Saturday 28 August 2010

চাঁদা নিয়ে দ্বন্দ্বে রাবিতে নিজ দলীয় কর্মীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ

Sat 28 Aug 2010 10:01 PM BdST

রাবি, ২৮ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আজ শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ব্যাপক মারধর করেছে ছাত্রলীগের সেলিম-আসাদ গ্রুপের কর্মীরা। আহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আতিক। সে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন চায়ের দোকানে আতিক সিগারেট খাচ্ছিল। এ সময় সমাজ কর্ম বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সেলিমের নাকে ধোঁয়া লাগে।

এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী সেলিম আতিককে চরম বেয়াদব বলে মারধর করে। পরে তাকে হলে ডেকে এনে সেলিম-আসাদ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা দ্বিতীয় দফা বেধড়ক মারধর করে এবং তার নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে তারা তাকে হল থেকে বের করে দেয়।

পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আতিক বাদী হয়ে সেলিম ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গেছে।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিবেদক/এফএন/এমআই_ ২১৫৯ ঘ.

Wednesday 25 August 2010

কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতার বাসায় ছোট ছেলে গুলিবিদ্ধহামলার লক্ষ্য ছিল বড় ছেলে!

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | Kaler Kantho | ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ভাদ্র ১৪১৭, ১৫ রমজান ১৪৩১, ২৬ আগস্ট ২০১০

কিশোরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা কবির উদ্দিন আহমদের ফিশারি রোডের বাসায় এক অস্ত্রধারী হামলা চালিয়েছে। অস্ত্রধারীর গুলিতে কবির উদ্দিনের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাসরুর আহমেদ রুমন (৩২) আহত হন। কবিরের বড় ছেলে গুরুদয়াল কলেজের সাবেক ভিপি জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন অল্পের জন্য বেঁচে যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে রুমন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার শেষ রাতে ফজরের নামাজের সময় শহরের ফিশারি রোডের মাল্টিপারপাস কলোনিতে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি পয়েন্ট টু টু বোরের বিদেশি রিভলবার ও চারটি গুলি উদ্ধার করেছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও যুবদল শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
যুবদল নেতা সুমন জানান, সেহরির পর তিনি তাঁর ২৫ দিনের শিশুপুত্র ও স্ত্রী সানজিদা তরফদারকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। পাশের রুমে মা-বাবা ও অন্য রুমে ছোট ভাই ছিলেন। ফজরের নামাজের সময় কক্ষের স্টিলের জানালায় শব্দ শুনে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে এক যুবককে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার দেন তিনি। পরে কক্ষের দরজা সামান্য খুলে কী হচ্ছে দেখতে চাইলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাঁর দাবি, ওই গুলিটি রিভলবার থেকে বের না হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ছোট ভাই রুমন বড় ভাইকে সরিয়ে এগিয়ে গেলে দরজার সামনে দাঁড়ানো অস্ত্রধারী আরেকটি গুলি করলে তা তাঁর বাম পায়ের হাঁটুর ওপরে লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি দরজাটি বন্ধ করার চেষ্টা করলে দরজায় আরেকটি গুলি এসে লাগে। তাঁদের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারী।
এলাকার কয়েকজন জানান, তাঁরা ভোরে লোকজনের চিৎকার ও দুটি গুলির শব্দ শুনেছেন।
কবির উদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি সেহরির পর ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন মসজিদে। নামাজ শেষে ফেরার পথে চিৎকার শুনে বাসায় গিয়ে ঘটনা জানতে পারেন।
আহত রুমন জানান, জানালা দিয়েই প্রথমে তাঁর বড় ভাই সুমনকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা করে ওই সন্ত্রাসী।
সংসদ সদস্যের পরিবারের দাবি, দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁদের ওপর হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন। সুমন জেলা যুবদলের নেতৃত্ব পেতে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। এ নিয়ে দলে কোন্দল আছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গুলি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলিসহ একটি বিদেশি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হলেও পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত রুমনকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Tuesday 24 August 2010

BdZvwi wb‡q we‡iva ivwei QvÎjxM Kg©x‡K †`vZjv †_‡K †d‡j w`j cÖwZc¶ MÖ“‡ci Kg©xiv

AvdRvj †nv‡mb I †nv¾vZzj Bmjvg: BdZvwii †Uv‡Kb wb‡q we‡iv‡ai †Ri a‡i ivRkvnx wek¦we`¨vjq kvLv QvÎjx‡Mi mvaviY m¤úv`K MÖ“‡ci Kg©x bvwmgyj nK bvwmg‡K †`vZjv †_‡K wb‡P †d‡j w`‡q‡Q mfvcwZ MÖ“‡ci Kg©xiv| MZKvj †iveevi wek¦we`¨vj‡qi kvn gL`yg n‡j G NUbv N‡U| bvwmg‡K DbœZ wPwKrmvi Rb¨ ivRkvnx †gwWK¨vj K‡jR nvmvcZvj †_‡K XvKvq cvVv‡bv n‡q‡Q|

Rvbv †M‡Q, MZKvj `ycyi 1Uvi w`‡K ivwei kvn gL`yg n‡j BdZvwii †Uv‡Kb wb‡q ivwe kvLv QvÎjxM mfvcwZ Rq I mvaviY m¤úv`K Acy MÖ“‡ci †bZvKg©x‡`i g‡a¨ weZ‡K©i m„wó nq| GKch©v‡q mfvcwZ MÖ“‡ci Kg©x Rûi“j, Rvwn` I gwkDi wg‡j mvaviY m¤úv`K MÖ“‡ci Kg©x I ivwei Bmjv‡gi BwZnvm wefv‡Mi PZz_© e‡l©i QvÎ bvwmg‡K gviai I QywiKvNvZ K‡i †`vZjv †_‡K wb‡P †d‡j †`q| ¸i“Zi AvnZ Ae¯’vq Zv‡K ivRkvnx †gwWK¨vj K‡jR nvmcvZv‡j fwZ© Kiv n‡j DbœZ wPwKrmvi Rb¨ Wv³viiv Zv‡K MZKvj mܨvq XvKvq ¯’vbvšÍi K‡i| Gi Av‡M ivRkvnx wmwU †gqi Lvqi“¾vgvb wjUb I ivwe wfwm Aa¨vcK Avãym †mvenvb iv‡gK nvmcvZv‡j bvwm‡gi m‡½ †`Lv K‡i Zvi wPwKrmvi †LuvR †bb| G mgq ivwe wfwm e‡jb, Acivax‡`i wPwýZ K‡i `„óvšÍg~jK kvw¯Íi e¨e¯’v Kiv n‡e|

http://www.amadershomoy.com/content/2010/08/16/news0645.htm

Monday 23 August 2010

রাতের ঢাকায় দুর্বৃত্ত আতঙ্কে পুলিশ

নাছির উদ্দিন শোয়েব

দুর্বৃত্তদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে ঈদ মার্কেটে রাতে ডিউটি করতে ভয় পাচ্ছে পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অনেক পুলিশ সদস্য ডিউটিকালীন অজানা আতঙ্কে থাকেন। বিশেষ করে নগরীতে ঈদ মার্কেট জমে ওঠার পর বড়-বড় শপিংমল ও বিপণিবিতাণ রাতভর খোলা থাকে। এ সময় সাধারণ মানুষ গভীর রাতে কেনাকাটা করে ঘরে ফেরে। রাতের নিরাপত্তায় শহরের অলিগলি এবং বিপণিবিতানের সামনে পুলিশ ডিউটি করে। কিন্তু সমপ্রতি সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা, গুলি ও ছুরিকাঘাত করায় রাতে ডিউটি করতে অধিক সতর্ক থাকতে হচ্ছে। পুলিশের ওপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ফলে অপরাধীরা হামলা চালিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, যারা নিরাপত্তা দেবে তারাই যদি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে, তাহলে জনসাধারণের অবস্থা কী হবে!
সূত্রমতে, রমজানের শুরু থেকেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা ভালো রাখার ঘোষণা দিলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সে হুঙ্কার কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা সামাল দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কর্তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা দিতেই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের কৌশলে পুলিশ হেরে যাচ্ছে। দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করতে গেলে পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। এমনকি কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করছে সন্ত্রাসীরা। প্রকাশ্যে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও ওয়াকিটকি কেড়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে—পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কাজের সমন্বয়হীনতায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। রমজানের শুরুতেই অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তত্পর হয়ে মাঠে নামে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড, ডাকাতি, গুলি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
বুধবার খিলক্ষেতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও ওয়াকিটকি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। দুজনকে গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয় দিনেও পুলিশের সরকারি অস্ত্রটি উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশও উদ্বিগ্ন। অস্ত্রটি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, হামলাকারীরা সরকারি দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। খিলক্ষেতের ঘটনার রেষ না কাটতেই ফকিরাপুলে টহল ডিউটি করার সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে কনস্টেবল মঞ্জুরুল ইসলামকে খুন করে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য হাবিবুল্লাহ ও এক আনসার সদস্য আহত হন। দুর্বৃত্তরা পুলিশকে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে সাইফুল ইসলাম খান নয়ন নামে এক দুর্বৃত্তকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে। পরে গণপিটুনি ও গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়নি। এ ঘটনার পরের দিনই সূত্রাপুরে আনসার সদস্যের গুলিতে গৃহবধূসহ স্থানীয় দুই বাসিন্দা আহত হন। আনসাররা জানান, এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেললে তারা গুলি চালাতে বাধ্য হন। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে পরে দুই আনসার সদস্যের অস্ত্র জব্দ ও সাসপেন্ড করা হয়। গত শনিবার ভোর রাতে উত্তরার আবদুল্লাহপুরে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ কনস্টেবল বরকত আলীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিত্সা দেয়া হয়।
পুলিশ সদস্যরা হঠাত্ দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পড়ায় চিন্তিত পুলিশ কর্মকর্তারাও। পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন। টহল ডিউটি ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারের সময় অথবা অভিযান চালাতে গিয়ে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে নিজেদের জানমালের দিকেও দৃষ্টি রাখতে বলেছেন। কেননা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা না থাকলে সে অন্যের কীভাবে নিরপাত্তা দেবে। ডিএমপি কমিশনার একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের ওপর হামলাকারী সে যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ব্যাপক তত্পর।
সূত্র জানায়, এখনও অনেক পুলিশ সদস্য রাতে টহল ডিউটি করার সময় পুরনো শটগান ব্যবহার করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব অস্ত্র ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট নয়। কেননা সন্ত্রাসীদের কাছে এখন অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। এসব অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে পুরনো শটগান ও রাইফেল দিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। মতিঝিলে পুলিশের ওপর হামলা করার সময় পুলিশও সন্ত্রাসীদের গুলি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ অস্ত্র লোড করার আগেই সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তত্পরতা না থাকায় এখনও সন্ত্রাসীদের হাতে বহু অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় ব্যয় করায় এসব অবৈধ অস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেদার ব্যবহার করছে, তার শিকার এখন পুলিশই। পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনায় খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনও উদ্বেগ প্রকাশ করে অপরাধীদের গ্রেফতারের হুঙ্কার দেন। এখন পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করা যায়নি। আর এ কারণে পুলিশের মাঝে আরও উত্কণ্ঠা বাড়ছে। অপরাধীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশের আইজি নূর মোহাম্মদ পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করার সময় আরও সতর্ক থাকতে বলেছেন। মানুষের জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবনের দিকেই পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টি দিতে বলেছেন। এরপর থেকেই পুলিশ রাতে ডিউটি করার সময় এখন অনেকটাই সতর্কতা অবলম্বন করছেন। রাতে কোথাও অভিযান কিংবা চেকপোস্টে তল্লাশি করার সময় নিজেকে নিরাপদে রাখতে আগের চেয়ে এখন অনেক সতর্ক পুলিশ।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতসহ বিভিন্নভাবে গত বছরে পুলিশ বাহিনীর ২৭ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের গুলি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ডাকাতের গুলি ও ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২০০৯ সালে ২৬ জন এবং ২০০৮ সালে ১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
গত রোববার শান্তিনগরে টুইন টাওয়ারে সপরিবারে ঈদের কেনাকাটা করে ফিরছিলেন আলহাজ মোস্তাকিম। তিনি বললেন, চেয়েছিলাম সন্ধ্যার পরে কেনাকাটা করতে বের হবো। দিনের বেলায় রোজা রেখে এবং অফিস করে মার্কেটে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার যে অবস্থা, রাতে বের হওয়ার আর সাহস পেলাম না। তার ভাষায়—যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা দেবে, তারাই হামলার শিকার হচ্ছে। পুলিশকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্র লুট করে নেয়, ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। আলহাজ মোস্তাকিম অনেকটা আক্ষেপ করেই বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যরাই যখন নিরাপত্তাহীন, তখন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?’ তিনি বলেন, এসব দিক চিন্তা করেই স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বিকেলেই বেরিয়েছি ঈদের কেনাকাটা করতে। মোস্তাকিমের সঙ্গে আলাপকালে পাশেই আরও কয়েকজন ক্রেতা শপিংমলের সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক একই ধরনের মন্তব্য করলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি পুলিশের ওপর বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় অনেকেই অবগত। ফলে তাদের মাঝেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। কয়েকজন ক্রেতা ও বিক্রেতা বললেন, ১৫ রমজান থেকে রাতভর বিপণিবিতান ও মার্কেট খোলা থাকবে। এ সময় গভীর রাত পর্যন্ত হবে বেচাকেনা। চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। তখন ছিনতাইকারী, পকেটমার, চোর-ডাকাতসহ অপরাধীদের তত্পরতাও বেড়ে যেতে পারে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আরও বেশি। অনেক মার্কেটে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। কিন্তু ক্রেতাদের ভয় বেশি মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে যাতায়াতের সময়।

রাবিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ

Thu 5 Aug 2010 6:17 PM BdST

রাবি, ০৫ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আ. হালিম, বাসু দেব, মামুন ও মহিউদ্দীন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আ. হালিম ও তার তিন বন্ধু ক্লাস শেষে সোহরাওয়ার্দী হলে ফিরে আসার সময় হলের সামনে যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম কালুর মটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা কালুর নেতৃত্বে আতা, শাহীন, উজ্জল ও জামালসহ ৭/৮ যুবলীগ কর্মী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিম ও তার তিন বন্ধুকে আঘাত করলে ছাত্রলীগ কর্মী আ. হালিম মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।

এ সময় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা ক্যাম্পাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিতে থাকে।

অপরদিকে যুবলীগ কর্মীরাও স্টেশন বাজারে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সংবাদ শুনে রাবি প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়াল কবীর জয় প্রশাসনের নিকট অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের এক ঘণ্টার মধ্যে শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে রাবি প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কোন বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিবেদক/এফএন/এমআই_ ১৮১৭ ঘ.

রাবিতে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি গ্রুপের কর্মীকে তিন তলা থেকে নিক্ষেপ





Sun 15 Aug 2010 3:22 PM BdST

রাজশাহী, ১৫ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- ইফতারির টোকেন বিতরণকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি গ্রুপের এক কর্মীকে হলের তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা।

আহত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম নাসরুল্লাহ নাসিম। সে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলে ইফতারির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মীরা হলগুলোতে টোকেন বাণিজ্য শুরু করে। শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য টোকেন বরাদ্দ থাকলেও হলের নিয়ম তোয়াক্কা না করে অনেকে অনাবাসিক ছাত্রদের জন্যও টোকেন সংগ্রহ করতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে সভাপতি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী ও হলের অনাবাসিক ছাত্র মাসুদ রানার টোকেন সংগ্রহ করতে যায় একই গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ ও জহুরুল।

এ সময় হলের নিয়ম ভঙ্গ করে টোকেন নিতে বাধা দেয় একই হলের সেক্রেটারি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মী জাহিদ, জহুরুল, মশিউর, তৌফিক, রুহুলসহ ১০/১২ জন নাসরুল্লাহ নাসিমকে তিন তলার ছাদে নিয়ে যায়।

সেখানে তাকে রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে পরে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। এতে তার হাত, পা ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেতলে যায়।

পরে হলে কর্তব্যরত পুলিশ ও হল প্রশাসন আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাসরুল্লাহকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দুলাল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আহত ছাত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সভাপতি গ্রুপের জাহিদ ও জহুরুলকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিনিধি/এমইউএ/এমএম_১৫১৬ ঘ.

আহত রাবি ছাত্রলীগ কর্মী নাসিম অবশেষে মারা গেল





Mon 23 Aug 2010 10:20 PM BdST

রাবি, ২৩ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আহত ছাত্রলীগ কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমের জীবন প্রদীপ অবশেষে নিভে গেল।

ঘটনার আটদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

গত ১৫ আগস্ট ইফতারির টোকেন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয় গ্রুপের কর্মীরা মারধর ও ছুরিকাঘাতের পর শাহ মখদুম (এসএম) হলের দোতলার ছাদ থেকে নাসিমকে ফেলে দেয়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়।

ঘটনার দিনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাসিমের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগায় রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। চিকিৎসার প্রাথমিক দিকে জমাট বাধা রক্ত ভাঙতে থাকে। কিন্তু পরে রক্ত ভাঙার বদলে নতুন করে জমাট বাঁধতে শুরু করে।

ক্রমেই অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তার মাথায় অপারেশন করার পরেও নাসিমের শরীরের কোনো অংশই সঠিকভাবে কাজ না করলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। অবশেষে আজ সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নেয় নাসিম।

নাসিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু গ্রুপের কর্মী।

সে চাঁপাইনবাবঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চরকির্তী গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

এদিকে নাসিমের মৃত্যুর খবরে দুপুর থেকেই রাবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা শুরু হয়। তার মুত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে আত্মগোপন করতে শুরু করে।

সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আবাসিক হলসহ পুরো ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে দুপুরের পর থেকে ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথে ও সবগুলো আবাসিক হলের প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।

ক্যাম্পাসে বহিরাগত সব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Wednesday 18 August 2010

পটুয়াখালীতে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ৫০

Tue 17 Aug 2010 10:13 PM BdST

পটুয়াখালী, ১৭ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- দলীয় এমপি গোলাম মাওলা রনির ‘ভাইয়া’ বাহিনীর সদস্যদের হামলায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। তাদের দফায় দফায় হামলায় পটুয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা গলাচিপার পানপট্টির জনপদ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ১৫ আগস্টের পলাতক ঘাতকদের বের করে ফাঁসির রায় কার্যকর ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে স্থানীয় পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দলীয় এমপি গোলাম মাওলা রনির সমর্থকরা আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পানপট্টি হাইস্কুল চত্বরে একই সময় একই স্থানে সমাবেশ করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে ৬ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান প্যাদাসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৫০ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্র্মী আহত হয়েছে।

গ্রেপ্তার ও পুনরায় হামলার ভয়ে কেউই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়নি বলে জানা যায়।

আহতদের মধ্যে সুনিল, কামরুল, সোহাগ, সেলিম, ডিপটি খান, উজ্জল, রেফায়েত, মহব্বত, নিপু আকনের নাম জানা গেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এমপি রনির ক্যাডার আজিজুল (২২) নামে এক যুবককে রামদাসহ আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ রামদা, চাইনিজ কুড়াল, রড ও চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে এ ঘটনার রেষ ছড়িয়ে পড়ে গলাচিপা শহরে। বিকেল ৬টার দিকে এমপি রনির লোকেরা দখল করে নেয় গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস। শহরে চলছে এমপি রনির লোকদের মহড়া। সেখানে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে শহরবাসির মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো ও সহ-সভাপতি হাজী আবদুল ওহাব খলিফা জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ১৫ আগস্টের পলাতক ঘাতকদের বের করে ফাঁসির রায় কার্যকর ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকালে পানপট্টি হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ শুরু করে। এ সময় এমপি গোলাম মাওলা রনির নেতৃত্বে তার ক্যাডারা রামদা, চাপাতি ও হকিস্টিক নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয়।

অপরদিকে এমপি গোলাম মাওলা রনির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে বারবার ফোন করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

তবে এমপির সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে পানপট্টিতে আমাদের নির্ধারিত দোয়া মোনাজাতের অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য তারা একই সময় একই দিন সেখানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। তা সত্ত্বেও দোয়া-মোনাজত অনুষ্ঠানে এমপি সাহেব ওয়াজ শুরু করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের দিকে মাইকের হর্ন ফিরিয়ে দিয়ে বক্তৃতা শুরু করে।

এতে এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠলে তারা আমাদের অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫/২০ জন নেত-কর্মী আহত হয়। তবে দলীয় অফিস দখলের কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, আমাদের অফিস আমরা দখল করে নিয়েছি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ অফিস দখলের কথাও শুনেছি।

শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। শহরজুড়ে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, দুগ্রুপই এমন ইস্যু নিয়ে সভা আহবান করেছে তা ছিল স্পর্শকাতর। যার কারণে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করাও সম্ভব ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রবিউল ইসলাম জানায়, গলাচিপার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিনিধি/এফএন/এমআই_ ১৯৫৭ ঘ.

ঈশ্বরদীতে রেলের চোরাই তেলসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার

Wed 18 Aug 2010 7:21 PM BdST

পাবনা, ১৮ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- পাবনার ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জামাল উদ্দিন (৪০) কে চোরাই তেল সহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রেলের তেল চুরি ও পাচার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার সকালে পাবনা ও ঈশ্বরদী পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে উপজেলার শৈলপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জামাল তেল চুরি ও পাচারকারীচক্রের হোতা।

ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ইমাম উদ্দিন কবির পাবনা ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সহায়তায় বুধবার সকালে ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া গ্রামে অভিযান চালান।

এসময় রেলের তেল চুরি ও পাচারকারী চক্রের হোতা জামাল উদ্দিনকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির গর্ত থেকে ১১টি পলিথিন ব্যাগে রাখা রেলের ৫শ’ লিটার হাইস্পিড ডিজেল উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও জামালের বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় থেকে তেল চুরির বেশ কিছু সরঞ্জাম ও একটি তলোয়ার উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে ধৃত জামাল উদ্দিন পুলিশের কাছে নিজেকে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বলে দাবি করেছে।

এছাড়া রেল পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, ঈশ্বরদী থানা পুলিশ, আমবাগান পুরিশ ফাঁড়ি ও রেল চালকসহ কতিপয় রেল কর্মকর্তাকে নিয়মিত বখরা দিয়ে জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী লোকো এলাকা থেকে রেলের তেল চুরি এবং পাচার করে আসছিল বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে জামালকে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে পাবনা জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিনিধি/আইএইচ/এমএম_১৯১৯ ঘ.

Tuesday 17 August 2010

রাবিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ

Thu 5 Aug 2010 6:17 PM BdST

রাবি, ০৫ আগস্ট (আরটিএনএন ডটনেট)-- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আ. হালিম, বাসু দেব, মামুন ও মহিউদ্দীন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আ. হালিম ও তার তিন বন্ধু ক্লাস শেষে সোহরাওয়ার্দী হলে ফিরে আসার সময় হলের সামনে যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম কালুর মটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা কালুর নেতৃত্বে আতা, শাহীন, উজ্জল ও জামালসহ ৭/৮ যুবলীগ কর্মী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিম ও তার তিন বন্ধুকে আঘাত করলে ছাত্রলীগ কর্মী আ. হালিম মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।

এ সময় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা ক্যাম্পাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিতে থাকে।

অপরদিকে যুবলীগ কর্মীরাও স্টেশন বাজারে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সংবাদ শুনে রাবি প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আওয়াল কবীর জয় প্রশাসনের নিকট অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের এক ঘণ্টার মধ্যে শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে রাবি প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কোন বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিবেদক/এফএন/এমআই_ ১৮১৭ ঘ.

