Friday 10 December 2010

দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ : নরসিংদীতে নিহত ২০ আহত ৩ শতাধিক




আলাউদ্দিন আরিফ ও মাজহারুল পারভেজ মন্টি, নরসিংদী থেকে

নরসিংদীতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও তিন শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে নরসিংদী সদরে অবস্থিত রেলস্টেশনে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। একই লাইনে দুটি ট্রেনই স্টেশনে প্রবেশ করে। এতে চট্টলা এক্সপ্রেসের ৩টি বগি মহানগর গোধূলির বগির ওপর উঠে যায়। দুর্ঘটনায় ইঞ্জিনসহ দুই ট্রেনের ৭টি বগি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ইঞ্জিন ও ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। হতাহতরা প্রায় সবাই এসব বগিতেই ছিলেন।
গতরাতে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের ওপর আরেকটি উঠে গেছে। দুটি বগি এক পাশের লাইনের ওপর পড়ে আছে। ইঞ্জিন ও অন্য বগিগুলো সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এসবের ভেতর আটকা পড়ে আছে বেশকিছু লাশ। পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ঘুটঘুটে অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। হতাহতদের স্বজনরা ভিড় করে রেখেছেন। আহতদের আহাজারি আর স্বজনদের কান্নায় পুরো এলাকায় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, তারা রাত ১২টা পর্যন্ত ৯টি লাশ উদ্ধার করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে তিনশ’জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নরসিংদী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালসহ চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসতাপালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ট্রেনযাত্রীদের কিছু মালামালও লুটপাট হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর, জেলা হাসপাতাল ও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন বাহার জানান, তার দেখামতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ও তার টিম আহত ৪৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এছাড়াও জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে ডেকেছেন। এখন তারাই মূল উদ্ধার কাজ তদারকি করছেন। দুর্ঘটনার পর সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, থানা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার তত্পরতা চালাচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের অবহেলা ও ভুল সিগন্যালের কারণে একই লাইনে দুটি গাড়ি ঢুকে যায়। এতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। দুর্ঘটনার পর নরসিংদী শহরের হাজার হাজার মানুষ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ, সেনাবাহিনীর শতাধিক কর্মী ও র্যাবের ৫টি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধারসহ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছে। রাত সাড়ে ৯টায় সুবর্ণ এক্সপ্রেসকে চলাচলের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে আবার সীমিত আকারে ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়েছে।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবরে জাতীয় সংসদের গতকালের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে মুলতবি করা হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিকট শব্দের পরই আর্তচিত্কার : দুর্ঘটনাকবলিত দুটি ট্রেনেই ছিল বিপুলসংখ্যক যাত্রী। দুর্ঘটনার পর মুহূর্তেই হতাহত যাত্রীদের আর্তচিত্কারে এক মর্মস্পর্শী পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকট শব্দে দুর্ঘটনা ঘটায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শত শত লোক ছুটে আসে। স্থানীয় লোকজন হতাহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও বগির নিচে চাপাপড়া কিংবা দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় বগির ভেতরে আটকেপড়াদের উদ্ধার করা যাচ্ছিল না।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লায়ন স্বপন জানান, বিকাল পৌনে ৫টায় তিনি কাঁচাবাজার করার জন্য স্টেশনের পাশে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। তিনি যখন ফ্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে তখন মহানগর গোধূলী ট্রেনটি স্টেশনে থামছিল। নতুন চালু করা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশন ধরে না। সিগন্যালগত ত্রুটির কারণে দুটি ট্রেন একই লাইনে এসে যায়। মুখোমুখি হয়ে পড়ায় দুটি ট্রেনই বিকট শব্দে হর্ন বাজাতে শরু করে। এরই মধ্যে ভূমিকম্পের মতো শব্দ তুলে একটির ওপর আছড়ে পড়ে আরেকটি ট্রেন। যাত্রীরা আহাজারি আর আর্তনাদ শুরু করেন। তিনি নিজেও কয়েকজনকে টেনে বের করেন। তিনি নিজে কয়েকটি লাশ বের করে আনেন এবং কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী পলাশ জানান, স্থানীয় বাজারে বসে চা খাওয়ার সময় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী রেলস্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এ সময় বিকট শব্দ হয়। চারদিকে মানুষ ছোটাছুটি করছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের নিচে হাত পা কাটা পড়ে আছে। আর চারপাশ থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। পরে প্রথমে স্থানীয়রা আহতদের ট্রেনের ভেতর থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। পরে দমকল বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বিভ্রান্তি : দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা গেছে নানা তথ্য। সরকারি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কারণ জানা যাবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, রেলওয়ের কর্মীসহ অনেকেই জানান, স্টেশন মাস্টার মরণ চাঁদের দায়িত্ব অবহেলার কথা। তিনি স্টেশনে থাকেন না। সহকারী স্টেশন মাস্টার বা গার্ড বা অন্য লোকজন দিয়ে ট্রেনের সিগন্যাল পরিচালনার কাজ করেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি স্টেশনে ছিলেন না। দুর্ঘটনার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলেন, সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। ট্রেনটি দুটির একটি আরেকটিকে পাসিং করার সময় সিগন্যাল ম্যান হিসেবে কারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কোনো তথ্যই সঠিকভাবে মেলেনি।
রেলওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি ড. সাদিকুর রহমান জানান, সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিবিসিকে গতরাতে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জন। তিনি বিবিসির সংবাদদাতার এক প্রশ্নের জবাবে ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। দুর্ঘটনা ঘটার কারণ নিয়ে ওই সংবাদদাতার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা দেখতে পেয়েছি গাড়ি ও ট্রাকের (ট্রেন লাইন) কন্ডিশন (অবস্থানে) সঠিক ছিল। সিগন্যালও ঠিক ছিল। এর মধ্যে কোনো মিসট্যান্ট অ্যাকটিভিটি (নাশকতা) হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে : দুর্ঘটনার খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার উদ্ধার তত্পরতার কারণে কাঙ্ক্ষিত গতির চেয়েও দ্রুত উদ্ধার তত্পরতা চালানো হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা কমেছে। তিনি হতাহতদের রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়ারও অঙ্গীকার করেন। তিনি আরও বলেন, এটি কি দুর্ঘটনা না নাশকতা তা তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করে দেখবেন। মন্ত্রী ঘটনায় নিহত ও আহতদের চিকিত্সাসহ ক্ষতিপূরণ রেলওয়ে আইন অনুসারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আর যদি নাশকতার কোনো ঘটনা থেকে থাকে তাহলে এর পেছনে যারা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত বিচার করা হবে।
ঘটনাস্থলে আসা রেলওয়ে সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, উদ্ধার তত্পরতা চলছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাদের তদন্তে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। তিনি দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে স্টেশনে সিগন্যাল ত্রুটি ও লোকবল সঙ্কটে দুর্ঘটনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, কারও বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পুলিশের টিম উদ্ধার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।
যে কারণে মৃতের সংখ্যা নিয়ে হেরফের দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমে কিছু লাশ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। এরপর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ আলাদা আলাদা কিছু লাশ উদ্ধার করে। লাশগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়ায় সংখ্যা নিয়ে হেরফের দেখা দেয়।
এদিকে গতরাত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে দেখা গেছে, মাত্র দুই কিশোর ছাড়া সবাইকে অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মর্গে পড়ে আছে ৬টি লাশ। হাসপাতালের সামনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন ভিড় করেছেন স্বজনদের খোঁজে।
দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহাম্মেদ রাজু, নরসিংদী সদর আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরু ও নরসিংদী-৩ আসনের এমপি জহিরুল ইসলাম মোহন, নরসিংদী সদর আসনের সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোমেনা খাতুন, থানা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন জাহানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হতাহত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে : নিহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী (আনসার) মফিজুল, যাত্রী হাফিজুদ্দীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বরিশল গ্রামের ফরিদ ও ট্রেন চালক জহির।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন শরীফ, ওবায়দুল, ছালাম, মনির, রিকন, জিকে ঘোষ, আসাদুল, কাইয়ুম, জয়নাল, নাজমুল, স্বপন, শরিফুল, মোস্তফা, মনু, আসলাম, আসাদ, আবদুর রউফ, তানিয়া, জাবের, আবদুস শহীদ, সোহরাব, জাকিরসহ আরও কয়েকজন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ২২ যাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন হুমায়ুন কবীর, জসিম উদ্দিন, মাহবুব, চট্টলা ট্রেনের চালক রফিক উদ্দিন ও মাইনুদ্দিন। এদের সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া পঙ্গু হাসপাতালেও আহত কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গতরাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী গত রাতে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিত্সার খোঁজখবর নেন। সরকারি উদ্যোগে তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে বলে তারা ঘোষণা দেন। ট্রেন দুর্ঘটনার সংবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিত্সার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ৪০ চিকিত্সক এবং ৩০ নার্সকে সার্বক্ষণিক অনডিউটিতে রাখা হয়েছে। আহতদের ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।
তদন্ত কমিটি গঠন : রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলীর মৃধার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি হয়েছে। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও আছেন- চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট, চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার এবং চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
এছাড়া রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। বিভাগীয় ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম এ কমিটির প্রধান। এ কমিটিকে দুদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রাতে শিথিলভাবে উদ্ধার তত্পরতা চলে

No comments:

Post a Comment