
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সুমন ও মেরাজ নামের দুজন আহত হন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রায় আধঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটিতে আকাঙ্ক্ষিত পদ বা কোনো পদই না পাওয়া মাহবুব-খসরু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা আজ সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের কলাভবনের পূর্বপাশে অবস্থিত নির্ধারিত টেন্টে অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক তুহিনের সমর্থক নেতা-কর্মীরা সেখানে গেলে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও রামদা নিয়ে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হলেও কোনো বিভাগেই ক্লাস হতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে অনেক দিন ধরে চলমান বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ ঘটে, যা তাঁদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক করার চিন্তা করছে। এখন ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এবং অন্য গ্রুপটি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুটি গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-08/news/77048
No comments:
Post a Comment