Tuesday 31 May 2011

বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে বারের গায়েবানা সংবর্ধনা : বিচার বিভাগকে যেন আল্লাহ রক্ষা করেন








স্টাফ রিপোর্টার
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই অংশ বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অনুপস্থিতিতে আইনজীবী সমিতির দেয়া এক গায়েবানা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন তাকে উদ্দেশ করে বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর গত ৭ মাসে আপনি আওয়ামী লীগেরই প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন। সেই সঙ্গে সংবিধানকে লণ্ডভণ্ড করে দেশকে গভীর সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়ে এখন বিদায় নিচ্ছেন। আমরা দোয়া করি, মহান আল্লাহ যেন আপনার করে যাওয়া সর্বনাশা কাজ থেকে বিচার বিভাগকে হেফাজত করেন। প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে ঠাণ্ডামাথার চালাক ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বার সভাপতি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি অতিমাত্রার একজন ভদ্র ও বিনয়ী ব্যক্তি। একই সঙ্গে তিনি চালাক-চতুরও। অত্যন্ত ঠাণ্ডামাথায় তিনি মানুষ খুনের মতো বিচার বিভাগকে খুন করে ফেলেছেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের একটি প্রতিষ্ঠানও দলীয়করণের বাইরে নেই। সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগকেও আওয়ামী লীগের অংশে পরিণত করা হয়েছে। বিচার বিভাগের অভিভাবক হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়ে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক পুরোটা সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের কোনো একটি ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের বিপক্ষে রায় দেয়ার পরপরই তিনি ওই বেঞ্চের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে দলীয়করণের ন্যক্কারজনক অধ্যায় রচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তই আপিল বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সুযোগে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার দেশ চালায়। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে গতকাল দুপুরে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সৌজন্যে এই গায়েবানা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গায়েবানা সংবর্ধনা : বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে ৭ মাস দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল তিনি শেষ অফিস করেন। আজ তিনি অবসরে যাচ্ছেন। সুপ্রিমকোর্টের চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতির পক্ষ থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়ার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বারের পক্ষ থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে গায়েবানা সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। গায়েবানা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়ার সব আয়োজন শেষ করা হয়েছে। হঠাত্ রোববার প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে আমাদের টেলিফোনে জানানো হয়েছে, অনিবার্য কারণে প্রধান বিচারপতি আইনজীবী সমিতির দেয়া সংবর্ধনা গ্রহণ করবেন না। তিনি সংবর্ধনা গ্রহণ করতে অপারগতা জানিয়েছেন। এ কারণেই আমরা তার গায়েবানা সংবর্ধনার আয়োজন করেছি। গায়েবানা সংবর্ধনার আয়োজন সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মৃত্যুর পর কারও লাশ পাওয়া না গেলে তার গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। আমরা যেহেতু সংবর্ধনা দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থিত হতে পারিনি, তাই তার অনুপস্থিতিতেই গায়েবানা সংবর্ধনার আয়োজন করলাম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কর্মকর্তারা ছাড়াও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদসহ কয়েকশ’ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনায় দেয়া বক্তব্য : প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া লিখিত বাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে যাচ্ছেন। আইনজীবী সমিতি আপনার মধ্যে বিনয় ও সৌজন্যতাবোধ দেখে এসেছে। হাইকোর্টের প্রতিটি বেঞ্চে আপনি ল’ রিপোর্ট ও দুটি করে কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়েছেন। কিন্তু আইনজীবী সমিতি হলরুমের এসিগুলোতে বিদ্যুত্ সংযোগ ও এটিএম বুথ স্থাপনে আপনার দফতর থেকে বাধা দেয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি স্বাক্ষরিত ওই বাণীতে আরও বলা হয়েছে, আমাদের বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। অতীতের সব ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন করে আপনার সময়েই আমরা আদালতে রায়ট পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমাগম ঘটতে দেখেছি। অতীতে যা কখনোই দেখা যায়নি। বাদপড়া বিতর্কিত দু’জন বিচারপতিকে আপনার আগের প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমও শপথ দেননি। অথচ আপনি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তাদের শপথ দিয়ে বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন।
মুন সিনেমা হল সংক্রান্ত মামলার রায় সম্পর্কে গায়েবানা সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে লিখিত বাণীতে বলা হয়েছে, মুন সিনেমা হলের মামলায় আপনি সংবিধানের গোটা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে বিতর্কিত রায় দিয়েছেন। আপনি মূল সংবিধানের বিলুপ্ত কিছু অনুচ্ছেদ পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলেছেন। আবার কিছু বিষয়ে সংসদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যার সমাধান এখনও হয়নি। আপনার রায়ে সংবিধান লণ্ডভণ্ড হয়েছে। অথচ যে ব্যক্তি সিনেমা হলের মালিকানা দাবি করে মামলা করলেন, তিনি এখনও কিছুই পেলেন না। আপনার এ বিতর্কিত রায়ের পর দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আপনার এ রায় দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে। আপনার রায়ের ওপর ভিত্তি করেই ক্ষমতাসীন সরকার মূল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ আবার বহাল করতে যাচ্ছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে পড়বে।
