Tuesday 16 March 2010

টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক : সমানতালে চলছে ডাকাতি ও হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

মুহাম্মদ তাহের নঈম, টেকনাফ
টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক ডাকাত ও হাইওয়ে পুলিশের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সমানতালে চলছে ব্যারিকেড দিয়ে গণডাকাতি ও হাইওয়ে পুলিশের পাইকারি চাঁদাবাজি। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ডাকাতি ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ তথা হাইওয়েতে চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আলাদা হাইওয়ে পুলিশ গঠন করে। হাইওয়ে পুলিশ গঠনে সরকারের সদিচ্ছার উল্টো ফল হয়েছে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে।
সড়কের তুলাবাগান, থাইংখালী ও হোয়াইক্যংয়ে পৃথক পৃথক পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। এরমধ্যে তুলনামূলকভাবে জনবল ও গাড়ি-বাড়ি নিয়ে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশই ভালো অবস্থানে রয়েছে। থাইংখালী পুলিশের কোনো সরকারি গাড়ি নেই। মাঝে মধ্যে নছিমন করিমন বা বেবিট্যাক্সি দিয়ে টহল দিতে দেখা যায়। বিভিন্ন যাত্রী ও গাড়ি মালিকরা জানান, হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে সড়কে ডাকাতি সমানতালেই চলছে। প্রতিদিন সড়কের কোনো না কোনো পয়েন্টে ডাকাতি হয়। বেশির ভাগ ডাকাতি হয় থাইংখালী, হোয়াইক্যং এলাকায়। অপরদিকে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এসআই জিল্লুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজেকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, গাড়ির কাগজপত্র চেক করার নামে হয়রানি করে টাকা আদায়, আটক গাড়ি ছেড়ে দেয়া ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন সখ্যেরও অভিযোগ রয়েছে। সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত ডিআইজি হাইওয়ে রেঞ্জ টেলিকম ভবন, রাজারবাগ, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসআই জিল্লুর রহমান চৌধুরী হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশে যোগদানের পর কুকর্মের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তার কুকর্মে বাধা দেয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাবিলদার আবুল কালাম (৯১), নায়েক মোশাররফসহ (১৩০) অনেক কনস্টেবলকে বদলি করে চাঁদাবাজি নির্বিঘ্ন রাখে। টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী হাসান ও সোহেল জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাতে ডাকাতির সম্ভাব্য পয়েন্টে টহল না দিয়ে বাণিজ্য ও লবণের গাড়ি থেকে টাকা তোলার কাজে ব্যস্ত থাকে। অপরদিকে দিনের বেলায় মাসিক চুক্তির টাকা নিতে হালখাতা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। প্রতিদিন মামলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে মাসোহারা আদায়সহ লবণ বোঝাই ট্রাক, পণ্যবোঝাই ট্রাক, তেলের ট্যাংক-লরি, চান্দের গাড়ি, বাস-মিনিবাস, জিপ, স্পেশাল সার্ভিস, সিএনজি, ট্রাক, দূরপাল্লার বাস, ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসায়ী, কাঠ পাচারকারীসহ প্রভৃতি জায়গায় ভাগ বসিয়ে প্রতি মাসে ৫/৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জিল্লুর। অবৈধ উেকাচের টাকায় জিল্লুর ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণ করছে বলেও সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এসআই জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন। এদিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের এসপি আনোয়ার কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ধরনের ঘটনার কথা শুনেছেন বলে জানান। শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
কোরআন ও রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারীর শাস্তি দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জের ঘিওরের তরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত মজুমদার কর্তৃক রাসুল (সা.) ও মহাগ্রন্থ আল কোরআন সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের এ দেশে রাসুল ও কোরআন সম্পর্কে কটূক্তি করে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও আমাদের প্রাণের স্পন্দন রাসুল (সা.) এবং পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বাজে মন্তব্য কোনোক্রমেই মেনে নেয়া যায় না। এর মাধ্যমে শুধু মুসলমান নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ব্যথিত করেছে। অবিলম্বে বিশ্বজিত মজুমদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হলে জনতা ময়দানে নামতে বাধ্য হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি সরকারের দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ১৯ মার্চ খুলনা, ১৬ এপ্রিল ঢাকা, ৩০ এপ্রিল বরিশাল এবং ২৮ মে রাজশাহীতে বিভাগীয় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
খেলাফত আন্দোলন : খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক নামের কলঙ্ক বিশ্বজিত মজুমদারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশজুড়ে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে এবং তসলিমা নাসরিনের মতো দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, একজন মহামানব ও ঐশীগ্রন্থ সম্পর্কে কটূক্তিকারী কোনো কুলাঙ্গারের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/17/23172

No comments:

Post a Comment