Tuesday 16 March 2010

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ : ঢাকায় ৪ জনসহ ১০ খুন



স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়ে গেছে আশংকাজনকভাবে। গতকালও রাজধানীতে জোড়া খুনসহ চারজন নিহত হয়। ডেমরার সারুলিয়ায় র্যাবের ক্রসফায়ারে আসাদুজ্জামান রুবেল (৩০) নামের একজন নিহত হয়। আরামবাগে বাস কাউন্টারে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের একজন ইলিয়াস কাঞ্চনকে গলা কেটে ও আবু সুফিয়ানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। অপর ঘটনায় হাইকোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল ফারুককে ছুরিকাঘাতে খুন করে ফেলে রাখা হয় রেললাইনের পাশে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক প্রবাসীকে কুপিয়ে এবং পাবনায় বিএনপি নেতা আবদুল কাদের মণ্ডলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২৫ জন আহত হন। রাজশাহীতে কলেজছাত্রকে খুন করা হয়েছে। ঝালকাঠিতে উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবকের মাথা কাটা লাশ। খুলনায় আফিল জুট মিলের শ্রমিক জালাল আহমেদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শহিদুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির লাশ। একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। বরং অনেক ক্ষেত্রে এসব খুনের ঘটনায় তাদের কিছু করার নেই বলে দায় এড়াতে চাইছে। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক জোড়া খুন সম্পর্কে বলেছেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এ খুন হয়েছে। তিনি বলেন, এসব হত্যাকাণ্ড রোধে পুলিশের কিছু করার নেই। ঘরে ঘরে পুলিশ দেয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
নগরীর মতিঝিল নটর ডেম কলেজের উল্টোদিকে আরামবাগে সৌদিয়া-এস আলম বাস কাউন্টারে গতকাল সকালে দুই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তাদের একজন ইলিয়াস কাঞ্চন (২২) এস আলম কাউন্টারের পিয়ন। তাকে কাউন্টারের ভেতরে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। অপরজন আবু সুফিয়ানকে হত্যা করা হয় শ্বাসরোধ করে। সকালে পুলিশ, র্যাব ও সিআইডি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা দুটি ছুরি এবং কিছু আলামত উদ্ধার করে। নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা সুফিয়ান এক সময় গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেটে ব্যবসা করতেন। ইলিয়াস রাতে কাউন্টারেই ঘুমাতেন। সুফিয়ান ওই রাতে ইলিয়াসের কাছে কেন গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে কী সম্পর্ক এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ সুফিয়ান সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। ইলিয়াস কয়েক মাস আগেই বাস কাউন্টারে চাকরি নেন। তার বাসা আরামবাগের ইনার সার্কুলার রোডে। নিহত ইলিয়াস কাঞ্চনের বড় ভাই সুরুজ্জামান জানান, তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে তার জানা নেই।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আতিকুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর এ হত্যার মোটিভ বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর দয়াগঞ্জ রেললাইনের পাশে হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল ফারুক অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। ফারুক পেশাগত কাজে মুন্সীগঞ্জে গিয়েছিলেন। রাতে ঢাকায় ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করল এ ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানাতে পারেনি। তবে পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারী অথবা পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। নিহতের মামা আবদুল হাকিম জানান, মামলা সংক্রান্ত কোনো ঘটনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। শ্যামপুরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট ফারুক হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ভূঁইয়ার জুনিয়র ছিলেন।
পাবনায় বিএনপি নেতা খুন
পাবনা থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, গতকাল সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ভবানীপুরে আওয়ামী লীগের হামলায় পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল কাদের মণ্ডল নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কাদের মণ্ডলের খামারের ব্যাপক ভাংচুর করা হয় এবং সন্ত্রাসীরা খামারের ২৪টি গরু নিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ বলছে, এলাকায় মাদক নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও বিএনপি জানায়, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে উদয়ন নামে একটি ক্লাবের মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিএনপি নেতা কাদের মণ্ডল ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনের গোলমাল চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাতে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মণ্ডলের ভাই বাজারে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের শাহিন গ্রুপ তাকে ধাওয়া করে। এ খবর পেয়ে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল কাদের মণ্ডল ক্লাবের পাশ দিয়ে তার ভাইকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী শাহিনের নেতৃত্বে ৩০/৪০ সন্ত্রাসী কাদেরের ওপর হামলা চালায় এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে কাদের মণ্ডলের ছেলে ও গ্রামবাসী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ২৫ জন আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা কাদের মণ্ডলের ডেইরি ফার্ম ভাংচুর করে এবং ২৪টি গরু নিয়ে যায়। আহতদের পাবনা ও ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জিয়াউর রহমান মণ্ডল, তাজিম মণ্ডল, তিজার মণ্ডল, রফিক মণ্ডল ও আমিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার জামিল আহমেদ আমার দেশকে জানান, এটা কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। মাদকসেবনকারী ও প্রতিরোধকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে কাদের মণ্ডল মারা গেছেন। কাদের মণ্ডল মাদকসেবন ও বিক্রি করতেন। এলাকার মাদকবিরোধী যুবকরা নিষেধ করলেও কাদের মণ্ডল না শোনায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরই জের ধরে গতকাল উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কাদের মণ্ডল মারা যান। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় ব্যাপক অভিযান চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপি সভাপতি মেজর (অব.) কেএস মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা, পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মুসা ও সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম বুলাল।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা কাদের মণ্ডলের ছোট ভাই বাদী হয়ে সন্ত্রাসী শাহিন ও বিটুসহ ১৫ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেছে।
রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন
আমাদের রাজশাহী অফিস জানায়, জমিজমা বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে রাজশাহী মহানগরীতে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রাজু আহমেদ নামের এক কলেজছাত্র খুন হয়েছে। নিহত রাজু আহমেদ বাগমারা উপজেলার হাসানপুর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে এবং দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা যায়। সোমবার রাতে নগরীর নিউমার্কেট গেটের সামনে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাজু প্রতিপক্ষের ভয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাগমারা থেকে পালিয়ে রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থান করছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা এরশাদ আলী বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই একই এলাকার আলতাব ও সাত্তার নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী মাহাবুব রশিদ রিন্টু ও তার লোকজন রাজু এবং তার বাবা এরশাদ আলীকে মারধর করে। এ ঘটনায় রাজু বাগমারা থানায় মামলা করলে এর জের ধরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিন্টু আবারও রাজুকে মারধর করে। এরপর রাজু বাগমারা থেকে পালিয়ে রাজশাহীতে আশ্রয় নেয়। সে নগরীর মোনাফের মোড়ের এক ছাত্রাবাসে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে থাকত। সন্ধ্যায় সে নিউমার্কেটে কম্পিউটার মেরামত করতে গেলে তিন সন্ত্রাসী রাজুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাজুর পরিবারের দাবি, ছেলে বাবাকে মারধর করার পর বাগমারা থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সে কারণে প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আবার তাদের মারধর করে। এরপরও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই রাজুকে খুন হতে হলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোয়ালিয়া থানার এসআই হাফিজ বলেন, ঘটনার পর আলতাফ ও সাত্তার নামের দু’জনকে বাগমারা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আখাউড়ার এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা
আমাদের আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর গ্রামের পৈলন খান খাদেমের ছেলে আকতার খান খাদেমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে সৌদি আরব থেকে সদ্য আসা আক্তার খান খাদেমকে তার বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ পৈরতলায় নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এখানে একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে মৃত ভেবে আকতারকে সদর উপজেলার সুলতানপুর সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা নেয়ার পথে সে গভীর রাতে মারা যায়।
নিহতের ভাই মোঃ তাকদীর খান খাদেম বলেন, আকতার ২০ দিন আগে সৌদি আরব থেকে এসেছে। সোমবার তার চাচাতো ভাই সুজন খান খাদেম আকতারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় আকতার মোবাইলে তাকে জানায়, সুজন, বক্করসহ কয়েকজন তাকে শহরের পৈরতলায় ফরিদ মিয়ার বাড়িতে একটি ঘরে আটক রেখে মারছে। কথার মধ্যেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এ ফোনের পর তারা রাত সোয়া ১০টায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর আকতারকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পান। পূর্বশত্রুতায় পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পৈরতলা থেকে ফরিদ মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। সদর থানার ওসি হামিদুল ইসলাম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে যুবকের মাথা কাটা লাশ উদ্ধার
আমাদের ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, জেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের শ্রীমন্তকাঠি বাজারের খালে গতকাল সকাল ৮টায় এক যুবকের মাথা কাটা লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের নাম জাকারিয়া (২৩)। সে একই ইউনিয়নের গুয়াটন গ্রামের মৃত আ. আজিজের ছেলে।
ঝালকাঠি থানা পুলিশ জানায়, আত্মীয়দের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) উত্তম কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খুলনায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
বিডিনিউজ জানায়, খুলনা নগরীর আফিল জুট মিলের একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে জালাল আহমেদ (৫৫) নামের এক অস্থায়ী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার বিকালে বাসা থেকে কাজে যান আফিল জুট মিলের অস্থায়ী শ্রমিক জালাল। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেন। সকালে অন্য শ্রমিকরা কারখানার ক্যান্টিনের পেছনে একটি সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে জালালের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে এসআই মোশাররফ জানান।
শাহজাদপুরে হোটেল কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ থেকে বিডিনিউজ জানায়, জেলার শাহজাদপুর পৌর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শহিদুল্লাহ (৫৬) নামের এক ব্যক্তির লাশ। বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবু নাসের, শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার রাতে হোটেলে ওঠে শহিদুল্লাহ ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন দুপুুর পর্যন্ত তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে হোটেলের মালিক পুলিশে খবর দেন।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/17/23137

No comments:

Post a Comment