Friday 10 December 2010

প্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ



সাইফ ইসলাম দিলাল

মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া গত প্রায় দু’বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু কিছু লোক যাচ্ছে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এসব দেশ থেকে প্রতিদিন খালি হাতে ফেরত আসছে হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক। এদিকে ব্যবসা না থাকায় অনেক জনশক্তি রফতানিকারক তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংস্থা বায়রার মতে, অনেক ব্যবসায়ী অফিস বন্ধ করে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া লোক নেয়া বন্ধ করলেও বিশ্বের একমাত্র হিন্দুপ্রধান রাষ্ট্র নেপাল ও ভারত থেকে তারা লোক নিচ্ছে। এছাড়াও কুয়েত, কাতার, ওমানও লোক নিচ্ছে পাকিস্তান, ভারত, ফিলিপাইন ও নেপাল থেকে। আগে মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে পছন্দের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশী ৭০ লাখ কর্মীর মধ্যে ৩৫ লাখই থাকেন সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়ায়। কাজেই এই তিন দেশের বাজার চালু করা না গেলে আগামীতে জনশক্তি রফতানি খাতে আরও ভয়াবহ দুরবস্থা নেমে আসবে।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মোট জনশক্তি রফতানি হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন। ২০০৮ সালে রফতানি হয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন। ২০০৯ সালে কমে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০১০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে জনশক্তি রফতানি হয় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১০২ জন। ২০০৮ ও ২০০৯ সাল থেকে প্রধান রফতানি বাজার সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামতে শুরু করে। তবে সিঙ্গাপুর, ওমান, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে কিছু কিছু জনশক্তি রফতানি হওয়ায় মোট রফতানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে ২০০৯ সালের এপ্রিল এবং এ বছরের প্রথম দিকে, পররাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়া সফর শেষে বলেছিলেন বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়া হবে। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন মালয়েশিয়া সফর শেষে সে দেশের শ্রমবাজার সঙ্কট কেটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।
জনশক্তি রফতানির এ অবস্থার জন্য ব্যবসায়ীরা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার বলেন, কূটনৈতিক দুর্বলতার জন্য আমরা একের পর এক বাজার হারাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, জনশক্তি রফতানি বাড়াতে প্রতিপক্ষ দেশ যেখানে প্রতিমাসে কূটনৈতিক তত্পরতা চালায়, সেখানে আমাদের সারা বছরেও কোনো তত্পরতা দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমরা কোন দিকনির্দেশনা পাচ্ছি না। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকে জনশক্তি রফতানিকারকরা বলে আসছিল জোর কূটনীতিক তত্পরতা শুরু না করলে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ওমানসহ মুসলিম দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি চূড়ান্তভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সে আশঙ্কাই সত্যি পরিণত হলো।
এদিকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন গত বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়, অবৈধ অভিবাসী এবং জনশক্তি রফতানিকারকদের কারণে বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার হারানোর এটাই প্রধান কারণ জানিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ অবস্থা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ভবিষ্যতে আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে।
মন্ত্রী স্বীকার করেন, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার একেবারেই সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এদের বিনা খরচে দেশে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ব্যবসা এখন প্রায় বন্ধ। অনেক জনশক্তি রফতানিকারী দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে আবার অনেকে ব্যবসা সঙ্কুচিত করে কোনো রকমে টিকে আছে। তিনি বলেন, এ অবস্থায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে রয়েছে বায়রা নেতারা। বায়রার সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা আমার দেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনৈতিক তত্পরতাই পারে ভয়াবহ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে। তার মতে, সৌদি আরব, কুয়েতসহ যেখানে প্রধানমন্ত্রী সফর করেছেন, সেখানে ফলোআপ দরকার ছিল।
সৌদি আরব : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবেও প্রায় দুই বছর ধরে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। আর বেসরকারি হিসেবে বাংলাদেশীর সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। এক সময় মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে লোক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল সৌদি আরবের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারেই উল্টো। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গত দুই বছরে মাত্র ২০ হাজার লোক গেছে। এর আগে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গেছে ১ লাখ ৩২ হাজার লোক। ২০০৭ সালে গেছে ২ লাখ ৪ হাজার ১১২ জন। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও।
এছাড়া সৌদি আরবে আকামা পরিবর্তনের (চাকরি পরিবর্তন) সুযোগ না পাওয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এর মধ্যে লক্ষাধিক শ্রমিক আকামা সমস্যায় পালিয়ে অবৈধভাবে কাজ করছেন। আবার যারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকে শ্রমিক নেয়া এবং আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হলেও বাংলাদেশ একেবারেই বঞ্চিত।
কাতারে ২০০৭ ও ০৮ সালে প্রায় ৪১ হাজার জনশক্তি রফতানি হলেও ২০০৯ ও ১০ সালে রফতানি হয়েছে ২২ হাজার ৫০০। ওমান থেকে লক্ষাধিক বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর আয়োজন চূড়ান্ত হয়ে গেলেও তাদের জন্য সরকারের কোনো তত্পরতা নেই। জানা যায়, ওমানে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও এর মধ্যে অবৈধ লক্ষাধিক বাংলাদেশী শ্রমিকের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত ।
গতবছর এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরের সময় সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করার পর বলেছিলেন, বাংলাদেশীরা আকামা নবায়ন করার সুযোগ পাবে; কিন্তু সে আশ্বাসের ৬ মাস পার হতে চললেও সেখানে বাংলাদেশী শ্রমিকদের আকামা সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। গত ২০ এপ্রিল সৌদি আরব সরকার আইন পরিবর্তন করে আলোচনার মাধ্যমে আকামা পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছিল। অন্যান্য দেশ সে সুযোগ নিলেও বাংলাদেশ নিতে পারেনি। জনশক্তি ব্যবসায়ীরা বলেন, কূটনৈতিক তত্পরতার অভাব এবং সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অনৈতিক ও অবৈধ কার্যক্রমের প্রচারণার জন্য বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দেশের ষড়যন্ত্রের কারণে সৌদি সরকারের কাছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইমেজ খারাপ হয়ে গেছে।
কুয়েত : বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার কুয়েতে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী আছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশী জনশক্তি রফতানি বন্ধ। বাজারটি চালু করতে তেমন কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ বছরের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরের পরও কুয়েতের শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ব্যাপারে আশাপ্রদ কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ জানালেও কুয়েতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আশার বাণী শোনানো হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে যে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেখানেও বন্ধ শ্রমবাজার খুলে দেয়ার বিষয়টি ছিল না বলে জানা যায়। নতুন করে লোক না গেলেও ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
২০০৫ ও ২০০৬ সালে কুয়েতে যেখানে জনশক্তি রফতানি হয়েছিল প্রায় ৮৩ হাজার; সেখানে ২০০৮, ২০০৯ সাল এবং চলতি বছরের ১১ মাসে রফতানি হয়েছে মাত্র ৩৬৮ জন। ২০০৭ সালে রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ২১২ জন। সরকারের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগে বছরে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ যেত আর ২০০৯ সালে গেছে মাত্র ১০ জন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৯৭৬ সালে ৬৪৩ জন কর্মী কুয়েত গিয়েছিল। এরপর প্রতিবছরই এ সংখ্যা বেড়েছে। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের পক্ষে থাকায় দেশটিতে বাংলাদেশের সুনাম বেড়ে যায়। ওই বছর ২৮ হাজার ৫৭৪ জন কর্মী কুয়েত যায়। পরের বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ৩৭৭ জন। এরপর প্রতিবছরই গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার কর্মী কুয়েত গেছে। ২০০৬ সালের শেষে হঠাত্ করেই কিছু বাংলাদেশী হত্যা, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে ২০০৬ সালের অক্টোবরে কুয়েত সরকার বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া বন্ধ করে দেয়।
মালয়েশিয়া : একই অবস্থা মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও। অর্থনৈতিক মন্দার পর মালয়েশিয়া নেপাল থেকে শ্রমিক নিলেও বাংলাদেশের জন্য বন্ধ দরজা আর খোলেনি। অথচ মালয়েশিয়ায় চাহিদামতো শ্রমিক সরবরাহ করতে সে দেশের জনশক্তি আমদানিকারকরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশকে নতুন লোক নেয়ার অনুমতি না দিলেও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশীদের ধরে ধরে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফর করে বন্ধ বাজার খোলার আশ্বাস পেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিকে লোক না গেলেও সেখান থেকে ফেরত আসার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ২০০৯ সালে দেশটিতে গেছে ১২ হাজার ৪০২ জন। ফিরেছে ১৬ হাজার ৮৭৭ জন। আর এ বছর ১১ মাসে মালয়েশিয়া গেছে মাত্র ৮০৬ জন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়ায় মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক আমদানি প্রায় বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি তারা আবারও বিদেশি শ্রমিক নেয়া শুরু করেছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তারা নেপাল থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশী ৫৫ হাজার শ্রমিক নেয়া বন্ধ এবং ভিসা নবায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখনও প্রত্যাহার করেনি।
২০০৮ সালে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল। এ ঘোষণার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে ৫৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ নিয়ে জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং সরকার তথা হাইকমিশনের সময়োচিত পদক্ষেপের অভাবে শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করে। জানা গেছে, দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ী ও কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনে গড়ে ওঠা দালাল চক্রের কারণে বাংলাদেশী শ্রমিকরা সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

No comments:

Post a Comment