ) জানান, গত বছরের ২৪ মার্চ গুলশানে ব্যবসায়ী সাদিকুর রহমান দম্পতি খুন হন। ওই খুনের আসামি রুবেল ও মিথুন চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দেয়। এই জালিয়াতচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিউদ্দিন আজাদ রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানায়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, জোড়া খুনের ঘটনায় মহিউদ্দিন আজাদ রাব্বী চার্জশিটভুক্ত আসামি। গত ৬ জুন আদালত রুবেল ও মিথুনকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্যজনকে যাবজ্জীবন সাজা এবং মহিউদ্দিন আজাদকে অব্যাহতি দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/10/86451">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/10/86451</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0