Thursday, 11 March 2010

মোহনপুরে শত শত কৃষকের বিক্ষোভ বিদ্যুত্ অফিস ভাংচুর : ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম



রাজশাহী অফিস ও মোহনপুর প্রতিনিধি
রাজশাহীর মোহনপুরে গতকাল বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও করেন। প্রকৌশলীসহ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুযোগ বুঝে অফিসে তালা ঝুলিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার প্যালেন মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ আহম্মেদ রানার নেতৃত্বে উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক প্রথমে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসের সামনে বিদ্যুতের দাবিতে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম অফিসের সামনে এলে কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রকৌশলী পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষকদের নিয়ে ইউএনও অফিসে যান। ইউএনওকে না পেয়ে কৃষকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুত্ অফিসের সামনে যান। বিদ্যুত্ অফিসে তালাবদ্ধ দেখে কৃষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাইবোর্ডে লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করার পর বিদ্যুত্ অফিসে কোনো লোক না পেয়ে কৃষকরা বাইরে রাখা চেয়ার, বেঞ্চ ভাংচুর করেন। কৃষকরা উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত্ সরবরাহের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কৃষকরা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুতের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ থাকার কথা। অথচ ওই সময়ও বিদ্যুত্ থাকছে না। এতে বোরো ধান লাগানো যাচ্ছে না। যেসব জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে তা পানির অভাবে পুড়ে মরছে। সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেচের অভাবে রোপণকৃত জমির অধিকাংশ বোরো ধান পুড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে বিদ্যুতে চাহিদা ৭ মেগাওয়াট, সেখানে কৃষকরা পাচ্ছেন মাত্র ১ মেগাওয়াট। যেখানে ৩টি তারে বিদ্যুত্ থাকলে পানি পাওয়া যায়, সেখানে একটি তারে বিদ্যুত্ থাকায় গভীর নলকূপ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুত্ প্রয়োজন। সেখানে বিদ্যুত্ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। আমাদের চাহিদা ও সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। মোহনপুর পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র প্রকৌশলী জামাত খান জানান, মোহনপুরে বিদ্যুতের চাহিদা ৪ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ মেগাওয়াট।

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/12/22380

No comments:

Post a Comment