Monday 7 June 2010

ধুনটে অধ্যক্ষকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল যুবলীগ নেতা

বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ থেকে এক অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে রাস্তার ওপর বেধড়ক পিটিয়েছে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগ নেতা বনি আমিন মিন্টুর মারধরে কান্তনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান আসাদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার সকালে অধ্যক্ষ আসাদ দাপ্তরিক কাজে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে উপজেলা পরিষদের বাইরে এনে রাস্তার ওপর মারধর করে। যুবলীগ নেতার বেধকড় পিটুনিতে অধ্যক্ষ আসাদ আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যক্ষ আসাদ জানান, প্রায় তিন বছর আগে তাঁর ভাগ্নের একটি মোবাইল ফোনসেট চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা মিন্টুর ছোট ভাই কুদরতকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই ঘটনার জের ধরে অধ্যক্ষকে উপজেলা পরিষদ থেকে তুলে এনে মারধর করা হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু এ ব্যাপারে বলে, 'আসাদ মিথ্যা অভিযোগে আমার ছোট ভাইকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল। এ জন্য তাঁকে মারধর করেছি।' ধুনট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। তবে থানায় এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

http://dailykalerkantho.com accessed on 07/06/2010

No comments:

Post a Comment