নয় পৃষ্ঠার এ সংবর্ধনা বাণীতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত আপিলের রায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিষয়ে আপনি সংক্ষিপ্ত আদেশ দিয়েছেন। এর পূর্ণাঙ্গ আদেশের অপেক্ষায় আমরা থাকলাম। কিন্তু আপনার সংক্ষিপ্ত আদেশেই স্ববিরোধিতা ও সংশয় রয়েছে। আপনি একদিকে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত ওই সংশোধনী বাতিল। একই সঙ্গে আবার বলেছেন পরবর্তী দুটি জাতীয় নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে পারে। যদি এটাই হয়, তাহলে আপনিই হবেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এ কারণেই আমরা আপনাকে আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে রাখছি। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার রায় সম্পর্কে বারের এ গায়েবানা সংবর্ধনায় বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনা নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের মামলার বিষয়ে হাইকোর্ট ন্যায়বিচার করেননি। সামান্যতম ন্যায়বিচারের দরজা খোলা থাকলেও হাইকোর্টের উচিত ছিল ওই মামলায় রুল জারি করা। কিন্তু হাইকোর্ট মামলার বাদীকে ওই ধরনের কোনো সুযোগ না দিয়ে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। ড. ইউনূসের আইনজীবীরা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। ড. কামাল হোসেন এ বিষয়টি জংলি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেও তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ড. ইউনূসের মামলায় আমাদের বিচার বিভাগের দ্বৈন্যদশার চিত্র ফুটে উঠেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি সংক্রান্ত মামলার রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিল বিভাগ এ আপিল গ্রহণও করেছেন। কিন্তু এ আপিল নিষ্পত্তির আগেই খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে সরকার। উচ্ছেদের দিন আমরা সিনিয়র আইনজীবীরা ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করেছি। আপনি আমাদের আশ্বস্ত করলেন, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে বাদীকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। কিন্তু আপনার এ আশ্বাসের পরও তাকে তার চল্লিশ বছরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হলো কীভাবে? আজ এটাই আমাদের প্রশ্ন। মামলা নিষ্পত্তির আগে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের বিচারের ইতিহাসে একটিই ঘটেছে। আর সেটা ঘটল আপনার সময়েই। হাইকোর্টের বেঞ্চ পুনর্গঠনের বিষয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, হাইকোর্টকে সরকারের পক্ষে রায় দিতে বাধ্য করা হয়েছে আপনার সময়ে। যে দু’একটি ডিভিশন বেঞ্চ সরকারের বিপক্ষে সত্যের পক্ষে রায় দিয়েছেন, তাত্ক্ষণিকভাবে আপনি তাদের বিচারিক এখতিয়ার কেড়ে নিয়েছেন। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা বিচার-ইতিহাসে আর হয়নি। আপনি সিনিয়র ও দক্ষ বিচারপতিদের বসিয়ে রেখে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র এবং স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাননি—এমন বিচারপতিদের দিয়ে আপনি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। আপনি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টির কথা বলছেন। অথচ আপনি পুরনো মামলাগুলো রেখে দিয়ে ২০০৯ ও ২০১০ সালে বর্তমান সরকারের সময়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছেন। অথচ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো আপনি নিষ্পত্তির তালিকায় আনেননি। এতেই আপনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতি অবশ্য শেষদিকে এসে তার হাত-পা বাঁধার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি শেষ মুহূর্তে এসে বলেছেন, তাদের হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে দেয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগকে দলীয়করণের নজির উপস্থাপন করে বার সভাপতি আরও বলেন, ৫০ জন বিচারপতিকে ডিঙিয়ে হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি নিয়ে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা নজিরবিহীন। এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার সময়েই আপিল বিভাগকে আওয়ামী লীগ সরকারের অংশে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধান লণ্ডভণ্ড করলে বিচারপতি খায়রুল হক কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হত্যাকারী সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তার মতলবটা এখানেই পরিষ্কার।
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে বার সভাপতি বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক নিজের নাম জাহির করতে সাধারণ মানুষের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য লিস্টে না দিয়ে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইস্যুতে দায়ের করা মামলাগুলো নিষ্পত্তি করেছেন। প্রতিদিনই সংবাদপত্রে তার নাম বড় করে ছাপা হয়েছে। আপনি এটা করবেন না। বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলে শেষ পর্যন্ত তারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন। এটা দেশের জন্য কোনো অবস্থায়ই কল্যাণকর হবে না। দেশকে অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ঠেলে দেবেন না

No comments:

Post a Comment