Monday 6 December 2010

রাজধানীতে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গলাটিপে হত্যা : কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী, রাঙ্গামাটিতে যুবদল কর্মীসহ এক ডজন খুন



স্টাফ রিপোর্টার

রাজধানীর উত্তর বাসাবোর নিজ বাসার সামনে ঈদের রাতে খাজা মো. মাহফুজুল হক খান (৭৩) নামের এক বৃদ্ধকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মাহফুজ শিল্প ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম। উত্তর বাসাবোর ৩৫/ডি নম্বর বাসার সামনে এ ঘটনার পর র্যাব ও পুলিশ একজন মহিলাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো মাদক সম্রাজ্ঞী রুসিয়া বেগম ওরফে মাফিয়া চুন্নি (৪৫), রনি (২২), বাবু (২৩) ও ফরিদ (২৫)। গ্রেফতারকৃতদের সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ডে না দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে সবুজবাগ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নিদর্শন গতরাতে জানান।
নিহত মাহফুজের মেজো ছেলে রিয়াজুল হক জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে উত্তর বাসাবোর বাসার সামনে একদল যুবক মাদক সেবন করছিল। এ সময় তারা চিত্কার করে গান গাইছিল। মাহফুজুল হক তাদের ওই স্থান থেকে সরে গিয়ে আড্ডা দিতে বললে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাদকসেবী যুবকরা তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং গলাটিপে ধরে। মাহফুজ নিস্তেজ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার ছেলে রিয়াজুল এগিয়ে এলে দুষ্কৃতকারীরা তাকেও মারধর করে। অচেতন অবস্থায় মাহফুজুল হককে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে রাত দেড়টায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়।
রিয়াজুল হক আরও জানান, তার বাবাকে অচেতন অবস্থায় বাসায় নেয়া হলে সন্ত্রাসীরা বাসার ভেতরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
সবুজবাগ থানার এসআই প্রলয় কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি মাহফুজুল হকের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। তিনি আরও জানান, ঘটনার পরদিন অভিযান চালিয়ে খিলগাঁও এলাকা থেকে রনি (২২) এবং উত্তর বাসাবো থেকে বাবুকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে র্যাব সদস্যরা বাসাবো সবুজবাগ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও হেরোইনসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রুসিয়া বেগম ওরফে মাফিয়া চুন্নিকে গ্রেফতার করে। র্যাব-৩-এর কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃত রনি চুন্নির ছেলে।
কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা : এদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাথায় আঘাত করে আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই শাহাবুদ্দিন আসকর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে মাসুদ রানা (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মামলার বাদী শাহাবুদ্দিন আসকর জানান, শেষ কার্যদিবসে গত ১৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে আলমগীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ভাওয়ারভিটি এলাকার বাড়িতে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতেই পূর্বশত্রুতার কারণে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে পেছন থেকে সেগুনকাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার চিত্কারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ঈদের দিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত আলমগীর মৃত মো. চিনি মিয়ার ছেলে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাসার সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ভাওয়ারভিটি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ রানাকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাঙামাটিতে যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা : রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় যুবদলের এক কর্মীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ইউনিয়নের মোনারটেক জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম আরিফুর রহমান (২৮)। তিনি যুবদলের উপজেলা পর্যায়ের নেতা। উপজেলা বিএনপি এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার সমর্থক যুবলীগকে দায়ী করেছে। এ ব্যাপারে যুবলীগের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, আরিফ ঈদ উপলক্ষে বেতবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল তাকে ডেকে বাড়ির উঠোনে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় আরিফের স্ত্রীসহ অন্যরা বাঁচাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরও মারধর করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আরিফকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানায়, দুর্বৃত্তরা আরিফের পায়ে গুলি করে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। মোনারটেক জঙ্গলে লাশ গুম করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে লোকজন দেখে ফেললে দুর্বৃত্তরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। আরিফ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে যুবদল ও বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বেতবুনিয়ার চেহেরীবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ে।
কাউখালী উপজেলা বিএনপি সভাপতি জসীমউদ্দীন খোকন ও সাধারণ সম্পাদক সাজাই মারমা অভিযোগ করেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মী বেদনা মারমা ও মাহবুবের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র দল আরিফুর রহমানকে হত্যা করেছে।
নবীগঞ্জে চুরিকাঘাতে গৃহ-শ্রমিক খুন : বৃহস্পতিবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার শতক আথানগিরি নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের চুরিকাঘাতে সন্তোষ কর্মকার (২৭) নামের এক গৃহ-শ্রমিক খুন হয়েছে। গজনাইপুর ইউপির দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌরা গোস্বামীর কাজের লোক হিসেবে কর্মরত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী কাউছার মিয়ার দোকান থেকে সরিষার তেল আনতে গিয়ে রাস্তায় খুন হয়। এ ব্যাপারে গৃহকর্তা গৌরা গোস্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শামীমের হাতে নাজহাল হয় ফরুক মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি। প্রতিশোধপরায়ণ ফরুক মিয়ার লোকজন শামীম মেম্বার সন্দেহে ওই শ্রমিকের ওপর অন্ধকারে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে এলাকায় গুজব উঠেছে। তার কোন শত্রু বা প্রতিপক্ষ ছিল না। নিহত যুবকের ডান হাতে আঘাত রয়েছে। পেটের মধ্যে চুরিকাঘাতে সে খুন হয়। নিহত ওই যুবক নিকটবর্তী বাহুবল উপজেলার রামপুর চা বাগানের অনু কর্মকারের পুত্র। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঈদের তিনদিনের ছুটিসহ গত ৪ দিনে সারাদেশে বেশকিছু খুনের ঘটনার খবর আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শওকত আলী (৫০) সন্ত্রাসীদের বোমাহামলায় নিহত হন।
একইদিন নাটোর সদর থানার ছাতনির মাঝদিয়া গ্রামে আবদুর রহিমের স্ত্রী বেগম (৩৮) ও তার ছেলে বিদ্যুেক (১২) দুষ্কৃতকারীরা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
১৬ নভেম্বর ফেনী শহরতলির কাজিরবাগের মজিদ মিয়ার বাজারে পুলিশের প্রহারে দেলোয়ার হোসেন বাবলু (৬০) নামের একজনের মৃত্যু হয়। ঈদের দিন দুপুরে মুন্সীগঞ্জে কোরবানির চামড়া নিয়ে সংঘর্ষে খোকা মোল্লা (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী খুন হন।
একইদিন কুমিল্লা সদর উপজেলার লামপুর গ্রামে কোরবানির চামড়া নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে রিপন (৩২) নামে একজন খুন হন।
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আলাউদ্দিন (৩৮) নামের একজন প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন।
ঝিনাইদহে পৃথক ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ ২ জন নিহত হয়েছে। বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২ দিন পর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র বিপ্লব সেনের (১০) লাশ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে জেলার শৈলকূপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতে গোলাম কুদ্দুস (৩৮) নামে এক কৃষক নিহত হন। আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তিনি রাজশাহী হাসপাতালে মারা যান।
ঈদের দিন বুধবার সকালে নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদের জের ধরে খুন হন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নলোয়ারপাড় গ্রামের আবদুস সোবহান।
১৮ নভেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ উপজেলার আগুয়া বাজারে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আবুল হোসেন নামে এক যুবক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে খুন হন।
নরসিংদীর রায়পুরায় গতকাল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নূরু মিয়া (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া গতকাল কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরে গণপিটুনির শিকার হয়ে ৩ জন নিহত হয়। তারা ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
৪ ফ্ল্যাটে চুরি-ডাকাতি : ঈদুল আজহার ছুটিতে নগরীতে গণচুরি ও ডাকাতি হয়েছে। রাজধানীর সূত্রাপুর অভয়দাস লেনের একটি অ্যাপার্টমেন্টের চারটি ফ্ল্যাট বাড়িতে চুরি হয়েছে। ঈদ উদযাপন করতে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সপরিবারে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। এই ফাঁকে চোর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। শুধু চুরি নয় অভয়দাস লেনের আরেকটি বাড়িতে ঘটেছে ডাকাতির ঘটনাও। সূত্রাপুর থানার এসআই জহির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার ১৪/২৭, অভয়দাস লেনের একটি অ্যাপার্টমেন্টের নিচতলা ও দোতলায় চুরির ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে চোর অ্যাপার্টমেন্টের কলাপসিবল গেটের ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢোকে। তারা নিচতলায় চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক ও হোসেন মিয়ার ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আসবাবপত্র রান্নার হাঁড়িপাতিল ছাড়া তারা সব নিয়ে গেছে। পুলিশের সন্দেহ, চুরি করা জিনিসপত্র নেয়ার জন্য আগে থেকেই পিকআপভ্যান বা মাইক্রোবাস এনেছিল তারা। ওই অ্যাপার্টমেন্টের দোতলায় ব্যাংক কর্মকর্তা নূরে আলম জুয়েল এবং প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমানের ফ্ল্যাটে একই কায়দায় চুরি হয়েছে। তাদের বাসার গেট খুলে ঘরের দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তবে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা গ্রামের বাড়িতে থাকায় চুরি হওয়া জিনিসপত্রের মূল্য নিরূপণ সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, চারটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা গ্রাম থেকে ফিরলে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন সূত্রাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভয়দাস লেনের ১৩/এইচ নম্বর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। পুলিশ জানায়, রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। বাড়িটির মালিক গোলাম সারোয়ার। ডাকাত দল বাড়িতে ঢুকেই বাড়ির মালিকের বৃদ্ধা মা ও ইতালি প্রবাসী মেয়ের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় /

No comments:

Post a Comment