Thursday 3 June 2010

ফেনী ও মুহুরীর ভাঙনে বিশাল ভূখণ্ড চলে গেছে ভারতের দখলে : বিএসএফের বাধায় মুহুরীর চরের দখল পাচ্ছে না বাংলাদেশ



27/04/2010
আলাউদ্দিন আরিফ, সীমান্ত এলাকা থেকে ফিরে
মুহুরী ও ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাংলাদেশের বিশাল ভূখণ্ড চলে গেছে ভারতের অপদখলে। ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) আগ্রাসী তত্পরতায় মুহুরী নদীতে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ভেঙে গড়ে ওঠা ‘মুহুরীর চর’-এর দখল নেয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের কৃষক ওই জমিতে গেলেই গুলি করে বিএসএফ। ফেনী নদীর ভাঙনে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা মিশে গেছে ভারতের সঙ্গে। এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ফেনীতীরের সড়ক, ফসলের জমি ও বিস্তীর্ণ জনপদ। বিএসএফের বাধার কারণে ওই এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কোনো স্থাপনাই তৈরি করতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখনও ফেনী নদীর কমপক্ষে ১৫টি পয়েন্টে বাংলাদেশ অংশ ভেঙে চর পড়ছে ভারতীয় অংশে।
মুহুরী, কহুয়া ও ফেনী বাংলাদেশের ছোট ৩টি সীমান্ত নদী। প্রস্থে কম হলেও নদীগুলো খরস্রোতা। ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার পাহাড়ি অঞ্চলে এবং বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই উপচে পড়ে নদীগুলো। প্লাবিত করে পরশুরাম, ফেনী, ফুলগাজী আর খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ। সেইসঙ্গে নদী দুটির ভাঙনও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। নদী দিয়ে সীমান্ত চিহ্নিত হওয়ায় বাংলাদেশ অংশ ভেঙে ভারতে চর পড়লে সেটা বিএসএফ দখল করে নেয়। এসব নিয়ে বেশ কয়েকবার বিডিআরের সঙ্গে বিএসএফের সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে নদীতীর সংরক্ষণের জন্য কোনো উদ্যোগ নিলেই বিএসএফ বাধা দেয়। একারণে দীর্ঘদিন থেকেই অরক্ষিত পড়ে আছে ফেনী নদীর তীর।
ফেনী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মিরেরশ্বরাই, খাগড়াছড়ির রামগড় ও মাটিরাঙা উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নদীভাঙনের ভয়াবহ চিত্র।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার মুহুরী নদীর তীরবর্তী বিলোনিয়ায় ২ কিলোমিটার এলাকায় স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত সীমানা চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে প্রায়ই বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া এলাকার বহু ভারতীয় নাগরিক পরশুরাম ও ফেনী এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরা উপজেলার বিলোনিয়া শহর ও পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরের কাছে মুহুরী নদীতে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ভেঙে তৈরি হয়েছে ‘মুহুরীর চর’। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিডিআর সদস্যদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিলোনিয়ায় মুহুরীর চরে ৯৩ দশমিক ৩৩ একর জমি বাংলাদেশের। বিএসএফ ওই জমিতে বাংলাদেশীদের যেতে দিচ্ছে না।
পরশুরাম উপজেলার মুহুরী নদীর তীরে সাইট পিলার ২১৫৯/৩ এস থেকে ২১৫৯/৪৮-এর মধ্যবর্তী স্থানে এখনও সীমানা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গঠিত একটি টাস্কফোর্সের রিপোর্টেও বিষয়টি স্থিতাবস্থায় রেখে সীমানা নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিলোনিয়ার উত্তর কাউতলী গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল হক (৬০) জানান, একসময় মুহুরী নদী বর্তমান দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া শহরের পাশ দিয়ে সোজা পূর্ব দিকে প্রবাহিত ছিল। ধীরে ধীরে নদীটি ভেঙে ইংরেজি ‘ডব্লিউ’ আকৃতি নিয়ে চলে আসে বাংলাদেশ অংশে। কোনো ধরনের সংরক্ষণমূলক বাঁধ না থাকায় কাউতলী ও বিলোনিয়া গ্রাম এখনও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। আর আয়তন বাড়ছে মুহুরীর চরের। গত ৩ দশকে মুহুরী নদীর ভাঙন প্রায় অর্ধকিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে চলে এসেছে। উত্তর কাউতলী গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ (৬৫) জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন নদীতীর সংরক্ষণের কাজ করতে গেলেই বিএসএফ গুলি করে। ফলে কাজ করা সম্ভব হয় না। সেখানে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে পাড় বাঁধা সম্ভব হয় না, যার কারণে উত্তর কাউতলী ও নিজ কালিকাপুর মৌজার বড় একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চর পড়েছে ভারতের অংশে। একই এলাকার বাসিন্দা তসলিম হোসেন জানান, তারা নদীর পাড়ে হাঁটতে গেলেও বিএসএফ আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে, ভয় দেখায়। বছরখানেক আগে নদীর তীর দিয়ে যাওয়ার সময় এক মহিলাকে গুলি করেছিল বিএসএফ।
পরশুরামের মজুমদারহাট কোম্পানি সদর ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিডিআর সদস্যরা জানান, মুহুরীর চরের প্রায় ৯৩ দশমিক ৩৩ একর জমি বাংলাদেশের, সেটা তারা জানেন। বিএসএফ দাবি করছে ওই জমি তাদের। বিষয়টি দু’দেশের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আমরা ভারতীয় কাউকে সেখানে চাষাবাদ করতে দিচ্ছি না। প্রতিপক্ষ বিএসএফও আমাদের কৃষকদের সেখানে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না। তবে দু’দেশের কৃষকদের গরু-ছাগল সেখানে চরে বেড়ায়। মজুদারহাট ক্যাম্পের বিডিআর জওয়ানরা আরও জানান, নদীতীর সংরক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারা সেখানে কাজ করছে না। তবে আগে কয়েকবার সেখানে কাজ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দিয়েছিল।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মুহুরী নদী থেকে অবাধে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই বালু তুলছেন। পাউবোর বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত করে বালু তোলায় আগামী বর্ষায় আরও বিপুল পরিমাণ জমি নদীভাঙনে হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
সীমান্তবর্তী কহুয়া নদীতেও ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পরশুরাম উপজেলার বাউরপাথর এলাকায় বেশকিছু জমি চলে গেছে ভারতের দিকে। বিএসএফের বাধায় এই এলাকায় পাউবো বাঁধ নির্মাণ করতে না পারায় প্রায় ৪শ’ একর জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না।
ফেনী জেলা পাউবো কর্মকর্তারা জানান, দুই কিলোমিটার এলাকায় সীমানা চিহ্নিত না থাকায় তারা তীর সংরক্ষণমূলক কাজ করতে পারছেন না। দু’দেশের সমঝোতায় সীমানা চিহ্নিত করার কথাও বলেন তারা।
এদিকে ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শফিটিলা, লাছারিপাড়া, সোনাইপুল, বাগানবাজার, বুদ্ধগ্রাম, কয়লারমুখ, অলিনগর, তাইন্দং, লক্ষ্মীছড়া, দারোগাপাড়া, আন্দারমানিক, হাবিবুল্লারচর, নলুয়া, পানুয়াছড়া, শান্তিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার শফিটিলা এলাকায় সীমানা পিলার ২২৩০/৪ আরবি থেকে ২২৩০/৬ আরবি’র মধ্যবর্তী স্থানে শূন্যরেখা থেকে নদী প্রায় ২০০ ফুট বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে গেছে। বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেঙে চর জেগে উঠেছে ভারতের দিকে। শফিটিলা বিডিআর বিওপি সংলগ্ন পাকা রাস্তার কাছে ফেনী নদী ইংরেজি ‘ইউ’ বর্ণের আকার নিয়ে পাকা রাস্তা সংলগ্ন বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি করেছে। ভাঙনের কারণে এখন শফিটিলা বিডিআর বিওপি পাকা সড়কটি হুমকির সম্মুখীন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই স্থানে নদীর অপর তীরও বাংলাদেশের জমি। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ভর্তি করে রেখেছে ৫-৬ বছর আগে থেকে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ বিএসএফের বাধায় নদীতীর সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ফলে মাটিরাঙা ধর্মাবাড়ী সিআইও ক্যাম্পের রাস্তাটি এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার লাছারিপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ বিলীন হচ্ছে ফেনী নদীর ভাঙনে। সীমানা পিলার ২২১৮/২ আরবি থেকে ২২১৯/৬ আরবি’র মধ্যবর্তী এলাকায় শূন্যরেখা থেকে এক-দেড়শ’ ফুট বাংলাদেশের ভেতরে চলে এসেছে। এই এলাকায় নদীর গতি কলসি আকৃতির ভূভাগ সৃষ্টি করেছে। পাউবোর বিশেষজ্ঞরা জানান, নদীর তীর সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব না হলে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে কলসির মতো ভূভাগে বাংলাদেশের সঙ্কীর্ণ একটি অংশ ভেঙে যাবে। এতে বাংলাদেশের শতাধিক একর জমি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে অপদখল করে নেবে ভারত। এ এলাকায় পাউবোর সিসি ব্লক প্রস্তুত থাকলেও ৫-৬ বছর থেকে ভারতের বাধার কারণে নদীর তীরে বসানো যাচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল এলাকায় সীমানা পিলার ২২১৩/২ আরবি এবং ২২১৪/২ আরবি’র মধ্যবর্তী স্থানে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ ফুট বাংলাদেশের ভেতরে চলে এসেছে। এই স্থানে ফেনী নদীর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘ইউ’ বর্ণের মতো হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশ ‘ইউ’ শেপের বাইরের দিকে। এ স্থানে বাংলাদেশ অংশে নদীর তীর ঘেঁষেই রামগড়-ফেনী সড়ক অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তীর সংরক্ষণমূলক কাজ সম্ভব না হলে সড়কটি হুমকির মুখে পড়বে। যে কোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে সড়কের এই অংশটি।
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার এলাকায় সীমানা পিলার ২২১২/২-এর নিকটবর্তী এলাকায় নদীভাঙনে শূন্যরেখা থেকে আনুমানিক ১৬৪ থেকে ২০০ ফুট বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে গেছে এবং চর পড়েছে ভারতের দিকে। এই এলাকায় ফেনীর ভাঙনে বাংলাদেশের মূল্যবান ভূখণ্ড ভারতের দিকে চলে যাচ্ছে। ২০০৩-০৪ অর্থবছরে এখানকার ভাঙন প্রতিরোধে ৫০০ মিটার সিসি ব্লক তৈরি করে রাখা হলেও ভারতীয় বাধার কারণে এখন পর্যন্ত তীর সংরক্ষণের কাজ করা সম্ভব হয়নি। অথচ বাগানবাজারের বিপরীতে ভারতের দৌলবাড়ী। সেখানে ভারত নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ করছে। সীমান্তরেখা স্পষ্ট না হওয়ায় বিডিআর সেখানে বাধা দিয়ে আসছে।
চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই উপজেলার বদ্ধুগ্রামে সীমানা পিলার ২২০৫/৬ আরবি’র কাছে ফেনী নদীর তীর ভেঙে বাংলাদেশের অনেক ভেতরে চলে এসেছে। চর জেগেছে ভারতে। একই উপজেলার কয়লারমুখ এলাকায় সীমান্ত পিলার ২২০৪-এর নিকটবর্তী এলাকাতেও বাংলাদেশ অংশের নদী ভেঙে চর পড়েছে ভারত অংশে। এর উজান ও ভাটি দু’দিকেই বাংলাদেশ শত শত বিঘা জমি হারাচ্ছে। এই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তীর সংরক্ষণ কাজ হাতে নিলেও বিএসএফের বাধার কারণে তার বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার আন্দারমানিক এলাকায় পিলার ২২১০/২ আরবি’র পাশে ফেনী নদীর ভাঙন বাংলাদেশের ভেতরে এসে প্রবেশ করেছে এবং চর জেগেছে ভারতের দিকে। একই উপজেলার হাবিবুল্লার চরে পিলার ২২১০/২ ও ২২০৯/৪-এর মধ্যবর্তী স্থানে নদীভাঙনে ১৩০ থেকে ১৬৫ ফুট পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। ফটিকছড়ির নলুয়া এলাকার মেইন পিলার ২২১১ ও ২২১২-এর মধ্যবর্তী অংশে দেড়শ’ থেকে ২শ’ ফুট ভারতে চর পড়ে বাংলাদেশে ভাঙছে। ফটিকছড়ির পানুয়াছড়া এলাকায় মেইন পিলার ২২০৮-এর নিকটবর্তী এলাকায় শূন্যরেখা থেকে প্রায় একশ’ ফুট ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় মেইন পিলার ২২৩৮ এবং ২২৩৯-এর মধ্যবর্তী স্থানে এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকা নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। চট্টগ্রামের মিরেরশ্বরাই উপজেলায় ভারত ঢাউস সাইজের পাইপ বসিয়ে টেনে নিচ্ছে ফেনী নদীর পানি।
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং এলাকায় সীমানা পিলার ২২৪৯/৮-এর কাছে, লক্ষ্মীছড়িতে সীমানা পিলার ২২১৬/২ আরবি থেকে ২২১৬/৬-এর মধ্যবর্তী এলাকা এবং দারোগাপাড়ায় মূল পিলার ২২১৫ ও ২২১৬-এর মধ্যবর্তী এলাকায় ফেনী নদীর ভাঙনের কারণে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/27/29368

No comments:

Post a Comment