Tuesday 7 December 2010

কেরানীগঞ্জে বৃদ্ধার বাড়ি দখল : আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় ধরছে না পুলিশ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের বাড়ি ও মার্কেট দখলের মামলায় থানায় গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট এলেও পুলিশ আসামিদের ধরছে না। কারণ আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীর ব্যক্তি। ১০ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধাসহ পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজাবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের বাড়ি ও একটি মার্কেট রয়েছে। বাড়িটি তিনি হেবা ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়েছেন। এরপর এ বাড়িতে তিনি কয়েক যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সন্ত্রাসী রিটাল হোসেন রানা জাল দলিল করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি নিলোত্পল দে’র নেতৃত্বে দখল করে নেয়। তখন সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধ মহিলা, ছেলের বউ ও নাতনীদের টেনে-হেঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। লুট করে নিয়ে যায় বাড়িতে থাকা কয়েক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও মার্কেটের মালামাল। দোকান ও বাড়িতে তালা মেরে দেয় পুলিশের সামনে এবং তাদের সহযোগিতায়। এ ঘটনার পর থেকে বৃদ্ধা মরিয়ম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িছাড়া। দখলের ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। কারণ দখলদাররা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এরপর বৃদ্ধা মরিয়ম কোর্টের শরণাপন্ন হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় রিটাল হোসেন রানাসহ ১০ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১০ অক্টোবর কোর্ট থেকে পরোয়ানার কপি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পৌঁছে। এরপর আসামি ধরার জন্য বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম সংশ্লিষ্ট এসআই গৌতমের হাতে কিছু নগদ অর্থ গুঁজে দেন। তারপর গত ১ মাস ধরে তিনি আসামি ধরার জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ঘুরছেন। বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম বলেন, আসামিরা সবাই আওয়ামী সন্ত্রাসী হওয়ায় পুলিশ তাদের ধরছে না। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই গৌতমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওয়ারেন্টের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের ধরার জন্য একদিন অভিযান চালানো হয়েছিল। তাদের পাওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment