Friday 17 December 2010

ফুলগাজীতে সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলা : ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত

ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

ফুলগাজীতে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করতে গেলে সরকারদলীয় ক্যাডারদের হামলায় ফুলগাজী থানার ওসি, এএসআই ও ৩ কনস্টেবলসহ ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হযেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রোববার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুর রহমানকে স্থানীয় গোসাইপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ ক্যাডার মিজান, নূরনবী ও রিপনসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ফুলগাজী বাজারের আক্তারের ফার্নিচার দোকানের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে ফুলগাজী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে মিজানুর রহমান, নূরনবী ও রিপনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসামি পক্ষের লোকজন আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য কবির কোম্পানির স’ মিলের সামনের রাস্তায় ব্যারিকেট দেয়। পুলিশ ব্যারিকেট সরাতে গেলে আসামি পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও কাঠের টুকরা নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আসামি পক্ষের হামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান, এএসআই আমিনুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল সনদ জোতি বড়ুয়া, সৈয়দ আহাম্মদ ও মাঈন উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ফেনী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দুল মোস্তফা বাদী হয়ে আবদুল মান্নান, জয়নাল, মিজানসহ ১৪ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত ১৪/১৫ জনকে আসামি করে ফুলগাজী থানায় মামলা করেন। অপর দিকে ছাত্রলীগ নেতা আহত সফিকের বড় ভাই আবদুল হাই বাদী হয়ে মিজানুর রহমান, নূরনবী, রিপনসহ ১৪/১৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফুলগাজী বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment