Friday 17 December 2010

মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ : ইফা ডিজির অপসারণে সরকারের পতন ঘটাতে হবে : আমিনী

স্টাফ রিপোর্টার

ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির নাম সামীম ‘আফজাল’ নয় ‘আখবাছ’ রাখা উচিত। এই ডিজি শুধু ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ধ্বংস করেনি, সারাদেশের ইমামদের ডেকে এনে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করে তাদের অপমান এবং প্রতিটি মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এই কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী ডিজিকে নেপথ্যে উদ্দীপনা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। তাই এই সরকারের পতন ছাড়া ডিজির অপসারণ আশা করা যায় না। সম্প্রতি আর্মি স্টেডিয়ামে ভারতের নায়ক/নায়িকাদের কনসার্টে অশ্লীল ও আপত্তিকর নাচ-গানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মুফতি আমিনী বলেন, ভারতীয় নর্তকীরা এসে বাংলাদেশের পবিত্র মাটিকে অপবিত্র করে গিয়েছে। মুসলমান হয়ে যদি এই অপসংস্কৃতির প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে কারও ঈমান থাকবে না। আর্মি স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিটি মুসলমানকে অবিলম্বে তওবা করা উচিত। অন্যথায় আল্লাহর গজব নামতে পারে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে নৈতিকতা বিবর্জিত ও ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমামদের সামনে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের প্রধান হোতা ইফা ডিজি অপসারণ দাবিতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
কমিটির নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি তৈয়্যেব, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা নোমান মাজহারি, মাওলানা আহমদ আলী, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ, আবদুল আজিজ, ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
মুফতি আমিনী বলেন, বর্তমান সরকার শুধু ইসলাম নয়, দেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করার জন্য যা যা দরকার সব করছে। এসবের প্রতিবাদে সরকার আমাদের আন্দোলন করতে দিচ্ছে না। তারা মনে করছে তাদের পর আর কেউ ক্ষমতায় আসবে না আর নির্বাচন হবে না। তিনি সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, জনগণ মাঠে নামলে আর্মি, পুলিশ-বিডিআর দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার যত শক্তিশালীই হোক তাদের পতন হবে। এ দেশে ঈমান ও ইসলাম নিয়ে যারা কাড়াকাড়ি করবে, তারাই ধ্বংস হবে।
তিনি বলেন, সরকার শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার ইসলাম ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যা করছে তার পরিণামে তাদের ওপর যে অল্লাহর গজব নেমে আসতে শুরু করেছে তওবা না করলে এই গজব থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। তিনি দেশ ও ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী তওবা দিবস পালন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে খতম ও দোয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাছাড়া ইফা ডিজির অপসারণ দাবিসহ সরকারের দেশ ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন এবং ২৪ জানুয়ারি জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। বক্তব্য শেষে সংক্ষিপ্ত দোয়ায় তিনি সামীম মোহাম্মদ আফজাল এবং আর্মি স্টেডিয়ামে গান আয়োজনকারীদের ধ্বংস এবং বর্তমান সরকারের পতন কামনা করেন।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে দেশ থেকে ইসলাম বিতাড়িত করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র থেকে বিরত না হলে আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েকরা ঘরে বসে থাকবেন না। সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে মাঠে নামবেন। সমাবেশের পর এক বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

No comments:

Post a Comment