Monday 2 August 2010

সীমান্তপথে দেদার আসছে মাদক




ডেস্ক রিপোর্ট
দেশের সীমান্তপথে ভারত থেকে অবাধে আসছে মাদকদ্রব্য। এসব মাদকদ্রব্যে সয়লাব হয়ে উঠেছে হাট-বাজার। সহজলভ্য হয়ে উঠেছে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন, নারায়ণ, গোলাপ, বাংলা মদ, স্পিরিট, হুইস্কিসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য। চোরাকারবারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমান্তপথে নিয়ে আসছে এসব মাদকদ্রব্য। এসব মাদকের নীল দংশনে অবক্ষয় ঘটছে আমাদের যুবসমাজের। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর পাঠিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা :
হাকিমপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের হিলি ও জয়পুরহাটের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আর এসব সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় ফেনসিডিলের অন্তত ২০টি অবৈধ কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। কারখানাগুলো সীমান্তের অদূরে লোকালয়ে ও বাড়িতে গড়ে উঠেছে। তবে বিডিআর কর্মকর্তারা সীমান্তের ওপারে পাঁচটি কারখানার কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচারের উদ্দেশ্যেই এসব কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১০০ মিলিমিটারের বোতলের পাশাপাশি এখন ৫০ মিলিমিটার বোতলেও ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে। বোতলের গায়ে হিমাচল, ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা ও লক্ষেষ্টৗ লেখা থাকলেও মূলত ফেনসিডিলগুলো স্থানীয়ভাবেই তৈরি হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব ফেনসিডিল পাচার করে আনছে।
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) : কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান তত্পরতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে সীমান্ত প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তুলেছে সচেতন মহল। আর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চোরাচালানিদের কাছ থেকে উেকাচ গ্রহণ করছে প্রশাসন। সূত্র জানায়, কলারোয়ার পশ্চিমে ১৭ কিলোমিটার এলাকা সীমান্তপথ। এ সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের কলকাতা শহরসহ বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন শহরের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় চোরাচালানিদের নিরাপথ রুট হিসেবে কলারোয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জ ৮ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের বালিয়াঘাট সীমান্ত ফাঁড়ির একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চোরাই কয়লা লোড করার সময় ৯ মেট্রিক টন অবৈধ মিনি পাসবিহীন চোরাই কয়লা, ৬ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদের বোতলসহ একটি ইঞ্জিন নৌকা আটক করেছে। আটক নৌকা, কয়লা ও মদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২শ’ টাকা।
বিয়ানীবাজার (সিলেট) : বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন গ্রামে দেদার মাদক বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে মাদকের ভয়াবহতায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ক্রমেই মাদক বিক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে। অভিনব পন্থায় পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক বিক্রেতারা তাদের লাভজনক এ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক বিক্রি করে যুবসমাজকে বিপথগামিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এসব মাদক বিক্রেতা। তাদের কারণে এলাকায় অপরাধ প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার ৩৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা গতকাল পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে ৭শ’ ৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।
বিডিআর জানায়, গতকাল ভোরে নিমতলা বিডিআর ক্যাম্পের হাবিলদার আবদুস সালাম সঙ্গীয় জওয়ানদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বহুল আলোচিত ফেনসিডিলের প্রকাশ্য খোলাবাজার নামে খ্যাত আকন্দবাড়িয়া থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৬৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
এছাড়া বিডিআর দামুড়হুদার জয়নগর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৯২ বোতল ও দর্শনা থেকে ৫৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। তবে এসব অভিযানে কাউকে আটক করতে পারেনি বিডিআর।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মদ, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য। উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর, দেবনগর, আলীনগর, শিয়ালউড়ি, আমবাড়িয়া, নিজনগর, ধর্মঘরবাজার, হরষপুরবাজার, কালীরবাজার, চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলসীপুর, রাজনগর, হরিণখোলা, কমলপুর, কমলানগর, বহরা ইউনিয়নের মনতলা তেমুনিয়া সংলগ্ন এলাকা, রাজেন্দ্রপুর, আদাঐর, জগদীশপুর, শাহজাহানপুর, আন্দিউড়া, বুল্লা, ছাতিয়াইন, নোয়াপাড়া, বাঘাসুরা ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের গঙ্গানগর, পুরনো হাসপাতাল কোয়ার্টার, কৃষ্ণনগর, পশ্চিম মাধবপুর, কাটিয়ারাসহ বিভিন্ন স্থানে মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রবের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী। সেখানে দেশীয় মদ থেকে বিদেশি মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা—সবকিছুই হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। সহজে কম মূল্যে মদ পাওয়ায় অনেক নিম্নআয়ের মানুষও মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আবার অনেক সময় মাদক ক্রয়ের অর্থ জোগাড় করতে মাদকসেবীদের অন্যায়ভাবে টাকা রুজি করতেও শোনা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে প্রায়ই ধরা পড়ছে মাদকদ্রব্য। অপরদিকে উপজেলার চা-বাগানগুলোতে চোলাই মদ তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার সর্বত্র পাচার করা হচ্ছে।
পাইকগাছা (খুলনা) : উপজেলার মাদকের খনি হিসেবে পরিচিত কাশিমনগর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ এক ফেনসিডিল বিক্রেতাকে আটক করেছে ফাঁড়ি পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ কাশিমনগর গ্রামের আজাহারুল গাজীর ছেলে রাসেল গাজীকে তার বাড়িতে আটক করে। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে এক বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে তাদের মুরগির ঘর থেকে আরও ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। কপিলমুনি অঞ্চলের মাদক সিন্ডিকেটের একজন নতুন সদস্য বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
জয়পুরহাট : র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ মাইক্রোবাস আটক করেছে। গত রোববার গভীর রাতে র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা বাংলা হিলি সীমান্তের হিলি মোড়ের নর্দার্ন প্যালেস আবাসিক হোটেলের গ্যারেজ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার ৪০৯ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করে। মাইক্রোবাসের চালক ও মালিক পলাতক রয়েছে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/08/03/37124

পাউবোর অপরিকল্পিত প্রকল্পে দুর্নীতি : দু’মাসেই কুয়াকাটায় ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হুমকির মুখে



মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে মাত্র দু’মাসের মধ্যে সরকারের ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বিলীন হওয়ার পথে কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধের খাজুরা-মাঝিবাড়ি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ। এরই মধ্যে এ বাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ সাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধ ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধের অভ্যন্তরের ১০ সহস্রাধিক মানুষের নিরাপত্তা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮ নং পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের খাজুরা-মাঝিবাড়ি পয়েন্টটি সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটা এবং ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সাগর থেকে ফুঁসে ওঠা জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের ওই পয়েন্ট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড় আইলায়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধের ওই পয়েন্ট। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ বাঁধটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও পাউবো কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে নির্মাণের দু’মাসের মধ্যেই ভয়াবহ ফাটল ধরে। গত দু’মাসে সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় পশ্চিম পাশের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ মিটার এলাকায় মূল বাঁধসহ প্রায় ৭০ ভাগ সাগরের উত্তাল ঢেউ গিলে খেয়েছে। ভাঙনের নির্মমতা ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার শত শত মানুষ জানান, বাঁধের যে অবস্থা তাতে যে কোনো সময় এ বাঁধ ভেঙে গোটা এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে। ফলে গৃহহারা হয়ে পড়বে বাঁধের ভিতরের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে কোটি কোটি টাকার আবাসিক হোটেলসহ পর্যটন কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এ এলাকার একাধিক মানুষ অভিযোগ করেন, ‘কুয়াকাটা রক্ষা বাঁধের ওই পয়েন্টটি হচ্ছে সাগর মোহনায়। ফলে সাগরের ঢেউয়ের ঝাপটায় একই পয়েন্ট বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙন রোধের জন্য সিসি ব্লক তৈরি নিয়মমাফিক করা হয়নি।
২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও বাঁধের স্লোপ (ঢাল) সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তখন একই প্রকল্পের এই প্যাকেজে কলাপাড়া পৌর শহর রক্ষার জন্য শহর লাগোয়া আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে ১৫০ মিটার এলাকায় সিসি ব্লক ফেলা হয়, যা না করে মাঝিবাড়ির চরম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের পশ্চিম দিকে আরও অন্তত ১০০ মিটার বাঁধ রক্ষার জন্য সিসি ব্লক দেয়ার কাজ করা ছিল খুব জরুরি, যা করা হয়নি। ফলে ওই পয়েন্ট দিয়ে আবার সাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। গত শুক্র ও শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বাঁধের বেহাল দশা। মূল বাঁধের স্লোপ দুই সপ্তাহ আগেই সাগরের উত্তাল ঢেউ গিলে খেয়েছে। টপসহ মূল বাঁধের ৭০ ভাগ বিলীন হয়ে গেছে। ফের অমাবস্যার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার আঘাত হানলে কী হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা। এরা সবাই চরম উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগের দেয়া তথ্যমতে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় করে লতাচাপলী ইউনিয়নের পর্যটন এলাকায় ৩২০ মিটার বাঁধ এবং কলাপাড়া পৌর শহর রক্ষা প্রকল্পের ১৫০ মিটার প্রটেকশনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দুই সাইজের সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে প্রটেকশনের কাজ করা হয়। ১৩ মণ ২০ কেজি ও ৯ মণ এই দুই ধরনের ব্লক দিয়ে কাজ করা হয়।
মেলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, এই কাজ শেষ হওয়ায় ভয় কেটে যায়। কিন্তু আর ১০০ মিটার বাঁধ একই সময় সংরক্ষণ করা হলে এ বছর নিরাপদে থাকতে পারতাম। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বাঁধ সাগরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে ভাঙতে শুরু হলে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কুয়াকাটাবাসী।
এ ব্যাপারে পাউবোর কলাপাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এরই মধ্যে খাজুরা-মাঝিবাড়ি পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে ৮৪০ মিটার ও মিরাবাড়ি পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে ৫৪০ মিটার ভাঙন রোধে নতুন করে দরপত্রের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শিগগিরই কার্যাদেশ দেয়া হবে। তৈরি করা ব্লকের নিম্নমানের বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ ভালোই হয়েছে। বেশি লবণাক্ততা ও ঢেউয়ের ঝাপটায় ব্লকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/08/03/37227