Tuesday 7 December 2010

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ২ বিডিআর জওয়ানসহ ৩ জনকে অপহরণ করেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্ত থেকে বিডিআরের একজন নায়েক সুবেদার ও একজন সিপাহীসহ ৩ জনকে অপহরণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলো গয়েশপুর বিডিআর ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার সালেহ আহম্মেদ, সিপাহী আজাদ আলি ও বিডিআরের সোর্স সুজাল হোসেন।
গ্রামের একাধিক সূত্র জানায়, গয়েশপুর বিডিআর ক্যাম্পের টুআইসি নায়েক সুবেদার সালেহ, সিপাহী আজাদ ও তাদের সোর্স সুজাল ও অপর সোর্স ইনতাজুল সন্ধ্যা ৭টার দিকে চোরাচালানি পণ্য আটকের জন্য সাদা পোশাকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে ওঁত পেতে থাকেন। এ সময় ভারতের বড়াইপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ইনতাজুল বাদে ওই ৩ জনকে অস্ত্রেরমুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ইনতাজুল পালিয়ে রক্ষা পান।
ইনতাজুল জানান, ভারত থেকে চোরাচালানি মালামাল আটকের জন্য তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু বিএসএফ চোরাচালানি ভেবেই ওই ৩ জনকে আটক করেছে।
সীমান্তবর্তী গয়েশপুর গ্রামের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, অপহৃতদের ছাড়াতে বিডিআর নানা উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর হয়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিডিআর-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও অপহৃতদের মুক্তি দেয়া হয়েছে কিনা নিশ্চিত করা যায়নি।
এ ব্যাপারে গয়েশপুর বিডিআরের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবদের ফেরদৌস আহম্মেদের সঙ্গে তার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ০১৭১৩-৩৬২০৪৬ নম্বরে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে অনেক চেষ্টার পর রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ৩৫ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আহসান কবির জানান, আগামীকাল আপনারা বিষয়টি পরিষ্কার জানতে পারবেন। ঢাকা থেকে রাত পৌনে ১২টায় মেজর আহসানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিডিআর সদস্যদের অপহরণ ও মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ঘুমাচ্ছি, কোনো বিষয় এখন আমি কনফার্ম করতে পারব না। বিডিআর সূত্র এ নিয়ে লুকোচুরি করলেও অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে অপহৃত তিনজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment