Friday 17 December 2010

বিজয় দিবসে বিএনপির আলোচনা : শেখ মুজিব কখনই স্বাধীনতা চাননি চেয়েছেন স্বায়ত্তশাসন



স্টাফ রিপোর্টার

বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা ’৭১ সালে আওয়ামী লীগের কোন নেতা কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কে কে জীবন দিয়েছেন—তার তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব কখনই এদেশের স্বাধীনতা চাননি, চেয়েছেন স্বায়ত্তশাসন। তার ঘোষিত ৬ দফায়ও স্বাধীনতার কথা ছিল না। ১৯৭১ সালের ২৮ ফেবু্রয়ারি শহীদ মিনারে এক সমাবেশে শেখ মুজিব স্বায়ত্তশাসনের কথাই বলেছিলেন।
গতকাল বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ারের সভাপতিত্বে বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও বক্তৃতা করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফা, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৭ মার্চ তাকে জোর করে মাইকের সামনে এগিয়ে দেন ছাত্রলীগের কিছু নেতা। তিনি বলেন, ‘৭ মার্চই যদি স্বাধীনতার ঘোষণা হবে, তাহলে শেখ মুজিব পরে কেন ইয়াহিয়ার সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় বসলেন? এর কারণ হলো শেখ মুজিব চেয়েছিলেন স্বায়ত্তশাসন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রামকে তাদের একচেটিয়া সম্পত্তি মনে করে। ক্ষমতার বাইরে থাকুক আর ভেতরেই থাকুক, তারা এটাকে প্রচার এবং প্রতিষ্ঠা করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যা করছে না। কিন্তু দেশবাসী আজ জানতে চায় মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতারা কে কোথায় ছিলেন? নিজেদের জান বাঁচাতে কোথায় পালিয়েছিলেন? কোন নেতার কোন সন্তান, কোন ভাতিজা মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন।
খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, কোনো দল এদেশকে স্বাধীন করেনি, এর মূল কৃতিত্ব জনগণের। ২৫ মার্চ জাতি যখন দিশেহারা, তখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা জুগিয়েছেন। অন্যদিকে শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকসেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহায়তা করে প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজেদের স্বার্থে বিশেষ একটি দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। এই বিশেষ দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়ে প্রতিবেশী দেশের স্বার্থে কাজ করেছে, এখনও করছে। এর অংশ হিসেবে তারা এখন দ্রুত রেল, নৌ, স্থল ট্রানজিট দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারা আপ্রাণ লড়াই করতে প্রস্তুত হয়ে আছে। তিনি সরকারকে ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।

No comments:

Post a Comment